আগে এক সময় সচরাচর তরুণ তরুণীদের একসঙ্গে চলাফেরা করতে দেখা যেত না। দুই একজন যারা প্রেম-প্রীতি করতো পালিয়ে পালিয়ে। ধরা পড়লে মান-সম্মান সবই চলে যাওয়ার ভয়ে থাকতো প্রেমিক প্রেমিকরা। কিন্তু ধীরে ধীরে প্রেমের ক্ষেত্রে সবাই শিথিলতা প্রদর্শন করতে শুরু করল এরপর এখন এটা যেন সকলের নৈতিক অধিকার। অজানা ছেলের সঙ্গে কীভাবে সংসার করা যায়? এমন একটা খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে বাবা মাকে বোঝানো শুরু করল তারা। কিছু বুড়ো মানুষও তাদের সঙ্গে মাথা নেড়ে সাই দিল- হা বাবা ঠিকই বলেছো। না জানলে তার সঙ্গে সংসার- এটা যেন মহামুশকিল বিষয়। অবশ্য অনেকে সম্পর্ককারী পরে যেয়ে তার প্রেমিকাকে আর বিয়ে করে না। প্রেমিকা যদি তার ‘মূল্যবান সম্পদ’ হারিয়ে ফেলে তাহলে জীবনটা পর্যন্ত ধ্বংস করে দেয়। এদিকে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের নজর নেই বললে চলে। তারা ভাবতেই চায় না এ বিষয়ে। এটা যেন অনর্থক বিষয়ে মাথা ঘামানো। এই প্রেম জিনিসটা আরো সহজ করে দিয়েছে ফেসবুক, ইমো, মেসেঞ্জার বা এধরণের যা কিছু আছে। এখন তরুণ- তরুণীদের সম্পর্কের শুরুটা বেশিভাগ এই মাধ্যমে হয়। সাহসের কারণে যারা প্রেম-প্রণয়ে পিছিয়ে ছিল তারাও এখন সামনের কাতারে থাকার যোগ্যতা রাখে। হাস্যকর হলেও সত্য এখন ছ্যাকাও খায় অনলাইনে। না দেখে একটা মেয়ে বা ছেলের প্রেমে হাবুডুবু খায় অনেকেই। একটা মেয়েকে না দেখে না শুনে, তার সম্পর্কে কিছু না জেনে অনেকে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এরপর দেখাদেখি হওয়ার পর কোনো একজনের পছন্দ না হলে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। জুটির কোনো একজন বেছে নেয় সুইসাইডের মতো ভয়ঙ্কর পথ। এভাবে কতো মেয়ের মৃত্যু হয়েছে তার ইয়ত্তা কে রাখে। আমার মনে হয় না এ বিষয়ে কোনো সংস্থা জড়িপ চালিয়েছে। পত্রিকা খুললে প্রতিদিন এমন দুঃসংবাদ দু’একটা চোখে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। এতোকিছুর পরও কেন এদিকে কানো নজরে নেই? বাবারা মায়েরা আজ সন্তানের জন্য প্রেমের বিষয়টা তেমন আমলে নিতে চান না। অনেকে বলেন, এই বয়সে তো একটু করবেই এসব। কিন্তু এসবের জন্য দৈনিক কতোগুলো প্রাণ ঝড়ে যাচ্ছে সেদিকে কী কেউ একবার তাকিয়ে দেখে? সংসারে অশান্তির বড় কারণ যে প্রেম-ভালবাসামুক্ত জীবন তেমনি এটাই অনেকের জীবনে বা সংসারে কাল হয়ে আসে। অনেক বাবা মার ঘুম নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন কাহিনী ওতো কম না যে, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যেয়ে প্রেমিকের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে প্রেমিকার লোজজন। আসেলে এতো এতো কথা বলে কী হবে জানিনা। তবে অভিভাবকগণ যদি এদিকে খেয়াল রাখেন তাহলে বিষয়টার হার কমে আসবে। আজ বল্য বিবাহ নিষেধ করা হয়েছে কারণ এর দ্বারা ক্ষতি ছাড়া কিছু হয় না। বাল্যপ্রেমের দ্বারা কী কম ক্ষতি হয়? বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে অনেকে মেয়ে ছোট হওয়ার কারণে সঙ্গমের বিষয়টার দিকে নজর দেন। আজ আমাদের সমাজে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে কি পরিমান এই ছেলেমেয়ের ‘মিলন’ বেড়েছে তার বিষয়ে কী কেউ চিন্তা করেছে কোনোদিন? আমরা সবাই যেন ভাল থাকতে পারি। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন ঘৃণ্য পথে পা না বাড়ায়। পৃথিবীর সব অপকর্ম থেকে তারা বিরত থাকুক। এই প্রত্যাশা করি।আগে এক সময় সচরাচর তরুণ তরুণীদের একসঙ্গে চলাফেরা করতে দেখা যেত না। দুই একজন যারা প্রেম-প্রীতি করতো পালিয়ে পালিয়ে। ধরা পড়লে মান-সম্মান সবই চলে যাওয়ার ভয়ে থাকতো প্রেমিক প্রেমিকরা। কিন্তু ধীরে ধীরে প্রেমের ক্ষেত্রে সবাই শিথিলতা প্রদর্শন করতে শুরু করল এরপর এখন এটা যেন সকলের নৈতিক অধিকার। অজানা ছেলের সঙ্গে কীভাবে সংসার করা যায়? এমন একটা খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে বাবা মাকে বোঝানো শুরু করল তারা। কিছু বুড়ো মানুষও তাদের সঙ্গে মাথা নেড়ে সাই দিল- হা বাবা ঠিকই বলেছো। না জানলে তার সঙ্গে সংসার- এটা যেন মহামুশকিল বিষয়। অবশ্য অনেকে সম্পর্ককারী পরে যেয়ে তার প্রেমিকাকে আর বিয়ে করে না। প্রেমিকা যদি তার ‘মূল্যবান সম্পদ’ হারিয়ে ফেলে তাহলে জীবনটা পর্যন্ত ধ্বংস করে দেয়। এদিকে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের নজর নেই বললে চলে। তারা ভাবতেই চায় না এ বিষয়ে। এটা যেন অনর্থক বিষয়ে মাথা ঘামানো। এই প্রেম জিনিসটা আরো সহজ করে দিয়েছে ফেসবুক, ইমো, মেসেঞ্জার বা এধরণের যা কিছু আছে। এখন তরুণ- তরুণীদের সম্পর্কের শুরুটা বেশিভাগ এই মাধ্যমে হয়। সাহসের কারণে যারা প্রেম-প্রণয়ে পিছিয়ে ছিল তারাও এখন সামনের কাতারে থাকার যোগ্যতা রাখে। হাস্যকর হলেও সত্য এখন ছ্যাকাও খায় অনলাইনে। না দেখে একটা মেয়ে বা ছেলের প্রেমে হাবুডুবু খায় অনেকেই। একটা মেয়েকে না দেখে না শুনে, তার সম্পর্কে কিছু না জেনে অনেকে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এরপর দেখাদেখি হওয়ার পর কোনো একজনের পছন্দ না হলে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। জুটির কোনো একজন বেছে নেয় সুইসাইডের মতো ভয়ঙ্কর পথ। এভাবে কতো মেয়ের মৃত্যু হয়েছে তার ইয়ত্তা কে রাখে। আমার মনে হয় না এ বিষয়ে কোনো সংস্থা জড়িপ চালিয়েছে। পত্রিকা খুললে প্রতিদিন এমন দুঃসংবাদ দু’একটা চোখে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। এতোকিছুর পরও কেন এদিকে কানো নজরে নেই? বাবারা মায়েরা আজ সন্তানের জন্য প্রেমের বিষয়টা তেমন আমলে নিতে চান না। অনেকে বলেন, এই বয়সে তো একটু করবেই এসব। কিন্তু এসবের জন্য দৈনিক কতোগুলো প্রাণ ঝড়ে যাচ্ছে সেদিকে কী কেউ একবার তাকিয়ে দেখে? সংসারে অশান্তির বড় কারণ যে প্রেম-ভালবাসামুক্ত জীবন তেমনি এটাই অনেকের জীবনে বা সংসারে কাল হয়ে আসে। অনেক বাবা মার ঘুম নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন কাহিনী ওতো কম না যে, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যেয়ে প্রেমিকের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে প্রেমিকার লোজজন। আসেলে এতো এতো কথা বলে কী হবে জানিনা। তবে অভিভাবকগণ যদি এদিকে খেয়াল রাখেন তাহলে বিষয়টার হার কমে আসবে। আজ বল্য বিবাহ নিষেধ করা হয়েছে কারণ এর দ্বারা ক্ষতি ছাড়া কিছু হয় না। বাল্যপ্রেমের দ্বারা কী কম ক্ষতি হয়? বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে অনেকে মেয়ে ছোট হওয়ার কারণে সঙ্গমের বিষয়টার দিকে নজর দেন। আজ আমাদের সমাজে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে কি পরিমান এই ছেলেমেয়ের ‘মিলন’ বেড়েছে তার বিষয়ে কী কেউ চিন্তা করেছে কোনোদিন? আমরা সবাই যেন ভাল থাকতে পারি। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন ঘৃণ্য পথে পা না বাড়ায়। পৃথিবীর সব অপকর্ম থেকে তারা বিরত থাকুক। এই প্রত্যাশা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৯