গাঢ় অন্ধকার ভেদ করে প্রতিটি রাত্রি হেঁটে যাই আমি
সমস্ত জঞ্জাল ও অন্ধকার—পেছনে ফেলে এই পৃথিবী
সুন্দর এক পৃথিবীর পথে; যেখানে চোখ ধাঁধিয়ে যায় না
ভিন্ন ভিন্ন রঙে, সহস্র রঙের ভেতর একটি রঙ সৌন্দর্য।
সূর্যকিরণের অন্তরালে ওঁৎ পেতে নেই কোন অন্ধকার,
‘যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই’ ব’লে শ্লোগান নেই, বাতাসে
বারুদের গন্ধ কিংবা লাশের গন্ধ নেই, মৃত্যুকূপ নেই,
ভয় কিংবা প্রলোভনে আকৃষ্ট নয় আকাশ, স্বচ্ছন্দে
ক্রমশ আরো দূরে অতি ধীর পায়ে হেঁটে চলি আমি।
নিজেকে মনে হচ্ছে যেন অনেক লক্ষ বছর প’রে
কবর থেকে উঠে আসা; এই আমি প্রতিটি পদক্ষেপে
মানুষ হয়ে উঠি, হৃদয়ের প্রাচুর্যে পুলকিত হ’য়ে উঠি;
খসে প’ড়ে অতি ঘনিষ্ঠ খোলস—আমার বহিরাবরণ।
গাঢ় অন্ধকার ভেদ করে প্রতিটি রাত্রি হেঁটে যাই আমি
সমস্ত জঞ্জাল ও অন্ধকার—পেছনে ফেলে এই পৃথিবী
সুন্দর এক পৃথিবীর পথে; সকাল বেলা উঠে ভাবি
এই স্বপ্ন একদিন সত্যি হত, প্রতিটি দিন আমি ভাবি
এই পৃথিবী আমাদের স্বপ্নের পৃথিবী হত।
(কবিতাটি নিকাশের দায় রেখে বই থেকে)