কথা বলতে বলতে সিঁড়ি বেয়ে উপরে
উঠছিলো দুই যুবক। কথা নয় মূলত
তর্ক করছিলো তারা.....
- নাহ তুই আসলে মৌলবাদীই রয়ে
গেলি। বাঁশেরকেল্লায় বেশি বেশি
ঘুরাঘুরি করলে যা হয় আরকি!!
- আমি মৌলবাদীই থাকতে চাই।
মূলেই থাকতে চাই। আগায় থাকা
রিক্সের ব্যপার।
- কেনো, আগায় রিক্স কেনো? তোর
আল্লাহ আছেনা? তার উপর আস্থা
নাই?
- আস্থা আছে বইলাই তাঁর নির্দেশে
মূলেই পড়ে আছি। আগায় যেতে তাঁরই
বারন।
- এসব আল্লাহ টাল্লাহ(নাউজুবি
ল্লাহ) বাদ দে.... বায়বীয় চিন্তাধারা
বাদ দিয়ে নগদে আয়, বাস্তবে আয়...
- যেমন.........
- এই যে তোরা লিটনের ফ্ল্যাট বলছ
আর পিয়ালের ফ্ল্যাট বলছ আসলে
ঐটাই কিন্তু নগদ, ঐ তোদের
জান্নাতি হুর হইলো মরুভূমির
মরিচিকা। যেই আল্লাহ তোদেরকে
এসব দিবে, সেই আল্লাহ বলতেই
তো কিছু নাই, সব ভুয়া!!!
এমন সময় ১০ তলা বিল্ডিংটা হঠাৎ
কেঁপে উঠলো। তখন তারা ৯ম তলায়
অবস্থান করতেছিলো।
বিল্ডিংয়ের ঝাঁকুনি ক্রমেই বাড়তে
লাগলো, যেনো এখনই ধ্বসে পড়বে।
দুজনে সিঁড়ির পাশের রেলিং শক্ত
করে ধরে বসে রইলো আর জোরে
জোরে আল্লাহ আল্লাহ করতে
লাগলো।
কম্পন থেমে গেলে প্রথমজন
(নাস্তিক ) বললো, আল্লাহ
বাঁচাইছে, মনেহয় ভূমিকম্প হইছে,
তাড়াতাড়ি নিচে নাম।
বলেই দ্বিতীয়জনকে রেখেই
‘আল্লাহ বাঁচাও’ ‘আল্লাহ বাঁচাও’
বলে দৌড়ে নিচে নামতে লাগলো!!!
দ্বিতীয় যুবকের মনে পড়লো
পূর্বেকার তাদের সেই কথোপকথন।
যে কিনা আল্লাহ আছে এটাই
বিশ্বাস করেনা। সে কিনা বিপদের
সময় আমার চাইতেও বেশি
আল্লাহকে স্মরন করলো?
আল্লাহ মনে হয় এভাবেই
নাস্তিকদের মুখ দিয়েও তাঁর নামটি
উচ্চারন করিয়ে থাকেন। আর
নাস্তিকও তাঁর স্রষ্টার কথা
অজান্তেই উচ্চারন করে ফেলে।
যেই উচ্চারণ পরবর্তিতে অনেককে
ভাবনায়ও ফেলে দেয়। এমনকি
কখনো সেই ভাবনা তাকে দেখিয়ে
দেয় সিরাতুল মোস্তাকিমের পথ.........