ভূমিকা: আগে আমরা বানরের নাচ দেখতাম। একজন লোক বানর নিয়ে বিভিন্ন ভাবে খেলা দেখাতো। মালিকের হুকুমে বানর নাচতো। আমরা এই নাচ ও বিভিন্ন কর্মকান্ড দেখে খুব আনন্দ পেতাম।
মূল কথা: আমদের ইউনিয়নে কিছু বোকা লোক আছে। ওরা বোকা নাকি পাগল কিছু বোঝা যায় না। আমার দৃষ্টিতে আর হয়তো Autistic রোগে আক্রান্ত। অনেকে তাদের সাথে মজা লয়, মশকরা করে, দুষ্টামি করে। কোন একদিন আমি বাজারে গিয়েছিলাম। যেকোন কাজে হউক। বাজারের কোন এক স্থানে এক পাতিনেতা দাড়ানো। মুরব্বি গোছের পাতিনেতা। সেই পাতিনেতা কে এক আরেক মুরব্বি Autistic ধমকাচ্ছে। “আমাগো ভাতা কই? আমি চেয়ারম্যান কে ভোট দেই নাই। আমি আপনাকে ভোট দিছি। আমার ভাতা দেন। এখনই।” এই জাতীয় কথা বলছিলো সেই Autistic লোকটি। সম্ভবত নির্বাচনের আগে ঐ পাতিনেতা ঐ Autistic লোককে বলেছিলো “এই চেয়ারম্যান কে ভোট দেও। এই চেয়ারম্যান কে ভোট দেওয়া মানে আমাকে ভোট দেয়া। তুমি যদি এই চেয়ারম্যান কে ভোট দেও তাহলে সে তুমাকে ভাতা দিবে” এখন সহজ সরল সেই Autistic ব্যাক্তি সরল মনে চেয়ারম্যান কে ভোট দেয়। পরে যখন সেই Autistic সরকার থেকে ভাতা পাচ্ছে না; আর চেয়ারম্যানকেও খুজে পাচ্ছে না তখন হয়তো ঐ পাতিনেতা কে ধরে এভাবে শাসাচ্ছে।
আমাদের ইউনিয়নের মত প্রত্যেক ইউনিয়নে ভবঘুরে কিছু পাগল থাকে। এদের পাগলও বলা যাবে না আবার সম্পন্ন সুস্থও বলা যায় না। মানে জীবনে চলার মত পর্যাপ্ত বুদ্ধি তাদের জন্ম থেকেই ছিলো না। এমনও না যে তারা কোন এক সময় স্টোক করেছিলো। স্টোক করার পরে তাদের বুদ্ধি লোপ পড়েছে। মনে আছে একজন Autistic একজন মুরব্বি পাতিনেতা কে শাসাচ্ছিলো। যেকোন নির্বাচনের আগে এই ধরনের মুরব্বি পাতিনেতারা এই ধরনের পাগলদের কে নাচায়। যেমনটি একজন মালিক তার পোষা বান্দর কে নাচায়। এই নাচ দেখে জনগণ মজাপায়। হাততালি দেয়। এই হাততালি পেয়ে ঐ ধরনের পাগলারা নিজেদের বড়কিছু ভাবে। এই হাততালি পেয়ে তারা নিজেদের সুপারস্টার মনে করে। এই হাসি যে তাচ্ছিল্যের হাততালি সেটা বুঝার ক্ষমতা সেই পাগলের নাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৯