somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাগজের দাম

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কাগজের দাম।
একসময় ছিলো যখন মানুষের মুখের কথায় দাম ছিলো। আমাদের দাদা দাদী বা নানা নানীর বিয়ে হয়েছিলো কালেমা পড়ে। কোন কাবিন বা রেজষ্ট্রি এর মত ডকুমেন্ট করা হয় নি। এখানে শুধু মাত্র দাদা বা দাদীর মুখ থেকে বাহির হওয়া “কবুল” শব্দ বাহির হবার কারনে তাদের বিয়ে হয়েছিলো।
দাদায় ও দাদীকে বিশ্বাস করতো আর দাদীও দাদা কে বিশ্বাস করতো। তাদের মধ্যে বোঝাপড়া ছিলো। তাদের মধ্যে ভালোবাসা ছিলো।
শুধু তাই না কেউ যদি বলতো “সমস্যা নাই আমি আপনাকে ওমুক সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিবো” ঠিকই ঋণগ্রহীতা টাকা ফেরত দিতো।
আর এখন “কাবিন” করেও সংসার টিকানো যাচ্ছে না। আবার স্ট্যাম্প করে টাকা ধার দিয়েও টাকা ফেরত নেয়া যায় না। তাহলে এখন মানুষের মুখের কথার দাম রইলো কই। এখন মানুষের মুখের থেকে কাগজ বা ডকুমেন্ট এর দাম খুব বেশী।
দেখা যাবে টাকার মত কাগজের দাম খুব। এক একটি নোটের দাম ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ২০০, ১০০০।
আবারে দেখা যাবে এসব কাগজ থেকে ১০,০০০ টাকার চেকের দাম খুব বেশী।
এদের থেকে আবার সম্পত্তির দলিলের দাম খুব বেশী।
এ তো গেলো সম্পত্তি এবং টাকার হিসবা নিকাশ।
মাঝে মাঝে ক্ষেত্র বিশেষে কাগজের দাম পরিবর্তন হয়।
যেমন পরীক্ষার হলে আপনার উত্তর পত্রের দাম বেশী। সেটা প্রশ্ন উল্লেখিত সময় পযর্ন্ত। তখন আপনার বন্ধু যদি বলে “বন্ধু। তুমাকে ১০,০০০ টাকা দিবো। তুমি লেখা থামাও।” আপনি কি লেখা থামাবেন?
আপনি সরকারি অফিসে নিয়োগ পেয়েছেন। সেক্ষেত্রে আপনার তখন সকল টাকার চেয়ে “নিয়োগ পত্রের দাম বেশী হবে।”
আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র, ড্রাইবিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট , এসএসসি- এইচএসসি সার্টিফিকেট সহ সকল শিক্ষগত যোগ্যতার সনদের দাম বেশী।
বর্তমানে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মত “নাগরিকত্ব” সনদের মূল্য খুব বেশী।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণমাধ্যম আক্রমণ: হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন নূরুল কবীর ও নাহিদ ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:০৫


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রক্তস্নাত পথ পেরিয়ে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, সাম্প্রতিক মব ভায়োলেন্স এবং গণমাধ্যমের ওপর আক্রমণ সেই স্বপ্নকে এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। নিউ এজ... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার শিশুদের উদ্দেশ্যে - আমরা তোমাদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছি

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৫


তোমরা এসেছিলে মাথার উপর বোমা পড়ার ভয়ার্ত গল্প নিয়ে। যে বোমা তোমাদের ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে, লোকালয় ধ্বংস করেছে। আমরা কান বন্ধ করে উদাসীন হয়ে বসে ছিলাম। তোমরা এসেছিলে ছররা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯

রিকশাওয়ালাদের দেশে রাজনীতি

সবাই যখন ওসমান হাদিকে নিয়ে রিকশাওয়ালাদের মহাকাব্য শেয়ার করছে, তখন ভাবলাম—আমার অভিজ্ঞতাটাও দলিল হিসেবে রেখে যাই। ভবিষ্যতে কেউ যদি জানতে চায়, এই দেশটা কীভাবে চলে—তখন কাজে লাগবে।

রিকশায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবিতে গণতন্ত্রের নামে মবতন্ত্র

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১০



তথাকথিত গণতন্ত্রকামীদের পীর আল্লামা পিনাকী এবং ছোট হুজুর ইলিয়াস মোল্লার উস্কানীতে দেশজুড়ে চলছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে মবতন্ত্র। আল্লামা পিংকুর যুক্তি হচ্ছে- যে বা যারাই তাদের (গণতন্ত্রকামীদের) সূরে কথা না... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী বিপ্লবীর মৃত্যু নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



শরিফ ওসমান হাদি। তার হাদির অবশ্য মৃত্যুভয় ছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, আলোচনা ও সাক্ষাৎকারে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি অনেকবার তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর কথা বলেছেন। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×