দেশের সোনা মসজিদ বর্ডার দিয়ে ঢুকতে পারেন। সেখান থেকে ভারতের মালদহ স্টেশন প্রায় দুই ঘন্টার পথ। ট্যাক্সি নিতে পারেন। মালদহ থেকে কয়েক স্টেশন পরে ফারাক্কা, একটা জায়গার নাম। এইখানেই সেই ঐতিহাসিক ফারাক্কা বাঁধ। বাংলাদেশে প্রবেশের আগে গঙ্গার উপর আড়া আড়ী করে এই বাঁধটি দেয়া হয়েছে। গাড়ী করে বাঁধের উপর দিয়ে যেতে পারেন ভাল করে দেখার জন্য। শুষ্ক মৌসুমে গেলে ভাল হয়। দেখবেন একদিকে শুধু থৈ থৈ পানি আর অন্যদিকে পানির এক ক্ষীন স্রোত ধারা, এটাই কিছুদুর গিয়ে নাকি পদ্মা নাম ধারণ করবে! সারি সারি বিশাল বিশাল গেট দিয়ে পানি আটকে রাখা হয়েছে ভারতীয় অংশে। এই সকল গেটের দু থেকে একটি আংশিক খুলে রাখা হয়েছে এইকারনে যাতে ওপারের পানির লেভেল বিপদসীমা অতিক্রম না করে, বাংলাদেশের পানির চাহিদা মেটানোর জন্য নয়। আংশিক খুলে রাখা গেটের যে ক্ষীন স্রোতধারা তাই দিয়ে নাকি বাংলাদেশ নামক এক আজব দেশের ১৫ কোটি লোকের জীবন জীবিকা কৃষি এগিয়ে চলবে তর তর করে। হাসিনা খালেদা নিজামী এই চিন্তা চক্রের বাইরে বের হয়ে যদি কখনও আমরা এই দেশের, এই অভাগা জনগনের স্বার্থ নিয়ে কোনদিন ভাবতে শিখি, তবে হয়তো এই বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে একপাশের থৈ থৈ জলরাশি আর একপাশের আবর্জনা পূর্ন ক্ষীন স্রোতের দিকে চেয়ে বাংলাদেশের শত্রু মিত্রকে চিনে নিতে পারব।
< আমার পূর্বের এক পোস্টে আমার এক কমেন্ট থেকে তুলে দিলাম>
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০১০ রাত ১১:৫৭