somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লিসানীর স্টিকী (চুলকানী) পোস্টের জবাব

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লিসানি ভাইএর ফরমায়েসী লিখাটার জন্য ধন্যবাদ, এইডা আমাকে কিছু সত্যি লিখার সুযোগ করে দিল,
৪৭ এর ভারত ভাগের পরে এত বড় একটি সতস্ফুর্ত পোগ্রামের সমালোচনায়, আপনার তুলে আনা যুক্তি গুলো এই আন্দোলনের বালি বরাবরও ক্ষতিগ্রস্তু করবেনা, তবুও ঈমানের দাবী থেকে আমার এই লিখা,
যদিও আপনার লেখার ৮০% জুড়ে পাকিস্তানের ভাগেরা ভাগেরা কাহিনি, কিন্তু ফাইনালী সব কিছুর দোষ জাঁরলেণ হেফাজতএর উপর।
তাদের দোষ তারা অহিন্স ঊপায়ে বাঙ্গাল দেশে একটা মহা গন জাগরন করে ফেলেছে, আপনাদের সরকার এত আয়োজন করে যে সুনামী কে থামাতে পারিনি, আফনি আর আপনার পেয়ারা সামু মিলে ব্যাঙ্গের পেচ্চাব এই পোস্ট দিয়া হেফাজত সুনামী টেকানোর যে দুঃসাহস দেখিয়েছেন তার জন্য আন্তরিক মোবারকবাদ রইল।
্যদিও আপনার লেখায় কে কোন চিপাইয় কি ফেলছে তার ফিরিস্তি দিছেন, কিন্তু হেফাজতের তেরো দফা কিছুই বললেন না , নাকি আপনি এসব চান না। আপনী যদি ইমানদার দাবী করেন এ নিয়ে দুইটা কিছু লিখতেন, যেহেতূ আপনি তা করেন নি ধরে নিচ্ছি আপনি বা আপনি যাদের মুখপাত্র তারা এই দাবীগউলির একটাও সমর্থন করেন না, যুদি নাই করেন আপনার মসুওল্মান দাবী করার অধিকার আছে কি নাই তা আপনার বিবেকই বলে দিবে।

আপনি প্রথম পেরাই বলেছেন “চট্টগ্রামে অরাজনৈতিক ইসলামিক প্রতিষ্ঠানে আগুন ”
মিথ্যা,
এই গাউসিয়া কমিটিরা মোটেও অরাজনৈতিক নই, তারা ইসলামিক ফ্রন্টের বেনারে, মোমবাতি প্রতিকে নির্বাচন করে। মূলত মাজার ব্যবসায় এদের ইসলাম। এই ইসলামী ফ্রণ্ট হেফাজতের হরতাল প্রতিহতের ডাক দিয়েছিল, এবং নাস্তিকদের পক্ষে তাদের অবস্থান স্পস্ট করেছে যা আমরা টীভির পর্দআয় অহরহ দেখি, এবং এই গাউসিইয়া কমিটীর অনেক হুযুরই শাহবাগ বা প্রেস ক্লাব হতে বায়াত নিয়ে আসছে, (আমার এলাকার দুইজন গাউসিয়া ওয়ালা কে আমি জানি যারা এই কাজ করছে)
তবুও আগুন দেয়া সমর্থন করিনা, কেন আগুন দেওআ হল, হয়ত গাউসিয়া রা হেফাজত কে প্রতিরোধ করতে গেছিল, কয় সেদিন তো শাহবাগ দুই মিনিটেই তুলে দেয়া যেত, হেফাজত তো তা করেনি, তারা অহিংস হতে চাইনি বলে।
বরংচ বিনা উস্কানিতে এই গাউসিয়ারাই সেদিন পুর্বাপর হিংসা চরিতার্থ করতে গিয়ে পটীয়াস্থ ক্রসিং মোরের মসজিদ ও মাদ্রাসায় হামলা করে, শিক্ষকদের তো পিটায়ই নি, এদের নুরানী বিভাগের ৮-৯ বছরের ছাত্রদের আঁচড়িয়ে আঁচড়িয়ে মাটীতে ফেলে। কি সেই বিভতসতা আমি সচক্ষে দেখে এসেছি, আমার কাছে রেকর্ড, ভিডিও ও ছবি তোলা আছে। বড় বড় কোরান শরিফ ও তাফসীর ফেলে দেয়।
যদিও এই মাদ্রাসার কেঊ হেফাজতের প্রগ্রামে এটেন্ড করেনি।



হাদ্বরাত শাহজালাল ইয়ামানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহির মাজার

বাংলাদেশের মানুষ এম্নি এম্নি মুসলমান হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ তলোয়ার দেখে মুসলমান হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ হিন্দু মন্দির একের পর এক ধ্বংস করে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে, পিটিয়ে দেশছাড়া করে তাদের মন জয় করেনি, মুসলমান হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ ইসলামের মহত্ত দেখেছে। উদারতা দেখেছে।
বাংলাদেশে আজকে কমবেশি ৯০% মুসলমান হওয়ার পিছনে মূল অবদান ছিল মাত্র তিন-চারজন ব্যক্তির। তাদের ভালবাসা, তাদের উদারতা, তাদের সহিষ্ণুতা, তাদের প্রশান্তি।

খাজা মুঈনুদ্দীন আজমিরি র., যিনি ছিলেন সূফি সাধক। চিশতীয়া তরিক্বার ইমাম। শাহজালাল ইয়ামানি র.। না। তিনিও শুধু মক্তবধারী আলিম নন। তিনি প্রধান প্রতিনিধি ছিলেন সোহরাওয়ার্দিয়া তরিকার ইমাম সোহরাওয়ার্দী র.'র। আর সোহরাওয়ার্দী র. ছিলেন ক্বাদিরিয়া তরিকার ইমাম গাউসে পাক জিলানী র.'র অন্যতম প্রতিনিধি। শাহ মাখদুম র., রাজশাহী। তিনি ছিলেন গাউসে পাক জিলানী র.'র দৌহিত্র। তাঁর প্রতিনিধি বা খলিফা। শাহ আলী র., মিরপুর। তিনি ছিলেন ক্বাদিরিয়া ধারা ও চিশতিয়া ধারার প্রতিনিধি। এই কথা অস্বীকার করার কোন যো নেই। কারণ, শাসন কখনো মুসলিম করতে পারে না। কখনো করতে পারেনি। ভালবাসা পেরেছিল, পারছে, পারবে।

ঠিক কী কারণে শাহজালাল র.'র পবিত্র সমাধিতে পরপর আটবার, আট আটটা বার বোমা হামলা হল? শাহ জালাল র. কোন্ ভুল করেছিলেন বাংলাদেশে ইসলাম এনে? যে বোমা হামলা হল, সেগুলোতে আহত হয়েছেন যাঁরা, তাঁরা কোন ধর্মাবলম্বী?
এই বোমা হামলা কি হেফাজত করেছিল, হন্ডে আদিনাথের পাহাড়, হন্ডে ছলে খের হার। না হেফাজতের কোন নেতার এর সাথে সম্পৃক্ততা আছে? তাইলে তো ভাই সামনে আপ্নারা দরবেস বাবার শেয়ার মার্কেটের টাকা মারার সাথে হেফাজতের লিংক খুজবেন, কেননা দরবেস বাবা দরবেশ, দাঁড়ি ও আছে। বরঞ্চ এই বোমা হামলা গুলি ছিল ইসলামি দল সম্ররথিত বিএনপি সরকারকে জঙ্গী টেগ দিতে ভারতের প্লটে আওয়ামের গেম ছিল। বি এণ পী এদের গ্রেফতার, সবোচ্চ বিচার করলেও এর পিছনের আওয়াম শক্তিরে বাইর না করে বড় ভুল করছে, শাইক আব্দুর রহমান কার ভগ্নিপতি ছিল ভাই তথ্য টা দিয়া যাইয়েন।




চট্টগ্রামের দশ আলিম হত্যার জন্য হামলা
দশজন আলিম। তাঁদের কেউ মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি পর্যায়ের ডিগ্রিপ্রাপ্ত, কেউ ভারত-পাকিস্তান ও আরবের বড় বড় মাদ্রাসায় পড়েছেন, কেউবা শুধু দেশেই। তাঁদের কেউ শায়খুল হাদিস (১ লক্ষ হাদিসে পূর্ণ দক্ষতা না থাকলে কাউকে শাইখুল হাদিস বলা যায় না।) কেউ মুফাসসির ( ১৫ টির অধিক তাফসির গ্রন্থে সার্বক্ষণিক দক্ষতা না থাকলে মুফাসসির বলা যায় না) কেউ মুফতি (ফিকাহ ও উসূল আল ফিকাহ্ শাস্ত্রে দক্ষতা না থাকলে মুফতি বলা যায় না। আলীয়া পর্যায়ে মুফতির সমমান হচ্ছে এমফিল। কারণ আলীয়া মাদ্রাসা পর্যায়ে মাস্টার্সের সমমান কামিল শেষ করার পর দুই বছর সময় লাগে মুফতি ডিগ্রি পেতে। কোন শর্ট কোর্স নয়।) কেউ বিশ্বখ্যাত অনুবাদক (কুরআন, হাদীস, তাফসির ও হাদীসের বর্ণনার অন্তত ৪০০০ পৃষ্ঠার অনুবাদ করার অভিজ্ঞতা সম্পণ্ন।) আর একজন তো স্বয়ং জাতীয় মসজিদের সম্মানিত খতিব!

কেন?
কারণ জানা গেল, তাঁরা যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করেছেন যে, সাঈদী ভুল তাফসির করে। জানা গেল, এই কথা তাঁরা গত চার দশক ধরেই বলে আসছেন। জানা গেল, তাঁরা এই বিষয়ে বই লেখেন।
এতবড় অপরাধ! হত্যা তো করতেই হবে!

এইডা তো আফনেরা কইছিলেন শিবিরের কম্ম, যদিও যাদের আফনেগো ফুলিস বানচে তাদের সাথে শিবির লিংক এখনো দাঁড় করাইতে পারেন নাই।
সমস্ত প্লট টা তো অই হিন্দু অফিসার কর্তৃক প্রনিত যার হাত এক কিশোরের রক্তে রঞ্জিত,
কিন্তু ভাই এখানে হেফাজত আসল কত্তেকে। দশজনের একটা লিস্ট কইরা বললেন এইডা হিট লিস্ট, অইলো এইবার খালি বান্দ, আপ্নারা পারেন ও ভাই। আমাদের নবী (সাঃ ) ও তার পরিবার নিয়ে এত কিছু করল তখন এই আলেমরা একটা শব্দ করলনা, নিজেদের নাম লিস্টে আসার পর তাদের লাফালাফি স্টার্ট। চাচা আপন পরান বাঁচা। নাকি আলোচনার পিছlনে চলে যাওয়াতে আলোচনার পাদ-প্রদীপে আসার লক্ষ্যে ওই হিন্দু অফিসারের সাথে আপানারাও আছেন এই গেমসে। (যদিও হেফাজতের উত্তানের সাথে সাথে আপনাদের দর বেড়েছে, আওয়ামী লিগ, নাস্তিকরা আপনাদের গোনায় আনছে, সামনের সারিতে রেখে নিজেদের আস্তিকতা জাহির করছে, ভাল অঙ্কের টাকা আফনেগো ব্যাঙ্ক একাঊন্টে যাচ্ছে , বাগেরা বাগেরা। হেফাজত রে এই জন্য অন্তত মন থেকে দোয়া কইরেন, মুখে না বল্লেও চলপে, তাতে না আবার নেত্রী ভেজার হয়)



সাইয়্যিদ আল বুতির জন্য কান্না
সাইয়্যিদ (নবী বংশীয়) আল্লামা, শহীদ আল মিহরাব, গ্রেইট ইসলামিক স্কলার অভ লেভ্যান্ট, মুহাম্মাদ সাঈদ রামাদ্বান আল বুতি আর কতদিন বাঁচতেন? উনআশি বছর বয়স। কিন্তু তাঁর দৌহিত্র, ছেলের ছেলে বাঁচতো আরো বহুদিন। বাচ্চা একজন।
তাঁরা দুজনেই, এই মার্চ মাসের ২১ তারিখ, মসজিদে কুরআন হাতে শিক্ষা দেয়া কালীন অবস্থায় এই জঙ্গী গোষ্ঠীর আত্মঘাতী বোমা হামলায় শহীদ হন।

আল বুতি অপরাধী। আল বুতিকে বোমা মেরে উড়িয়ে দাও! কারণ তিনি ষাটটার উপর বই লিখেছেন। কারণ তাঁর বক্তব্য দেশে দেশে টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। কারণ তিনি আল আযহার বিশ্ববিদ্যালয়ে শরিয়াহ বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী। কারণ তিনি দামেষ্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র!

সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক ও ইরানে এই সূফি সাধক শাইখের বক্তব্য প্রকাশিত হয়। তাঁকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে খাক করে দাও!

শাইখ সাইয়্যিদ আল বুতি অপরাধী। কারণ তিনি আস সালাফিয়্যাহকে বলছেন আল-লা মাজহাবিয়্যাহ্। তিনি অপরাধী, কারণ ফিক্বাহ, উসুল আল ফিক্বাহ, শাফিই মাজহাব, মাজহাব ছাড়াই পূর্ণ ইসলামের শরিআহ্ তে ছিলেন একজন পূর্ণ পন্ডিত। তিনি কথা বলেন কেন? তাঁকে ছিন্নভিন্ন করো বোমাতে। হুমকি দাও বছরের পর বছরের পর বছর জুড়ে।

সাথে সাথেই, মসজিদের ভিতরে মারা যান ৩০ জন মানুষ । কোন্ ধর্মের তারা? পরে মারা যান আরো ১৫ জন , কোন্ ধর্মের তারা?


শাইখ সাইয়্যিদ আফেন্দি আল চিরকেয়িস্কি


যাঁর উপাধী, মহান আল্লাহর প্রতি প্রেরণায় উৎসাহিত, যাঁর বয়স ৭৫ বছর, তাঁকেও কি বাসায় ঢুকে পাঁচ পারিবারিক সদস্য সহ বোমা মেরে খুন করতে হবে?

২৮ আগস্ট, ২০১২। কোনও সুদূর মধ্যযুগ নয়। মহান সূফি সাধক আফেন্দিকে কবরে নামানোর আগে চোখ মুছছেন দিগন্ত বিস্তৃত জানাজায় অংশ নেয়া লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাশিয়ার দাগিস্তানে, তাঁর শহর চিরকিয়েস্কে।

The suicide bomber who killed Chirkeisky and at least five of his followers on August 28 has been identified as Aminat Saprykina. Russian media quoted security officials as saying she was the wife of a fundamentalist Islamic militant who has long been on the police wanted list.
জবাব চাই হেফাজতে ইসলামের সমর্থকদের কাছ থেকে। তালিবান-আল ক্বায়িদাহ্- শিবির আর হিজবুত তাহরীরের নারী ও পুরুষ সমর্থকদের কাছ থেকে, আপনারাই ভাল বলতে পারবেন, কোন্ বিষ এই নারীর কানে ঢালা হয়েছিল?



মাত্র ৪২ জন, লাহোর


দাতা গঞ্জবখশ আউলিয়া, বা শেখ ফরিদুদ্দিন আত্তার বা শেখ ফরিদ নবী বংশীয় একজন ইসলাম প্রচারক, সাধক। তিনি চট্টগ্রামের চশমা পাহাড়েও অবস্থান করেছিলেন, বাংলাদেশেও ইসলাম প্রচার করেছিলেন।

A Taliban fighter told reporters his group carried out the attack, the third on Sufi shrines in a year.

দু বছর আগের কথা। লাহোরে তাঁর পবিত্র মাজারে বোমা হামলা হয়। একেবারে ভিতরে। কারা ছিলেন সেখানে? মুসলিম সবাই। আলিম, শাইখ আর শিশুও।

পরের ছবিতে মাজারে যে বোমা হামলা হয়, তাতে এত মানুষ মরেনি । মাত্র চারজন। এছাড়া আরেক হামলায় পাকিস্তানেই ২ জন ।
আরো হামলা- Last week, the grandson of a prominent Sufi cleric was killed when a roadside bomb targeted the cleric's convoy.



৫২ জনকে মাজারে বোমা মেরে হত্যার দায়ে তালেবান নেতার ফাঁসি

In the sixteenth attack on Sufi shrines in two years, Taliban suicide bombers killed 49 and injured 93 Sufi devotees at a shrine
এই হামলাটা ছিল দুই বছরে ১৬ তম হামলা!

পাকিস্তানেই, লাহোর থেকে ৪০০ কিলোমিটার উত্তরে এন্টি টেরোরিজম কোর্ট ২০১০ সালে হজরত শাখি সারওয়ার বাবার মাজারে বোমা হামলায় ৫২ জন মানুষ হত্যার দায়ে আক্রমণের মূল পরিকল্পনাকালী তালেবানের নেতা বেহরাম খান সহ আক্রমণ পরিকল্পনাকারী ৫২ জনকে মৃততুদন্ড প্রদান করেন।

৫২ যাবজ্জীবন দন্ড হয় আরেক আত্মঘাতী হামলাকারী, হামলার সময় ধরা পড়ে যাওয়া ১৪ বছর বয়েসি বাচ্চা ছেলে ওমর ফিদায়ি এর।

ওই হামলায় ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়।

তেহরিক ই তালেবান পাকিস্তান যখন পুরো আদালত উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিতে থাকে, তখন পাকিস্তান সেন্ট্রাল জেলে সরিয়ে নেয়া হয় আদালত।


শিয়া সমাগম, নামা ও মরণ
গত ত্রিশে ডিসেম্বর। পাকিস্তানের কোয়েটায়, ধর্মীয় উদ্দেশে রওনা হওয়া শিয়াদের বাসের সবটুকু উবিয়ে দেয়া হয়। বিশজন মৃত। পঁচিশজন কী করে বেঁচে ছিল এ এক রহস্য। আর গত ১৭ জানুয়ারি, ইরাকে একই ঘটনা। একই দিনে পথে দুই জায়গায় বিষ্ফোরণে নিহত ৭ জন। আবার এর বাইরে ৪ জন। আবার একই সপ্তাহে বোমা বিষ্ফোরণে ৪২ জন। গত এক দশকেই শত শতবার হামলা হয়েছে হাদ্বরাত আলী রা., হাদ্বরাত হুসাইন রা. ও তাঁদের অনেক বংশধরের পবিত্র সমাধিতে। হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে সেসব হামলায়। মানুষ। যারা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ কালিমা পড়ে, তারা। অনেক অনেক বার ভেঙে পড়েছে তাঁদের পবিত্র মাজারের গম্বুজ, মিনার।
অসংখ্যবার হামলার দায় স্বীকার করেছে আল কায়েদা ও তালেবান গোষ্ঠী।

ভাই আফনে তো একজন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ। আমি আফনার আঙ্গুলের ও সমতুল্য না।
কিন্তু এইডা বুজিনা, আমেরিকা যখন ইরাক,আফগানিস্তান, ভারত যখন কাস্মিরে, ইস্রাইল ফিলিস্তিনে,
কিংবা আমার বাঙ্গালী চাটগা ভাষী ভাই মগদের দ্বারা সতে সতে মরছে তখন, আপনাদের বিবেক প্রতিবন্ধি, আপনারা এই নিয়ে আলোচনা কে অপছন্দ করেন, কি বলেন, । লাখে লাখে গনহত্যা যারা করে তাদের কাছ থেকে আফনারা মডারেট মুস্লিমের সার্টীফিকেট নেন। আর হেফাজতের সাথে পাকিস্তানের বোমা হামলার লিঙ্ক খোঁজেন, বাহ বাহ। রোহিঙ্গা দের নিয়ে অন্তত একটা পোসট স্তিকী হলনা, আপ্নারটা হল কেননা এখানে হেফাজত কে আপনি বাঁশ দিতে চেয়েছেন, অন্য কোন কারনে না। পাকিস্তানে যে সব বোমা হামলা হচ্ছে তার অনেকগুলির পিছনে আমেরিকা বা ভারতের লাখো ডলারের ইনভেস্ট আছে, আমাদের শায়েক আব্দুর রহমানের কাছে পাওয়া ডেটোনেটোর গুলি ছিল মেড ইন ঈন্ডিয়া, মার্ক কম্পাণীর কেমিকেল গুলিও ছিল আপ্নাগো ভারত মাতার উদরে তৈরি। ভারতের বিএস এফ গরু বেপারীদের গন্ডায় গন্ডায় মারে, এগুলি কেম্নে আসল তাদের সীসা ডালা নিরাপত্তা ভেদ করে,
ভাই মাসুম নামের আম্বালীগ যে শোট গান নিয়া সেদিন মানুস মারল তা তো ছবি তে প্রমান, এ নিয়ে একটা পোসট দেন, নাকি তাদের জন্য অস্ত্র হাতে নামা জায়েজ,
হেফাজতের কাউকে তো কখনো একটা ছুরি হাতেও দেখা যায়নি রে ভাই, দেখা গেলে আপনি সেটা প্রথমেই উল্লেখ করতেন,



যে কথা বলার কোন মানে নেই

মওদুদীর আদেশে পাকিস্তানে ৪,০০০ কাদিয়ানী নিহত হয়। তাদের বিশ্বাস ভুল ছিল, তারা অমুসলিম, খুব ভাল কথা। তাই তাদের হত্যা করা হয়। মওদুদীর ফাঁসি হলেও মধ্যপ্রাচ্যের চাপে তাকে খালাস দেয়া হয়। পরকালে মধ্যপ্রাচ্যের রাজাবাদশারা চাপ দিতে পারবেন তো?

বাংলাদেশে পাকিস্তানি মিলিটারিকে সহায়তা করে মওদুদীর দল। জামাতে ইসলামী। বাংলাদেশে ত্রিশ লাখ মানুষ মারা যায়। আচ্ছা, ধরে নিই ত্রিশ হাজার মানুষই মারা যায়। মুসলিমই বলি, ৮০% ছিল মুসলিম। সে হিসাবে ২৪ হাজার। ২৪ হাজার হত্যার দায় কাঁধে। এই মানুষগুলো বিরাট দোষী। তারা স্বাধীন দেশ চেয়েছিল।

গত ১৫ বছর যাবত বাংলাদেশে কতগুলো বোমা হামলা হয়েছে জঙ্গীদের দ্বারা? কত জায়গায় হামলা হয়েছে? গত ২ মাসে কতগুলো বোমা ডিফিউজ করা হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন ডিসি অফিস, আদালত ও নানা জায়গা থেকে?

আরো কত অযুত নিযুত হিসাব যে আছে, তা বের হবারও নয়, দেখা যাবারও নয়।


আপনারা যারা দান করেন

জানি, টাকাটা, নিজের বুকের সন্তানটাকে ওইসব মাদ্রাসায় পhttp://www.somewhereinblog.net/blog/indrojaalাঠানো হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আলিম তৈরি করার জন্য। ধর্মের বাণী মুসলিম ও অমুসলিম উভরের কাছে পৌছানোর জন্য। কিন্তু ঠিক কী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে তা?
টাকাটা কেন দেন? সন্তানকে কেন ভর্তি করান ওইসব প্রতিষ্ঠানে?
জাতীয় পতাকা জ্বালানোর জন্য?
(জাতীয় পতাকা জ্বালাইছে কে হেফাজত? শহীদ মিনার ভাংছে কে হেফাজত?, হিন্দুর বাড়ি জ্বালাইছে কে , হেফাজত? নাকি পাগল হয়ে যাওয়া ছাত্রলীগ, যুবলীগ, প্রমান নিয়া আইসা কন
অন্তত একটা প্রমান দেন যে একজন হেফাজত কর্মী হিন্দুর বাড়ীতে আগুন দিচে, কিংবা জাতীয় পতাকার অবমাননা করছে, কার দোষ কার ঘাঁড়ে চাপানরে ভাই, আপনি তো দেখি দুর্দান্ত মিথ্যার বেসাতী খুলেছেন)


শহীদ মিনার ভাঙার জন্য?
১৪ বছর বয়েসি ওই ওমর ফিদায়ির মতো আরো শিশু তৈরি করার জন্য?
শাহজালাল মাজারে একের পর এক বোমা হামলায় অংশ নেয়ানোর জন্য?

নিজেকে প্রশ্ন করার সময় এসেছে। সমর্থন আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জানাই। কিন্তু সে সমর্থন দেশ ও জাতির উপরে কাল হয়ে নেমে আসবে কিনা, তা ভাবার সময় হয়েছে।


গণজাগরণ বন্ধ করো

উপরের ছবিটি কী বলছে? ছবিটি বলছে যে, অনেকের কথা অনুযায়ী এই পোস্টে আমরা মিথ্যাচার করেছি, তাই নয় কি?
নিচের ছবিটির দিকে তাকিয়ে থাকি আমরা।
ভাবি, এই মানুষটা কি আমার মা হতে পারতেন না?
বা বোন?
তার জন্য নাকি বিচার চাওয়া যাবে না। আহা! এই মানুষটার জন্য ন্যায়বিচার চাওয়া যাবে না!


আর নারীর উপর আক্রমণ যে খুবই সাধারণ একটা বিষয়, শারমীনের এই সাহসিক চোখের উপর শক্তিশালী পুরুষ হাতপা গুলো নেমে আসাতেই সে কথা প্রতীয়মান হয়।
ধর্ম নয়, রাষ্ট্রের কথাতেই আসি, শারমীন সৌদি আরবে থাকেন না, যে তাঁকে রাষ্ট্রীয় আইনে বোরখা পরতে বাধ্য করা যাবে। আর বোরখা বা হিজাবের তো আলাদা আলাদা সংজ্ঞায়ন আছে ইসলামের বিভিন্ন মাজহাবে। ফিকাহ শাস্ত্র অনুসরণ করতে গেলে মাজহাবের শরণাপণ্ন হওয়া ছাড়া উপায় নেই। বাংলাদেশে পরম ধার্মিক নারী যেমন সারা শরীর বোরখায় ঢেকে চলেন, কেউ তাঁদের ঘাঁটায় না, আবার আমি নিজেই অসংখ্য অগুণতিবার চার্চের নানদের পাশাপাশি হেঁটেছি। বাংলাদেশে খ্রিস্টানগণ যে সংখ্যার দিক দিয়ে কম, তা টেরই পাওয়া যায় না নানদের প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যবহার দেখে। বাংলাদেশে হিন্দু মহিলা শাঁখা সিঁদুর নিয়ে শাড়ি পরে গমনাগমন করেন। কেউ সাধারণত তাঁর ধর্মপরিচয়ের কারণে পথে সমস্যা সৃষ্টি করে না।
আর শারমীন, এক হেলমেট পরা, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরা নারী সাংবাদিক, টেস্টাস্টেরনের শক্তিতে বলীয়ান পুরুষদের হাতে চড় ঘুষি লাথি খেলেন। এখনো তিনি হাসপাতালে। তিনি কি সম্পূর্ণ শরিয়াহ মেনে গিয়েছিলেন সেখানে? না-ই হতে পারে। কিন্তু তিনি তো একজন মানুষ। একজন বাঙালি। একজন মুসলিম। একজন সাংবাদিক এবং, আক্রমণ করার সময় ভুলে গেলে চলবে না, একজন নারী।

আচ্ছা, ঠিক কোন্ শিক্ষায় দীক্ষিত হলে একজন পুরুষ, পুরুষ মাত্রই শারীরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী, নারীর শরীরে দাঁড়িয়ে থেকে লাথি চালাতে পারেন? আরে, নারীকে তো তৈরি করা হয়েছে অধিকতর কোমল করে। তার মাতৃত্বের জন্য। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। কী করে প্রকাশ্য জনপথে তাঁর উপর আক্রমণ হয়?

আর, শারমীন কোন ধর্মের মানুষ?

সারমীন যে লাখো জনতার স্রোত কে হাজারে নামিয়ে আনলো তাতো বললেন না, আমি মিথ্যা বললে, ইটিভি সেদিন যারা সরাসরি দেখছে তাদের জিজ্ঞেস করুন, নইলে ইটিভির কাছে ওই ভিডীও ফুটেজ টী চান।
আর ৫০-৬০ জন পুরুসের গন দোলাই খাইয়া তিনি কি অমৃত সুধা পান করে এখন দাঁত খেলাইয়া হাসিতেছেন, তার ও তো একটা ব্যাক্যা থাকার দরকাররে ভাই।
আমি সেদিন লং মার্চে ছিলাম, না স্বেচ্ছাসেবকরা কাউকে শাহবাগ রাস্তা মুখী হতে দেন নি, আমি সাক্ষী দিতেছি, তারা একে অপরের হাত ধরে, মানব বর্ম রচনা করে ঐ মুখো হতে দেন নি, যদি তা না হত তোহিদী জনতার রোসানল কি দেখতে পেতেন আপনারা, এই জায়গাতেই হেফাজত তাদের সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে, যা আজ আপনাদের মাথা ব্যাথার আসল কারণ, বুঝিরে ভাই, মাইরের চেয়েও তাসবীহ, জায়নামাযের মাইরে বেশি পোড়াইতেছে আপ্নাদের।
আমি বায়তুল মোকাররমের কাছে শুনেছিলাম গাজী টিভির সাম্বাদিক নাকি অইখান থেকে কইতাছে, শাহবাগ থেকে বলছি, পরে উত্তেজিত জনতা(আপনাদের কাছ থেকে ধার করা শব্দ) তারে লগু বেদম সহকারে সরিয়ে দেয়, যা মিডীয়ায় আসেনি।


পরিশেসে এইটাই বলতে চাই সামু তার লেঞ্জা, বিচি(আছে কি নাই সন্দেহ, নাকি খোয়াইছে) সব দেখিয়ে দিল আরেকবার।
প্রথম আলুর মত সামুও যে দিন দিন বুদ্ধিভিত্তিক দেওলিয়া হয়ে যাচ্ছে তার প্রমান এই পোস্ট, এরকম একটি পোশট যার সাথে শিরোনামের ই কোন মিল খূঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা তা স্টিকি করে সামু তার সেরা সেরা ব্লগারদের অপমানই করল, ।

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০১
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×