মনের ভেতরে চাপা কষ্ট
মানুষকে তিলেতিলে কীভাবে শেষ করে দেয়।
শুধুমাত্র এই পৃথিবীর উপর, পৃথিবীর
মানুষরে উপর অভিমান করে এমন
করে চলে যাওয়াটা মেনে নেয়া খুব কঠিন। কিন্তু চুপ থেকে থেকে আমরা এমন অনেক
সমস্যা এতো বাড়িয়ে তুলি যে, এক সময় মনে হয়,
চুপ না থেকে যদি একটু স্বরটা উচু করতাম,
সবাইকে জানাতাম যে, আমার প্রতি অবিচার
অন্যায় করা হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই
আমরা তা করি না। ভেতরে ভেতরে গুমড়ে গুমড়ে মরি, বুক ফাটে তবু
মুখ ফোটে না। আমাদের ভন্ডামীর একটা সীমা থাকা উচিত।
ব্যক্তিগত / পারিবারিক বিষয়
বলে বলে আমরা কিছু কিছু পশুকে দিনের দিনের
পর দিন তাদের পরিবারের মানুষদের উপর
শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করার
বৈধতা দিই। এমনকি নিজে প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ
হলেও। আমাদের কবে চেতনা হবে যে, পারিবারিক
নির্যাতন কোন ব্যক্তিগত বা পারিবারিক
বিষয় নয়। এটা একটি সামাজিক ব্যাধি। আর
নির্যাতনকারীর এটা মানসিক রোগ। যদি পৃথিবীর কোন মূল্যবোধ আপনাকে শেখায়
যে, আপনি আপনার বউয়ের/ছেেমেেয়র মালিক।
আপনি তাদের নিয়ে যা ইচ্ছে তাই
করতে পারেন। তবে আপনি ভুল শিখেছেন। সমাজের অনেক নামী-দামী সুপ্রতিষ্ঠিত
সুনাগরিক আছেন। যাা বিভিন্ন জায়গায়,
সভা সেমিনার, ইত্যাদিতে নারী, শিশু,
মানবাধিকার নিয়ে বক্তৃতা দিয়ে থাকেন।
তারা বাসায় ফিরে নিজের কাজের লোক,
নিজের স্ত্রী, ছেলেমেয়েকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করতে দ্বিধা করেন না। এবং এটা একদিন
দুইদিন এর ব্যাপার না। এটা চলছে দিনের পর
মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ। আমি আমার মাকে আমার বোনকে দেখবো আমার
বাবার হাতে দিনের পর দিন মার খেতে,
রক্তাক্ত হতে, নির্যাতিত হতে।
আমি নিজে কিছু বলবো না। আর কেউ
বলতে আসলে বলবো এটা আমাদের ব্যক্তিগত,
পারিবারিক বিষয়। এটা যদি আমাদের সামাজিক মূল্যবোধ হয়। তাহলে এই মূল্যবোধ
আমার দরকার নেই।