১।
শব্দহীন একটি নির্জন দুপুরের করিডোরে অজস্র মৃত্যুর মিছিল,
জগতের ওপর তীব্র ঘৃণায় ফুঁসে উঠেছে কেউ কেউ,
লাভ নেই।
জুয়াড়ির আড্ডায় অক্ষধুর্ত হতে হয়,
মদ কিংবা অক্ষমদ কোনটিই নেই তোমার,
তুমি বরং জারজ হয়ে জন্মালেই ভালো হতো,
কাদামাটির হালকা গন্ধ থাকতো তোমার নিঃশ্বাসে,
সফলতার নামে যারা প্রলাপ বকছে, সভ্যতার নামে যারা রুমাল উড়িয়ে মৃত্যু আনছে;
তাদের এই রতিক্রিয়ায় তোমার মাইগ্রেনের ব্যথা উঠত না।
২।
আয়না আবিষ্কারের পর,
আয়নায় পৃথিবীর প্রথম যে নারী নিজেকে দেখিতে পেলো, সে আমার প্রাচীনতম প্রেমিকা।
বৃষ্টি মুখর আষাঢ়ের এক রবিবার সন্ধ্যায় সুইসাইড নোট লিখতে বসে, যাঁর ঠোঁটে আমি এঁকে দেবো অসহ্য বেদনার প্রামাণ্যচিত্র।
৩।
আমি সুখকে বলেছি
কিছুদিন পরে এসো,
বেদনাকে বলতে হয়নি
আমার পাশে থেকো।
৪।
বেঁচে থাকি শিউলি ফুলের ঘ্রাণে…
৫।
কয়েকটি উড়ন্ত রঙিন ঘুড়িকে,
সন্ধ্যের শহুরে আকাশ থেকে কেউ কেড়ে নিতে চায়।
৬।
আমার প্রেমিকার পাশে একটি শিশু শুয়ে থাকে,
আমার দুপাশে শুয়ে থাকে হাত,
বুকের ওপরে বিবর্ণ বিষাদ।
৭।
দূরত্ব মৃত্যুর মত ভয়ঙ্কর বিচ্ছেদ,
যে ক্ষত অনেক দিন লেগে থাকে।
৮।
ব্যথার মৃত্যু নেই, ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে।
৯।
আত্মহত্যার নিমন্ত্রণ পত্র রেখে যায় কিছু মৃত্যু,
কিছু মৃত্যু মৃত্তিকার আলিঙ্গন পায় না,
একমিনিট নিরবতার ছুঁতোয় কোন বোবা করুণা উৎসর্গিত হয় না, কোনদিন।
আস্ত একটা দেহে মরছে পড়ে গেলেও কেউ দেখে নে,
আর হৃদয়; শিল্পীর তৈরি একটি ব্যর্থ শব্দের নাম।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০২