সদ্য বিগত হয়ে যাওয়া বসন্তে কি এবার ফুল ফোটেনি?
হয়তো ফুঁটেছে, গৃহে অন্তরীন শহুরে নাগরিক তার সুবাস পায়নি,
রঙ লাগেনি মনে।
চৈত্রের বাউড়ি বাতাসে কি এবার বৃক্ষের পাতা ঝরেনি?
হয়তো ঝরেছে, আতঙ্কিত নাগরিক মন তার নিক্কণ শুনেনি।
এবারের বৈশাখও যেন হুট করেই এলো।
কোন মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়নি।
বাঁশি কিংবা ভুভুজেলার কানফাঁটানোর আওয়াজে শ্রবণ শক্তি বিধ্বস্ত হয়নি।
তরুনরা পাঞ্জাবি পরেনি। তরুনীরা শাড়ি পরেনি।
খোঁপায় গুঁজেনি গাজরার ফুল।
লক ডাউনের বেড়াজাল ভেঙ্গে কেউ ঘরের বাইর হয়নি।
এমন বিষণ্ণ বিপণ্ণ বৈশাখ আর কখনো দেখিনি।
বুকের ভিতরটা হুহু করে কেঁদে উঠলো।
করোনা এসে থামিয়ে দিয়েছে জীবনের সকল মুখরতা, প্রাণের কোলাহল।
বাঙালি জাতি তথা গোটা মানবজাতির জীবনে এমন দুঃসময় আগে কখনো আসেনি।
বৈশাখের এই কাঠফাটা খরতাপ আর গুমোট বাতাসে এখন একটু বৃষ্টি চাই,
করোনা উপদ্রুত নগরে এখন চাই অবিরাম করুণাধারা।
তাই বৃষ্টির প্রার্থনায় অবনত মন।
ঝুম বৃষ্টির পর ধরিত্রীর বুকে হবে নতুন বীজের উদগীরণ।
বৃক্ষে গজাবে নতুন কিশলয়, বাতাসে দুলবে সজীব কচিপাতা। প্রকৃতিতে হবে নতুন প্রাণের সঞ্চার।
তাই এখন একটু শুধু বৃষ্টি চাই, প্রশান্তির বৃষ্টি।
আতঙ্কে কুঁকড়ে যাওয়া গৃহবন্দী মানুষ গুলো একটু স্বস্তি পাক।
ভবিষ্যতের আশায় বাঁচুক। জানি শেষ পর্যন্ত জয় হবে মানুষেরই।
আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ‘দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সি’ উপন্যাসের একটি সংলাপ ‘মানুষ ধ্বংস হতে পারে, কিন্তু পরাজিত হয় না’।
তাই...
জানি কেটে যাবে করোনা কাল,
আসবেই একদিন নতুন সকাল//
সব বন্ধুকে নববর্ষের শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:০১