গভর্নরের পদত্যাগ,
অতঃপর চুরি হওয়া
৮০০ কোটি এবং চোর
ধরা কী সম্ভব???
.
সম্ভব! একদম easy!
পান্তা ভাত দিয়ে
কাঁচা মরিচ খাওয়ার
মতো সহজ!
.
সুত্র ধরে এগুলে চোর,
চোরের বাপ,
চোরের মা, নানা-নাতি
সব বেরিয়ে
যাবে!
.
৪ তারিখে ডিলিং রুমে
কারা ছিলো
৮ টা পর্যন্ত, কার
আইডি পাওয়া গেছে,
সিসি ক্যামেরা নষ্ট
ছিলো কবে থেকে
এবং ঠিক করা হয়নি
কেন ইত্যাদি।
.
International Wire
Transfer বিধি
অনুযায়ী, এ লেনদেনের
ক্ষেত্রে
ব্যাংক অব নিউ
ইয়র্ক, সিটি ব্যাংক ও
ওয়েলস ফার্গো
ব্যাংকের ছাড়পত্র
ছিলো। ছাড়পত্র
দেয়ার পর
ফিলিপাইনের স্থানীয়
ব্যাংককে
লেনদেন সম্পর্কে
অবহিত করা হয়।
.
আরসিবিসি ব্যাংকে ৫
জনের নামে
টাকা গেছে। ১ জন
ফিলিপাইনি
ব্যবসায়ী 'সো গো।'
সে অভিযোগ তুলেছে
তার সই নকল করে,
আরসিবিসি ব্যাংকের
জুপিটার
শাখায় একাউন্ট
খুলেছে সেই শাখার
ম্যানেজার 'মাইয়া
সান্তোষ দুগুইতি।'
সে একজন নারী। -
নামের মধ্যেও দুই
নম্বরী একটা ভাব
আছে।
.
এরা হচ্ছে লেইন্জা।
আমরা জানি
'লেইন্জা ইজ ভেরি
ডিফিকাল্ট টু
হাইড।' এরাও পারেনি।
.
লেইন্জা ধরে টান
দিলে কুই কুই চিক্কুর
শুরু হবে। চিক্কুর
ফলো করে পৌছে যাব
মুখে।
.
মুখ কার?
.
কবো না। সব কথা
বলেনা হৃদয়- কিছু
কথা বুঝে নিতে হয়!
.
আন্তর্জাতিক তদন্ত
টিম গঠন করা
দরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের 'fire-
eye
mandiant-র ফরেনসিক
বিভাগ হেল্প
করবে। খোদ মার্কিন
সরকার হেল্প
করার প্রস্তাব
দিয়েছে! FBI থেকে
সাহায্যের কথা
বলেছে।
.
.
টাকা কি আসলেই
উদ্ধার হবে?
.
পদ্ধতি যতই easy
হোক, কোনো টাকাই
উদ্ধার হবেনা। সহজ
বলেই উদ্ধার
হবেনা।
.
রবী বাবু আগেই বলে
গেছেন-
'সহজ-সহজ হবে
তোমরা কহ যে- চুরির
মাল আদায় হয় না
সহজে''
.
আপনারা যারা এ লেখা
পড়ছেন-জেনে
রাখুন--
এ আমি লিখে দিলাম-
যদি টাকা
উদ্ধার হয় তো আমি
...... আমি.......কি!
ভেবেছেন ছাত্রলীগ
বলবো?
না --
যদি উদ্ধার হয়- তবে
আমি একটা ICC-
(International Cricket
Council)
.
Already-বাংলাদেশ
ব্যাংক ও
আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর পক্ষ থেকে
বলা
হয়েছে-
.
'বাইরে থেকে ব্যাংকের
সিস্টেমে
প্রবেশকারী একাধিক
আইডি শনাক্ত
করা হয়েছে।'
.
জোক ইয়াদ আগ্যায়া-
.
মোল্লা গেছেন
দাওয়াতে। খাবারের
অপেক্ষা করছেন।
চোখ বন্ধ। হঠাৎ বলে
উঠলেন- 'হই ছুয়া -
ছুয়া-হুর-হুর।'
.
আশেপাশের মেহমানরা
আৎকে উঠলো !
জিজ্ঞেস করলো কী
হইসে হুজুর? হুজুর
ভাব-সাব নিয়ে
বললেন- 'মদিনা
শরীফে কুত্তা
ঢুকতেছিল, খেদায়া
দিসি।'
.
সবাই মনেমনে
ভাবলেন-আরে বাপরে!
বহুত বড় বুজুর্গ ! পা
গুটিয়ে-শুটিয়ে
বসলো। খুবই ভদ্রতা
দেখাতে লাগলো।
বুজর্গের বদদোয়া
লাগলে খবর আছে।
.
যথাসময়ে খাবার প্লেট
এলো। সবার
প্লেটে মাছ। মোল্লার
প্লেটে শুধু
ভাত। ইতিউতি
তাকিয়ে মোল্লা
বললেন 'আমাকে
তরকারী দেয়া হয় নাই
কেন?'
.
আড়াল থেকে ঘরের
কর্ত্তী মুচকি হেসে
বললেন- ''মদিনা
শরীফে কুত্তা ঢুকতে
দেখেন, ভাতের নিচে
টাকি মাছ
দেখেন না?''
.
.
ব্যাংকের ভেতর
চোরের উপস্থিতি
স্পষ্ট। খবর নাই।
বাহিরের দেশ থেকে
হ্যাকার ঢুকেছে-
সেইটা ধরতে
পেরেছে ! আশ্চর্য !
.
এবার একটু Political
আলোচনা করি-
.
এখন পর্যন্ত
জামায়াত-বিএনপি
কিংবা কোনো
রাজনৈতিক দলের
প্রতিবাদ কর্মসূচি
দেখি নাই।
.
এই টাকা কী কারো
ব্যক্তিগত?
.
না, এই টাকা আমার-
আমাদের।
জনগনের। কিন্তু
কারো কোনো সাড়া
নেই।
.
কেন?
.
এখন আমি যদি বলি-
বিএনপি-আওয়া
মিলীগ সব শালাই
চোর। আপনারা
বলবেন হাজী
সাহেবের মুখ খারাপ।
থাক বললাম না।
.
এদের উচ্চবাচ্চ্য নেই
কারণ-এরা
জনগণের রাজনীতি
করেনা। করে-
ক্ষমতার। বহু প্রমাণ
আমরা ইতোমধ্যে
দেখেছি। জামায়াত
চোর না হলেও
ultimate target
'ক্ষমতা।'
.
নতুবা আমি দেখিনি
জাতীয় বড় কোন
ইস্যু নিয়ে জামায়াত
উচ্চবাচ্চ্য
করেছে !
.
দু'বছর আগে কোরিয়ায়
ফেরি ডুবে যায়।
ফেরিতে School
Student ছিলো। তারা
নিহত হয়। শুধু নৌ
মন্ত্রী-নন,
কোরিয়ার
প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত
কাঁদতে
কাঁদতে পদত্যাগ করে !
.
এখানে প্রধানমন্ত্রীর
কী দোষ বলতে
পারেন?
.
আসলে লজ্জাবোধ। যা
সহ্য হয়নি !
আমরা বুইড়াভামকে
অর্থমন্ত্রী
বানিয়েছি, যার আমলে
হাজার হাজার
কোটি টাকা লোপাট।
.
পদত্যাগ দূরের কথা-
প্রতিটি
ব্যর্থতাকে legalize
করতে rubbish talk
বলে যাচ্ছে !
.
আর বাংলাদেশ
ব্যাংকের গভর্নর?
.
এত বড় ঘটনা ঘটেছে!
আতিউর রহমান
একমাস চুপ থেকে আজ
পদত্যাগ করে দায়
এড়ায়!
.
হাউ লুল !
.
সে বলির পাঠা হোক
আর যা-ই হোক,
আমরা কী ধরে নিতে
পারি না যে-
ঘটনা ধামাচাপা দেয়া
গেলে পদত্যাগ
করা লাগতো না বলেই
এতদিন চুপ
ছিলো? পারেনি বলেই -
এ পদত্যাগ !
এমন ভাবলে অন্যায়
হবে?
.
বিএনপি-জামায়াতের
উচিত ছিলো
আবুল মালের
পদত্যাগের দাবীতে
সোচ্চার হওয়া !
.
কোন পথে বাংলাদেশ?
.
যদি বলি ভিক্ষার
পথে- অত্যুক্তি হবে
না।
.
গত ১০ বছরে
বাংলাদেশ থেকে ৪ লাখ
৪১ হাজার ৪২৪ কোটি
পাচার হয়েছে !
.
৪ শ নয়, ৪ হাজার নয়,
৪ লক্ষ কোটি !!--
আবারও Can you
Imagine?
.
এই টাকায় ৩ টা বাজেট
অনায়াসে পাশ
হয়ে যেতো !
.
হলমার্কের সাড়ে ৪
হাজার, বেসিক
ব্যাংকের ২ হাজার,
শেয়ার বাজার
থেকে ২ হাজার সহ
রাষ্ট্রীয় বহু খাত
থেকে হাজার হাজার
কোটি উধাও হয়ে
গিয়েছে !!
.
গত ১০ বছরে
বাংলাদেশের
কোটিপতির
সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০
হাজার ৬৮৭ জন!
- ৪০ হাজার ! --
আরেকবার can you
imagine?
.
বাঙ্গালী second home
বানাচ্ছে
মালেশিয়ায়। এ পর্যন্ত
মালেশিয়ায়
বাড়ি কেনার আবেদন
পড়েছে ৩
হাজার!
.
মালেশিয়ায় বাড়ি
করতে ব্যাংকে দুই
কোটি জমা লাগে,
মালেশিয়ান
ব্যাংকে ৭০ লক্ষ
deposit লাগে। মাসিক
আয় লাগে ২ লক্ষ !
.
প্রধানমন্ত্রীর
বেতনও দুই লাখ নয়।
আমাদের IT উপদেষ্টা
সজীব ওয়াজেদ
কিনতে পারবে।
.
বারাক ওবামার বেতন
২৫ লাখ হলেও,
হাসিনা পুত্র জয়ের
বেতন ১ কোটি ৬০
লক্ষ টাকা !
.
প্রশ্ন করবেন না-
'কেন?'
কবি এখানে নীরব !
.
দৃশ্যত মনে হবে দেশ
উন্নত হয়েছে।
আসলে তা নয়।
.
একটা নির্দিষ্ট অংশ
জুলুম-দুর্নীতির
মাধ্যমে ওপর অংশকে
শোষণ করে আজ
কোটিপতি। ওপর অংশ
দিনদিন নিঃস্ব
হচ্ছে।গ্রীসের মতো।
৬০০ পরিবার
গ্রীসকে নেংটা করে
দিয়েছে।
.
এরকম অর্থ পাচার
করে গত বছর গ্রীসের
মতো দেশ দেউলিয়া
হয়ে গেছে !
বিলিয়ন বিলিয়ন
ইউরো পাচার হয়েছে
সুইজারল্যান্ড সহ
অন্যান্য দেশে।
একদিন-দুদিন ধরে
ঘটেনি। দীর্ঘদিন
ধরে ধাপে ধাপে গ্রীস
আজ ফিনিশড।
.
যেখানে ইউরোপ
পর্যন্ত ধরা, সেখানে
আমরা তো তুইচ্ছা ছা
পোনা !
.
এই তো, ৪ দিন আগেও
ভারতের কাছে
থেকে কঠিন শর্তে
ঋণ নিলাম ১৫
হাজার কোটি !
.
A look back in History-
.
৭৪ এর দুর্ভিক্ষ কেন
হয়েছিলো জানেন?
.
তখনো এমন হরিলুট
চলেছিল। লুটপাট,
চোরাচালানি,
সিন্ডিকেট,
দুর্নীতির
ফলে খাদ্য সংকট দেখা
দিলো।
খাদ্যের অভাবে প্রাণ
হারিয়েছে
কয়েক লক্ষ লোক। শুধু
রংপুরেই ৩ মাসে
প্রাণ হারিয়েছে ৮০
হাজার। সেটাও
একটা গণহত্যা ছিলো।
.
বিচার হয়েছে এর?
.
হবে ইনশাল্লাহ হবে -
আমি প্রাইম-
মিনিস্টার হলে।
.
কিছু লোকে বলবে
যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশে
দুর্ভিক্ষ হতেই পারে।
স্বাভাবিক।
.
এমন যারা বলবে,
প্রথমে হাত-পা
ভালো করে বাঁধেন।
ঢাকা শহরে যেসব
খোলা জায়গায় পেশাব
করে, সেখানে
শোয়ায়ে দেন।তারপর
মুইত্যা দেন।
জিপার লাগান। এবার
তাদেরকে
বলেন-
.
যুদ্ধে ক্ষতি
হয়েছিলো ১২০০
মিলিয়ন
ডলার। ৭২-এর
আগস্টের আগেই
সাহায্য
পেয়েছি ৯০০ মিলিয়ন
ডলার। বছর
শেষেই ৩০০ মিলিয়ন
ডলার।
প্রায় প্রতি মাসেই
বিভিন্ন দেশ
থেকে সাহায্য
আসছিলো। তবুও দেখা
দিলো দুর্ভিক্ষ !
.
কিন্তু সাহায্য থেমে
থাকেনি।
দুর্ভিক্ষের বছর
অনুদান পেয়েছিলাম-
৯১৯.২ মিলিয়ন ডলার !
.
তবুও না খেয়ে মরতে
হয়েছিলো কেন?
.
কারণ?
.
এখনকার মতো তখনো
হরিলুট
হয়েছিলো ! শেখ মুজিব
সাহেব
'দাবায়া রাখতে পারে
নাই।'
.
তারমানে কি আমরা
আবারও
দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন?
.
আরে নাহ পাগলা-না। এ
গ্লোবালাইজেশনের
যুগে দুর্ভিক্ষ
হবেনা।
.
যতদিন বিদেশীরা
কামলা খেটে টাকা
পাঠাচ্ছে, ততদিন
দুর্ভিক্ষের আশা
করতে পারেন না।
.
তবে আমরা ভেঙ্গে
পড়েছি।
.
শুধু আর্থিকভাবে নয়,
সার্বিক ভাবে
ভেঙ্গে পড়েছি।
প্রতিটি সেক্টরে
দুর্নীতি !
মানহীন শিক্ষা-
অনৈতিক শিক্ষকতা,
অজ্ঞ ডাক্তার-
ত্রুটিযুক্ত চিকিৎসা,
অদক্ষ-দুর্নীতিযুক্ত
প্রশাসনসহ
রাষ্ট্রের রন্ধ্রে
রন্ধ্রে পঁচন ধরেছে !
.
কত বছর লাগবে ঘুরে
দাঁড়াতে আল্লাহ
মালুম।
.
কিছু মানুষের কাছে
মনে হবে-ঠিকই
আছে।আসলে ঠিক
নেই। তারা ভবিষ্যত
দেখছে না -
.
তারা একদিন মাইকেল
মধুসূদনের মতো
বলবে-
'আশার ছলনে ভুলি,
কি ফল লাভিনু
হায়,
তাই ভাবি মনে---'
.
ফুল ফোটে এতো ধীরে
যে সমস্ত রাত
জেগে পাহারা দিলেও
এর পূর্ণতা
দেখা যাবে না। কিন্তু
ফুটে গেলে হুট
করেই নজর কাড়ে।
বিমোহিত করে।
.
বাংলাদেশকে ভিক্ষার
দ্বারপ্রান্তে
এনে দাঁড় করাচ্ছে
বুঝতে পারছি না।
যেদিন দাঁড়িয়ে যাব
সেদিন অবাক
হবার সুযোগ থাকবে না।
.
দুঃখে loose motion হয়ে
যেতে পারে।
সেই loose motion
পাতলা ডাল মনে করে
কেউ খেলেও অবাক
হবেন না। ৭৪-এর
দুর্ভিক্ষে একজনের
বমি আরেকজনে
খেয়ে ফেলার ইতিহাস
আছে।
.
সমালোচকেরা বলেব-
'আরে হইসে, সমস্যার
কথা আমরাও
জানি। বক্কর-বক্কর
বাদ দেন। সমাধান
কী বলেন?'
.
যদি বলি- আসেন
রাস্তায় নামী।
বলবে- 'ভআইসাপ,
তলপেটে কামড়ায়।
টয়লেট ছাড়া থাকতে
পারি না।'
.
আসলে সমাধান নাই।
উপরওয়ালার
ইশারা ছাড়া। তবে
ধৈর্য ধরতে হবে।
.
কারণ বিধাতা দয়াময়।
তিনি সবকিছুই
দেন। কিন্তু টাইমিংটা
বড্ডই খারাপ
(আমাদের দৃষ্টিতে)।
চোরকে দেন
ক্ষমতা ডাকাত হবার।
ভালোকে করেন
অসহায়, মুখ বুঝে সহ্য
করার। নাটক-
নভেলে একেই বলা হয়
'নিয়তির নির্মম
পরিহাস।'
.
আমরা সেই পরিহাসের
শিকার। যার
একদিন শেষ হবে। তবে
নেংটু করে
দিয়ে যাবে তা সত্য।