২৩/৭/১৯৭১, শুক্রবার
১.
মা ও আব্বাজান,
আমার সালাম ও কদমবুসি জানিবেন। আজ কয়েকদিন গত হয় আপনাদের নিকট হইতে বহুদূরে অবস্থান করিতেছি। খোদার কৃপায় মঙ্গলেই পৌঁছিয়াছি। হযরতের কাছ হইতে হয়তো এ কয়দিনে একখানা পত্র পাইয়াছেন।তাহা হইতেই বুঝিতে পারিয়াছেন আমি কোথায় আছি। আমি ভাল আছি। আমার জন্য সবাইকে ও আপনারা দোয়া করিবেন। শ্রেণীগতভাবে সবাইকে আমার সালাম ও স্নেহাশিস দিবেন। নানা অসুবিধার জন্য খোলাখুলি সবকিছু লিখিতে পারিলাম না।
ইতিঃ হাকিম
N.B. হয়তো মাস দুই পরে বাড়ি ফিরিব। আবার তা নাও হইতে পারে।
২.
শ্রদ্ধেয় মামাজান,
আমার ভক্তিপূর্ণ সালাম ও কদমবুসি গ্রহন করিবেন। আশাকরি ভলো আছেন। আমরা আপনাদের দোয়ায় ভালোই ভালোই আছি। আমার জন্য কোনরূপ চিন্তা করিবেন না। দোয়া করিবেন যেন ভলোভাবে আপনাদের নিকট ফিরিয়া যাইতে পারি ও উদ্দেশ্যকে সাফল্যমণ্ডিত করিতে পারি। অধিক কি আর লিখিব। আমাদের বাড়িতে সংবাদ দিবেন।
ইতি
আপনার স্নেহের মতি
===============================
একই কাগজে পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধা চিঠি লিখেছেন। তাঁদের মাধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মতি শহীদ হন। তাঁরা চিঠিগুলো লিখেছেন পশ্চিম বঙ্গের করিমগন্জ্ঞ স্টশনের নিকটবর্তী কচুয়াডাঙ্গা হাইস্কুলের ট্রনজিট সেন্টারে অবস্থান কালে। পত্র লেখকদের নামঃ হাকিম, হাশমত, হাসু, মতি ও মোতালেব। বইটিতে হাকিম ও মতির চিঠি প্রকাশিত হয়েছে।
চিঠি প্রাপকঃ মোঃ শামসুল আলম, প্রযত্নেঃ মৌলভী সেহাবউদ্দিন, গ্রামঃ নলসন্দা, পোঃ ডিগ্রীর চর, উল্লাপাড়া, পবনা (বর্তমানে সিরাজগন্জ্ঞ জেলা)
চিঠি পাঠিয়েছেন: মোঃ শামসুল আলম। তিনি বর্তমানে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের দিনাজপুর দক্ষিনের উপমহাব্যবস্থাপক।
===============================
একাত্তরের চিঠি সংকলনের টেক্স্ট কন্টেন্ট রিভার্সিং: একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:১৩