লেখকের কথা -- " শুরুতেই "ঈদ মোবারাক" । ঈদ শেষে ঢাকা আসলাম মাত্র । বাড়িতে নেট নেই তাই শেষ পর্ব প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় আন্তরিক ভাবে দুঃখিত
পূর্বের অংশের সামারি - ( স্টার চিনহ দেওয়া আছে । যে যে আগের ২ টা পর্ব পড়েছেন তারা এই অংশ স্কিপ করতে পারেন )
সব কিছুরই একটা সানেনুজুল থাকে । এইটা ও সেই রকম ।
***তাই ১ম ও ২য় অংশের সামারি - ২০০৬ ডিসেম্বর থেকে ২০০৭ সালের ১ম দিকে্র কথা । আলী ঢাকা শহরে একটা জব খুজার জন্যে আসে । মামা-চাচা নেই তাই সে জব পায় না । এক টা জায়গায় জব পেয়ে যায় কিন্তু সেই জবটা হয় অফিসের মালিকের বাড়িতে । মালিক টা হচ্ছেন একজন মহিলা । মহিলা খুব একটা সুবিধার না । তাই আলী খুব বিব্রত অবস্থার মাঝে পড়ে গেল । মহিলা তার বাবার দেখাশূনা করার জন্যে আলীকে রাখতে চায় । তাদের একটা সিগনেচার লাগবে ঐ বৃদ্ধ বাবার কাছ থেকে । তাহলেই সে ঢাকাতে পারমানেন্ট একটা জব পাবে ।
এদিকে আলীর মেসে দুর্ঘটনা ঘটে । ইন্ডাইরেক্টলী ঐ কেসে আলী জড়িত ছিল । এই তথ্য পাওয়া যায় গোপন ক্যামেরায় । আর ঐ ক্যামেরা ছিল চোরাই ভাবে লাগানো । আলীকে ফলোকরার জন্যে । এই ক্যামেরা দ্বারা আলিকে ব্লেক মেইল করা হয় । ব্ল্যাক মেইলার আর কেউ নন , ঐ অফিসের ভদ্র মহিলা । তিনি এই ভিডিও দ্বারা আলীকে জব করতে বাধ্য করেন ।এখন দেখার বিষয় আলি কি সিগনেচার নিতে পারবে ? কি হয় আলীর সাথে ? ) ***
ইজি চেয়ারে সবাইকে মানায় না । কিন্তু এই ভদ্র মহিলাকে অনেক সুন্দর মানিয়েছে । আলী আগে কখনও কোন ভদ্র মহিলাকে ইজি চেয়ারে বসে চিন্তা করতে দেখেনি । আলীর যে চেয়ারে বসে আছে তাও অনেক আরামদায়ক । নিচে সুন্দর কারপেট আর উপরে এসি আছে আবার ফেনও আছে । কিন্তু আলীর ভাল লাগছে না । কারন তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে কালো নিগ্রো ভদ্র লোকটা । লোকটার পিছে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাইভারটা । ড্রাইভারটা মনে হয় এই পরিবেশের থেকে একটা মজা নিতে চাচ্ছে । এতো বিনোদনের স্থান ও প্লেস তৈরী করেদিয়েছে ডিজিটাল যুগ ও তথ্য প্রযুক্তি , তাও মানুষ মারামারি - কাটাকাটি বা ঝগড়া দেখতে বেশী পছন্দ করে । রাস্তায় ধরেন কোন রিকশার চাকায় কোন বাইক ধাক্কা লাগিয়ে দিছে । যদি রিকশা ভেঙ্গেও যায় তাও রিকশাওয়ালার দোষ । এই ইস্যু নিয়ে মারামারি , তর্ক , পুলিশ কেস , হাজারো মানূষের ভীড় । দেখা যাবে ১০জন মারামারি করে আহত । কিন্তু সেই রিকশাওয়ালা ও সেই বাইকচালক অনেক আগেই ভীর ছেড়ে চলে গিয়েছিল । এই হচ্ছে অবস্থা !!! মরে কে আর মারে কে টাইপ ।
'এই ড্রাইভার ? এখানে কি ? যাও এখান থেকে '
আচমকা আলীর এমন ভারী গলায় হকচকিয়ে গেল ড্রাইভারটা । সে এই পরিবেশ গ্রহণ করার জন্যে প্রস্তুতি ছিলনা । মানুষের কোন কাজে প্রস্তুতির দরকার হয় । অন্য প্রানীর হয় না । বাংলা সিনেমার "আহমেদ শরিফ " ভুল ডায়লগ দেন । তিনি বলে ' এই সব আমার কেনা গোলাম , আমার কুকুরছানা । আমি যা বলি তাই করে ' ।
এই খানে ভুল ২ টা । মানুষ কুকুর হলে পূর্ব প্রস্তুতি নিত না আর কুকুরছানা মনিবের কমান্ড বুঝেনা । অনেক কুকুরছানার চোখ ফুটে দুনিয়ার আলো দেখতে দেরি হয় । এই ড্রাইভারটা কুকুর থেকেও অসভ্য । এখনো যায় নি । দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি যেন চিন্তা করছে আর আমার দিকে তাকি অভিনয় করে হাসার চেস্টা করছে । যেন একটা আস্তা শীলপাঞ্জি !! শিল্পাঞ্জিরা অভিনয় করে হাসে । সব গুলা দাত দেখা যায় !!
'আলি কি বলল কানে শুন্তে পাওনি ? যাও রুম থেকে । গেট আউট , কুইক ' -- বলে উঠলেন ম্যাডাম ।
মেডামের গলায় আজকে সেই মায়া নেই । খুব রেগে আছেন মনে হচ্ছে ।
ড্রাইভার এইবার চলে গেল রুম থেকে । তবে হাটার স্টাইল দেখে মনে হল সে যেতে মোটেও আগ্রহী নয় । সে নিশ্চয় দরজার পাশে দাঁড়িয়ে কথা শূনার প্রস্তুতি নিচ্ছে ।
' তোমার নাম আলী । তোমার বাড়ি রাজশাহী । বাবা-মা গ্রামে থাকেন । এক ভাই আর এক বড় বোন আছে । বোনের বিয়ে হয়েগেছে । তুমি গত মাসের ১৪ তারিখে আসছ । ১৬ ডিসেম্বর মন্ত্রীর গাড়ির গ্লাসে তোমার কিক করা ফুটবল লেগে যায় । ফলে ৭ দিনের জেল হয় । ২১ ডিসেম্বর থেকে ৭ দিনে ৬ টি ইন্টারফিউয়ে এটেন্ড করছ । লাস্ট আমাদের এই কোম্পানীতে ইন্টারভিউ দিছ । চাকরী খুব দরকার তোমার । আজকে পহেলা জানুয়ারী ২০০৭ । গতকাল তোমার ফেলানো কলার চোচায় পিছলা খেয়ে বাড়ি ওয়ালা হাত-পা ভেঙ্গে ফেলছে । উনি বেশী ভয়ে ছোট একটা হার্ট এটাকও করেছে । এই যে নেও ঐ ডাক্তারি রিপোরট । টাকা লাগবে ৩ লক্ষ । আর সে যদি মারা যায় তবে পুলিশ কেস হবে । আমাদের হাতে পুলিশ কেস বানানোর জন্যে শক্ত এভিডেন্স আছে । ভিডিও ক্লিপ !! এখানে তোমার সব রেকর্ড আছে । আদালতে প্রমান হবে যে তুমি ইচ্ছে করে ওনাকে মেরে ফেলার জন্যে "কলার চোচার" ব্যাবহার করছ । ' -- সম্পূর্ণ কাহিনী এক নিঃশ্বাসে বলে গেলেন কালো নিগ্রো লোকটা ।
' তোমার কিছু বলার আছে কি আলী '
হঠাত মেডামের গলায় একটা করুণা ভাষা প্রকাশ পাচ্ছে ।
' একটা কথা বলার আছে । এই কালো লোকটা কি মিসরীয় ? অনেক ভাল ব্রেন । সব কথা কি সুন্দর করে নির্ভেজালে একটানা বলে গেলেন । মুখস্ত বিদ্যা আনেক হাই । আইয়াম ইম্প্রেস । স্যার আপনের হাত টা দিবেন ? একটা চুম্মাহহ দিব '
কাল লোকটা একটু হকচকিয়ে গেল আর ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে বলল ' ম্যাডাম এই ছেলে পারবে না আমি বলে দিচ্ছি । এই ছেলে একটা পাগল '
'আমি মানুষ চিনতে ভুল করি না । এই ছেলে পারবে ।'
ম্যাডাম বললেন , 'আলী তুমি একটা কিডন্যাপ করতে পারবে ?
আমার বাবাকে কিডন্যাপ করে বাংলাদেশে যেখানে মনে চায় রেখে আস । '
'আমি আগেই আন্দাজ করেছিলাম যে তোমরা আমাকে বড় ঝামেলায় ফেলাবেন '
ম্য্যডাম একটু আমার দিকে ঝুকে বললেন ,'তোমার কাছে এইটা কোন ঝামেলাই নয় ।তুমি গ্রামের বাড়িতে চলে যাবে । টাকা যা লাগে আমি দেব । সারা জীবন বসে খেতে পারবে । বাবাকে তুমি কোন জেলায় রেখে দেও । ওনার থাকা খাওয়ার টাকাও আমি দিব । কিন্তু ওনার একটা সিগনেচার লাগবে । আমি এই প্রপার্টি বিক্রি করে বিদেশে চলে যাব । থাকব না এই দেশে । '
সব ঠিক আছে । পারব । কিন্তু ম্যাডাম এক টা প্রব্ললেম আছে ?
' কি!!!" ম্যাডামের চোখে মুখে একটা আশা দেখলাম ।
'আমি ওনাকে নিয়ে গেলে আপনি আমার ভিডিও ক্লিপটা টিভিতে দেখাতে পারবেন ? আমার অনেক দিনের শখ আমি টিভিতে আসব । সবাই আমাকে দেখবে । আমার এই ইচ্ছে টাকে কি পূর্ণ করা যায় না ? প্লিজ '
' পাগল নাকি ? পুলিশ ধরে নিয়ে যাবে না ? আর এই ভিডিও তোমার ফাসির কাটগড়ার শেষ ইচ্ছে হয়ে থাকবে তো । '
'সেই টা আপনি মেনেজ করবেন । আমার ভিডিও টা খুব ভাল লাগছে । একদম ক্লিয়ার ভিডিও । এইটা আমার লাইফের ১ম ভিডিও । এর আগে একটা বিয়েতে আমার ভিডিও হয়েছিল । দুঃখের বিষয় বিয়েটার সব ঠিক ছিল কিন্তু শেষ মুহূর্তে বর আসেনি । তাই ভিডিও টা সিডিতে রুপ নেয় নি '
'তুমি অনেক কথা বল । ঠিক আছে । তোমার যা ইচ্ছে তাই পূর্ণ হবে । বাবা ঐ রুমে আছে দেখা কর । যাও । এখন ফাইজলামী ভাল লাগছে না । অসহ্য ...... '
ইজি চেয়ারে বসা খুব বয়স্ক একজন লোক । তিনি আমার আসার শব্দ পেয়ে উঠে গেলেন । আর বললেন -
'নাম আলী ? বাড়ি রাজশাহী ? ঢাকায় নতুন ? কেসে আটকিয়ে গেছ ? গুড । এখন আমার পাশে বস । '
'এতোটা শক হব ভাবিনী । লোকটা এতো দূর থেকে আমাদের কথা কিভাবে শুনলেন । বয়সের ভারে চোখে কিছুই দেখেন না । কানে এতো জোড় কিভাবে ? '
'শক হয়ে লাভ নেই । আমি আর্মিতে ছিলাম তা 'সুরভি' তোমাকে বলেছেন নিশ্চয়'
'ঐ ম্যাডামের নাম সুরভি ? '
'হ্যা , নাম টা ওর মা রেখেছিল । আমারো খুব পছন্দ '
'তাহলে সে আপনার কত নাম্বার স্ত্রীর মেয়ে? '
' ঠিক ধরেছ ? সে আমার ৩ নাম্বার স্ত্রীর মেয়ে । আমি বিদেশে মিশনে যেতাম আর দেশে এসে দেখতাম বউ অন্য কারো সাথে চলে গেছে । এভাবে ৪ টা বিয়ে করেছি । লাইফে আমি খুব রাগি ছিলাম । কাউকে ভালবাসিনি । আমি ঐ 'রেহানা গ্রুপ অফ কোম্পানির' মালিক । এই টাই আমার ১ম কোম্পানী । '
"তাহলে আপনার 'মা ' এর না রেহানা ? "
' তোমার উপস্থিত বুদ্ধি অনেক ভাল । আমি কিন্তু অবাক হইনি । কারন ১ম কোম্পানী সব ছেলেরাই মায়ের নামেই খোলে ।খুব সাধারণ বেপার '
' এখন কি করব আমি ?আপনি সবই তো জানেন । আমার মাথায় কিন্তু সত্যি কিছু ঢুকছে না । '
' আমাকে কিডনাপ কর । আমি সিগনেচার দিয়ে যাচ্ছি । ৬ টা কোম্পানির ৩ টা অচল । অনেক ঋণ হয়েছে । এতে সব কোম্পনি ইনস্যুরেন্স পাবে । ইনস্যুরেন্স কোম্পানীতে কথা বলা আছে । সব ব্যাবস্থা করতে তারাই হেল্প করবে । কিন্তু একটা কাহিনী বানাতে হবে । আমি তাই এই প্ল্যান করি '
'তাহলে এই মাস্টার প্ল্যান আপনার!!!! আমার স্টুডেন্ট অনেক বুদ্ধিমান । সুনেই চমকিত হইয়া আসমান ফেটে পড়িলাম জাঁহাপনা '
' হা হা হা হা । তুমি খুবই হাস্যকর ব্যাক্তি । কিন্তু আমি তোমার হাত দেখেছি । তুমি একদিন ঢাকা শরের সব থেকে বড় মাস্তান ও বিজনেস ম্যান হবে । আর আমি তোমার স্টুডেন্ট এই টা সত্যি বলছ । ঐ মন্ত্রির গাড়িতে আমি ও ছিলাম । যেই গাড়িতে তুমি ফুটবল কিক করে গ্লাস ভেঙ্গে দিয়েছিলে । তখনই তোমাকে আমার ভাল লেগেছে । '
' তাহলে সব পূর্ব প্রস্তুতি । আমি বোকা হয়ে গেলুম । হাত দেখার বিষয় টায় আমার বিশ্বাস নেই তা আপনি হয়তো জানেন । আর ঐ ফুটবল আমি বাচ্চাদের সাথে খেলতে খেলতে মেরেছলাম ইচ্ছে করে মারিনি '
'তোমার থেকে কিভাবে সব সময় হাসিখুসি থাকতে হয় তা শিখব আজীবন । ইনশাল্লাহ শিখাবে । শিখাবেনা আলী ? '
'পেট ফুল থাকলে শিক্ষা দিতে প্রবলেম নেই । আমি আছি '
চল একটা চা খাই । আপাতত ২০ দিন এখানেই থাকব । তার পরে হার্ট এটাকের অভিনয় করে হাস্পাতালে চলে যাব । ওখান থেকেই তুমি আর আমি এম্বুলেন্সে করে দেশের বাড়ি যাব । আমার বাড়িও রাজশাহী । রাজবাড়ীর কাছে । ওখানে আমার বাংলো আছে । কেউ জানে না । থাকবে আমার সাথে ? '
' অবশ্যই ' ।
শেষ হইয়াও হইল না শেষ । ১৫ দিন যেতে না যেতেই ১৪ দিনের মাথায় উনি সত্যি কারের হার্ট এটাকে মারা গেল । আমার আর রাজবাড়ির বাংলোতে যাওয়া হল না । তবে মরার আগে লোকটি একটা সংক্ষিপ্ত চিঠি টাক্কু নিগ্রোর হাতে দিয়েছিলেন । আমাকে পড়তে বলেছেন।
চিঠি টা দিয়েই দিলাম ------
--- আমাকে শুনছ আলী ? সকালের একরাশ সুন্দর আলোর সুভেচ্ছে । আগে সকাল দেখতাম না , কিন্তু এখন দেখি । আগে পাখির গান শুন্তাম না , এখন শুনি । আগে কাকের ডাক শুন্তাম না , এখন বুঝতে পারি কাকও দুঃখের গান গায় । সবই তোমার দেওয়া শিক্ষা
কেন জানি আমার শরীর আগের মত নেই । যদি কিছু হয়েও যায় তাও এই ৭ দিন তোমার সাথে কাটানো প্রতিটা দিন ভাল কেটেছে আলী । কিভাবে হাসি খুশী ভাবে বাচতে হয় শিখেছি । এমন একটা টিচার পাওয়ায় আরো বহুদিন বাচতে ইচ্ছে হয় । যদি তোমার মত একটা ছেলে থাকতো আমার । জীবন ধন্য হত ।
আমি তোমার সাথে দেখা হবার পর থেকে প্রতিদিন একটা চিঠি লিখাই নিগ্রো 'উইলসন' কে দিয়ে । সে খ্রিস্টান । মা ছিলেন বাংলাদেশী ও বাবা ছিলেন মিশরীয় নিগ্রো । সেও তোমাকে অনেক ভালবাসে । তুমি চাইলে সেই পহেলা জানুয়ারী থেকে আজকের দিন পর্যন্ত সব গুলা চিঠি পাবে । তোমার বাড়িওয়ালার চিকিৎসা হয়ে যাবে । আর তোমাকে আমি রাজবাড়ির ঐ বাড়িটা দিতে চাই । ওখানে আমার মায়ের কবর আছে । আমি ওনাকে বাকি জীবন তোমার মত কৌতুক বলে হাসাতে চাই । উনি কবরে আছেন তাই হাসানোর কেউ নেই । ছেলে হিসেবে এই টা আমার দায়িত্ব তা তুমি শিখিয়েছ আলী । আই লাভ ইউ ...............একটু ফান করলাম '
আলী ঢাকা ছেড়ে রাজশাহী চলে আসল । বাড়িটা আর পাওয়া হয় নি । 'সুরভি ম্যাডাম ' এই বাড়ি কাকে যেন বিক্রি করে দিয়েছেন ।
বাড়ি না পেলেও আমি খুশী । একটা ভাল স্টুডেন্ট পেয়েছিলাম । নগদ ২ লক্ষ টাকা পেয়েছি শুরভী ম্যাডাম থেকে । টাক্কু "উইলসন " দিয়ে গেছে । ভাবতেসি বাড়িতে এসে একটা কলার দোকান খুলব । ট্রাকে করে কলা সাপ্লাই দিব ঢাকাতে । আজকাল ঢাকার কলায় নাকি মেডিসিন ? আমি থাকতে তা হবে না । ঢাকা বাসীকে আমি ভাল কলা খাওয়াব এই টাই আমার পন ।
......... আলী নিজে নিজেই চেচিয়ে বলে উঠল, এগিয়ে যাও আলী । আমরা তোমার সাথে আছি । পাশের একটা ডাসবিনের কাছে "আইলসা' কুকুরটা বুঝি এই ভাষণ শুন্তে পেয়েছে । সেও ঘেউ ঘেউ করে আলীকে উৎসাহ দিচ্ছে । আর কিছু কাক , কা কা করে মিছিল করছে ।
এ যেন আলীর রাজ্য । সবাই যেন আলীর স্টূডেন্ট
বি দ্র - বানান ভুলের জন্যে ক্ষমা চাচ্ছি