যতদূর দেখা যায় এই মহাবিশ্বে,
শত ক্রোশ পথ পাড়ি দিয়ে দৃষ্টির অভিলাষ
মা'কে দেখেই শেখা।
সৃষ্টির অর্বাচীন পথ কিংবা
নব নব বিজয়ের রথ-
সবকিছু মায়ের অশ্রুশূন্য ফসলের লেখা।
সেখানে কেউ ফুল দেখুক, কবিতা পড়ুক
আর গল্প, সবই মায়ের বন্দনার ছন্দে,
মুক্তির আলোকরেখা।
মা-মাতা-জননী যে নামেই ডাকুক কেউ,
এক সতেজ অনুভব, নিবিড় আদর-
দু হাত ভরে দিতে সদা প্রস্তুত।
যেন ইভ কিংবা আদমের চেয়ে গভীর
এক সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে মহাবিশ্বকে করেছে
অনবদ্য, অনাস্বাদিত, অদ্ভুত।
যার মুখে ঐশ্বর্য আর ভালবাসার খনি
লুকিয়ে আছে খুব মমতায়
কার কাছে সে নিজেকে সম্পূর্ণ প্রকাশ করে!
আমিতো চিরদিন সেই কোলে শুয়েই
বিশ্রাম নিয়েছি, বারবার জন্ম নিয়েছি
ঢলে পড়েছি লতার মত।
জড়িয়ে ধয়েছি অবশেষে মায়ের বুক,
শেষ হয়ে গিয়েছিল
আমাদের রক্তের অসুখ।
সেই রূপে রূপময় হলো আকাশের সব তারা,
সেই মায়ের সুর নিয়ে চলি
মুখরিত জীবনে চলার পথে।
সেই শরতের আকাশে গিয়েছি আমরা
মায়ের চরণ দুটি ছুঁয়ে,
যে চরণে স্বর্গের মত দীর্ঘশ্বাস!
কিন্তু স্বর্গের সাতটি ধাপ পার হয়ে
যখন অষ্টম ধাপে পা রাখব,
তখনই চলে আসি মায়ের কোলে!
এর চেয়ে উন্নত কোন বোধ পাই নাই,
এই পৃথিবীর পথে হেঁটে
সেসব কথার ঝুড়িতে যুদ্ধে বা প্রতিশোধে।
মা মানে পৃথিবীর সব ফুল
মা মানে মায়ের ভালোবাসা
মা মানে একান্ত নির্ভুল।
পৃথিবীর সব হারিয়ে যাবে
থাকবে শুধু মা
ত্রিভুবনে সব আছে, নেই মায়ের তুলনা।