somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মডু ফিচারিং ব্লগার :-B

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ভূমিকা: যারা ব্লগ লিখে তাদের কে ব্লগার বলা হয়। ব্লগার রা আর ২ - ৪ টা সাধারণ মানুষের মতো। এদের ও মানুষের মতো হাত, পা , চোখ , কান আছে। তবে ব্লগার হতে গেলে হাতের ই ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। ব্লগার রা ব্লগের প্রাণ এটা সর্বজনীন স্বীকৃত। মডু না থাকলেও ব্লগ চলে (যেমন : কলিকাতা ব্লগ ) কিন্তু ব্লগার না থাকলে ব্লগ অচল অনেকটা মাছ বিহীন পুকুরের মতো।

মডু আর ব্লগারের পার্থক্য :
১। সব মডুই ব্লগার কিন্তু সব ব্লগার মডু না - এই এক বাক্য দিয়ে মডু আর ব্লগারের পার্থক্য করা যায়।
২। ব্লগার ব্যান খাইতে পারে তবে মডুদের সেই সম্ভাবনা নেয়।
৩। ব্লগাররা মডুদের গালাগালি করতে পারলেও মডুরা তা পারে না।
৪। মডু হওয়ার জন্য গন্ডারের চামড়া লাগলেও ব্লগার হওয়ার জন্য মানুষের চামড়াই যথেষ্ট।
৫। ব্লগারদের প্রকাশ্যে সামনে আসার সাহস থাকলেও মডুদের সেই ক্ষমতা রহিত করা হয়েছে।

ব্লগারদের প্রকারভেদ:
বিভিন্ন ধরণের ব্লগার হয়ে থাকে। যেমন: ছেলে ব্লগার, মেয়ে ব্লগার, ছাইয়া ব্লগার, ক্যাচালবাজ ব্লগার ইত্যাদি ইত্যাদি। প্রত্যেক ব্লগারের একটা নিজস্ব নাম থাকে। এটা তাদের পিতা মাতা কতৃক দেয়া নাম না নিজ প্রদত্ত দেয়া নাম। কেউ কেউ আবার নিজ নিজ বাপ মায়ের দেওয়া নাম ব্যবহার করে এবং এরা নিজেকে নিয়ে খুব গর্ব করে। হাতের পাঁচ আঙ্গুল যেমন সমান নয় তেমন সব ব্লগার একই রকম না। কেউ কেউ ব্লগে লুলামি করতে আসে আবার কেউ কেউ লেখনীর মাধ্যমে দেশ ও জাতির উদ্ধার করতে আসে। ব্লগ লিখার জন্য এদের কে একাউন্ট খুলতে হয় (বিনা পয়সায়) এবং সাত দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হয় যদিও মডুদের আলসেমীর কারণে এই ৭ দিন কখনো কখনো সাত মাসে গিয়ে পৌছায়। অনেকেই এর মধ্যে কান্নাকাটি শুরু করে দেন। মডুকে তুলোধুনা করে পোস্ট দিতে থাকেন তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এদের পোস্ট প্রথম পাতায় যায় না বলে কেউ দেখে না। তারপর যদি কোনো ব্লগার সেফ হয়ে যায় শুভেচ্ছা জানিয়ে একটা পোস্ট দেয় মাঝে মাঝে মডুদের কেও ধন্যবাদ জানায়।

ব্লগারদের কার্যবিবরণী:

ব্লগারদের ব্লগে আসার উদ্দেশ্য ভিন্ন ভিন্ন। কেউ সাহিত্য চর্চা করতে আসে , আবার কেউ শুধু টাইম পাস করতে আসে। অনেকেই আবার ব্যক্তিআক্রমণ বা পূর্বশত্রুতার জের ধরে আসে। ব্লগাররা ব্লগে এসে আড্ডাবাজি করে আবার শাহবাগে গিয়ে মানববন্ধন ও করে। দু:খের বিষয় হয়লেও সত্য এখানে মডুদের কোনো ভূমিকা থাকে না বা থাকলেও তা উহ্য থাকে। ব্লগারদের মধ্যে ভাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখা গেলেও আসলে এরা একজন আরেক জনকে দেখতে পারে না। এক নিক দিয়ে পোস্টে + দিয়ে আবার অন্য নিক দিয়ে গালি দিয়ে যায়। এর মধ্যে পোস্টে তুমুল ক্যাচাল লেগে গেলেও পোস্ট বা কমেন্ট রিপোর্ট না করা পর্যন্ত মডুরা চুপ করে বসে থাকা ছাড়া কিছুই করে না। এসময় ব্লগারদের আপত্তিকর মন্তব্য বা পোস্ট না মুছার জন্য মডুকে দোষারোপ করতে থাকে। মানুষ মাত্রই মরণশীল আর মাল্টিনিক মানেই আক্রমণশীল।
ব্লগের বাইরেও ব্লগারদের দেখা যায়। অনেকে আবার আড্ডা মারার জন্য বা শাহবাগে মানববন্ধন করতে দেখা যায়। এছাড়া হালযুগে ব্লগারদের ফেসবুকে পরিচিতি হতে বেশি দেখা যায়। এর ফলে যা হবার তা হলো : ব্লগারদের মধ্যে সখ্যতা যেমন বেড়েছে তেমন এদের মধ্যে গ্রুপিং বা সিন্ডিকেট হওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে।যার প্রভাব পড়ছে ব্লগের উপর , ক্যাচাল যেমন বাড়ছে তেমনি মডুদের উপর চাপের পরিমাণ ও বাড়ছে। এই ক্যাচাল নিয়ে ব্লগে কত যে সংগ্রাম ঘটে গেছে তা আজ ব্লগের পাতায় পাতায় পড়ে আছে।
পরিচিতি বাড়ার কারণে অনেক ব্লগারের প্রেম এই ব্লগেই গড়ে উঠেছে। দিন দিন এর সংখ্যা বেড়েও যাচ্ছে। দু:খের কথা এই যে, মডুরা আজ পর্যন্ত কিছু করতে পারলো না।

মডুদের কাজের উপর ব্লগারদের প্রভাব:
ব্লগের জন্ম থেকেই দেখা গেছে যে, মডুদের উপর ব্লগাররা সব সময় ক্ষ্যাপা। কেউ কেউ আবার মডুদের চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করে দেয়। আফসোস এক্ষেএে ব্লগারকে ব্যান করা ছাড়া মডুদের কিছুই করার থাকে। এছাড়া মডুদের স্বজনপ্রীতি নিয়ে যুগে যুগে ব্লগারদের অভিযোগ তো আছেই। কিন্তু তারা বুঝতে পারেনা মডুরাও মানুষ আর কোনো মানুষই স্বজনপ্রীতির উর্ধ্বে নয়।

উপকারিতা:
ব্লগার একটি উপকারী প্রাণি। কিছু কিছু ব্লগার আছে যারা সারাদিন ব্লগেই পড়েই থাকে অনেকটা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো। যার ফলে ব্লগে হিটের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে ব্লগের যেমন ইনকাম হচ্ছে তেমনি ২-১ পয়সা মডুদের ও পকেটে আসতেছে। এছাড়া দেশের যেকোনো সমস্যায় মডুরা নীরব থাকলেও ব্লগারদের সরব থাকতে দেখা গেছে।

অপকারিতা:
ব্লগারদের উপকারিতা যেমন আছে,তেমন অপকারিতাও আছে। এদের জন্যই সারাদিন পিসির সামনে বসে ব্লগ পাহাড়া দেওয়া লাগে। যখন দুই পক্ষের মধ্যে ক্যাচাল লাগে তখন মডুদের পড়তে হয় মাঝখানে , দুই দিক হতেই গালগালি শুনতে হয়। এদের কে ব্যান করলেও এরা ক্ষান্ত হয় না। মাল্টি নিকে ফিরে আসে। মানুষ মরে গেলে পচে যায়, আর ব্লগাররা ব্যান খাইলে মাল্টিতে ফিরে আসে। তারপর আবার গালাগালি শুরু করে। তবে সুখের কথা হলো, ব্লগার যায় ব্লগার আসে কিন্তু মডুরা ঠিকই থাকে।

উপসংহার:
সর্বশেষে ব্লগে ব্লগারদের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ন। তারা আছে বলেই তো মডুদের একটা কর্মসংস্থান হয়েছে। তারা যতই গালগালি করুক না কেনো ব্লগার আর মডুদের অবস্থান সব সময় একই সরল রেখায় যদিও তা বিপরীতমুখি।



সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩১
৫০টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×