somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেমের বিষাক্ত ছোবল

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আগে এক সময় সচরাচর তরুণ তরুণীদের একসঙ্গে চলাফেরা করতে দেখা যেত না। দুই একজন যারা প্রেম-প্রীতি করতো পালিয়ে পালিয়ে। ধরা পড়লে মান-সম্মান সবই চলে যাওয়ার ভয়ে থাকতো প্রেমিক প্রেমিকরা। কিন্তু ধীরে ধীরে প্রেমের ক্ষেত্রে সবাই শিথিলতা প্রদর্শন করতে শুরু করল এরপর এখন এটা যেন সকলের নৈতিক অধিকার। অজানা ছেলের সঙ্গে কীভাবে সংসার করা যায়? এমন একটা খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে বাবা মাকে বোঝানো শুরু করল তারা। কিছু বুড়ো মানুষও তাদের সঙ্গে মাথা নেড়ে সাই দিল- হা বাবা ঠিকই বলেছো। না জানলে তার সঙ্গে সংসার- এটা যেন মহামুশকিল বিষয়। অবশ্য অনেকে সম্পর্ককারী পরে যেয়ে তার প্রেমিকাকে আর বিয়ে করে না। প্রেমিকা যদি তার ‘মূল্যবান সম্পদ’ হারিয়ে ফেলে তাহলে জীবনটা পর্যন্ত ধ্বংস করে দেয়। এদিকে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের নজর নেই বললে চলে। তারা ভাবতেই চায় না এ বিষয়ে। এটা যেন অনর্থক বিষয়ে মাথা ঘামানো। এই প্রেম জিনিসটা আরো সহজ করে দিয়েছে ফেসবুক, ইমো, মেসেঞ্জার বা এধরণের যা কিছু আছে। এখন তরুণ- তরুণীদের সম্পর্কের শুরুটা বেশিভাগ এই মাধ্যমে হয়। সাহসের কারণে যারা প্রেম-প্রণয়ে পিছিয়ে ছিল তারাও এখন সামনের কাতারে থাকার যোগ্যতা রাখে। হাস্যকর হলেও সত্য এখন ছ্যাকাও খায় অনলাইনে। না দেখে একটা মেয়ে বা ছেলের প্রেমে হাবুডুবু খায় অনেকেই। একটা মেয়েকে না দেখে না ‍শুনে, তার সম্পর্কে কিছু না জেনে অনেকে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এরপর দেখাদেখি হওয়ার পর কোনো একজনের পছন্দ না হলে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। জুটির কোনো একজন বেছে নেয় সুইসাইডের মতো ভয়ঙ্কর পথ। এভাবে কতো মেয়ের মৃত্যু হয়েছে তার ইয়ত্তা কে রাখে। আমার মনে হয় না এ বিষয়ে কোনো সংস্থা জড়িপ চালিয়েছে। পত্রিকা খুললে প্রতিদিন এমন দুঃসংবাদ দু’একটা চোখে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। এতোকিছুর পরও কেন এদিকে কানো নজরে নেই? বাবারা মায়েরা আজ সন্তানের জন্য প্রেমের বিষয়টা তেমন আমলে নিতে চান না। অনেকে বলেন, এই বয়সে তো একটু করবেই এসব। কিন্তু এসবের জন্য দৈনিক কতোগুলো প্রাণ ঝড়ে যাচ্ছে সেদিকে কী কেউ একবার তাকিয়ে দেখে? সংসারে অশান্তির বড় কারণ যে প্রেম-ভালবাসামুক্ত জীবন তেমনি এটাই অনেকের জীবনে বা সংসারে কাল হয়ে আসে। অনেক বাবা মার ঘুম নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন কাহিনী ওতো কম না যে, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যেয়ে প্রেমিকের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে প্রেমিকার লোজজন। আসেলে এতো এতো কথা বলে কী হবে জানিনা। তবে অভিভাবকগণ যদি এদিকে খেয়াল রাখেন তাহলে বিষয়টার হার কমে আসবে। আজ বল্য বিবাহ নিষেধ করা হয়েছে কারণ এর দ্বারা ক্ষতি ছাড়া কিছু হয় না। বাল্যপ্রেমের দ্বারা কী কম ক্ষতি হয়? বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে অনেকে মেয়ে ছোট হওয়ার কারণে সঙ্গমের বিষয়টার দিকে নজর দেন। আজ আমাদের সমাজে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে কি পরিমান এই ছেলেমেয়ের ‘মিলন’ বেড়েছে তার বিষয়ে কী কেউ চিন্তা করেছে কোনোদিন? আমরা সবাই যেন ভাল থাকতে পারি। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন ঘৃণ্য পথে পা না বাড়ায়। পৃথিবীর সব অপকর্ম থেকে তারা বিরত থাকুক। এই প্রত্যাশা করি।আগে এক সময় সচরাচর তরুণ তরুণীদের একসঙ্গে চলাফেরা করতে দেখা যেত না। দুই একজন যারা প্রেম-প্রীতি করতো পালিয়ে পালিয়ে। ধরা পড়লে মান-সম্মান সবই চলে যাওয়ার ভয়ে থাকতো প্রেমিক প্রেমিকরা। কিন্তু ধীরে ধীরে প্রেমের ক্ষেত্রে সবাই শিথিলতা প্রদর্শন করতে শুরু করল এরপর এখন এটা যেন সকলের নৈতিক অধিকার। অজানা ছেলের সঙ্গে কীভাবে সংসার করা যায়? এমন একটা খোঁড়া যুক্তি দেখিয়ে বাবা মাকে বোঝানো শুরু করল তারা। কিছু বুড়ো মানুষও তাদের সঙ্গে মাথা নেড়ে সাই দিল- হা বাবা ঠিকই বলেছো। না জানলে তার সঙ্গে সংসার- এটা যেন মহামুশকিল বিষয়। অবশ্য অনেকে সম্পর্ককারী পরে যেয়ে তার প্রেমিকাকে আর বিয়ে করে না। প্রেমিকা যদি তার ‘মূল্যবান সম্পদ’ হারিয়ে ফেলে তাহলে জীবনটা পর্যন্ত ধ্বংস করে দেয়। এদিকে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের নজর নেই বললে চলে। তারা ভাবতেই চায় না এ বিষয়ে। এটা যেন অনর্থক বিষয়ে মাথা ঘামানো। এই প্রেম জিনিসটা আরো সহজ করে দিয়েছে ফেসবুক, ইমো, মেসেঞ্জার বা এধরণের যা কিছু আছে। এখন তরুণ- তরুণীদের সম্পর্কের শুরুটা বেশিভাগ এই মাধ্যমে হয়। সাহসের কারণে যারা প্রেম-প্রণয়ে পিছিয়ে ছিল তারাও এখন সামনের কাতারে থাকার যোগ্যতা রাখে। হাস্যকর হলেও সত্য এখন ছ্যাকাও খায় অনলাইনে। না দেখে একটা মেয়ে বা ছেলের প্রেমে হাবুডুবু খায় অনেকেই। একটা মেয়েকে না দেখে না ‍শুনে, তার সম্পর্কে কিছু না জেনে অনেকে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এরপর দেখাদেখি হওয়ার পর কোনো একজনের পছন্দ না হলে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। জুটির কোনো একজন বেছে নেয় সুইসাইডের মতো ভয়ঙ্কর পথ। এভাবে কতো মেয়ের মৃত্যু হয়েছে তার ইয়ত্তা কে রাখে। আমার মনে হয় না এ বিষয়ে কোনো সংস্থা জড়িপ চালিয়েছে। পত্রিকা খুললে প্রতিদিন এমন দুঃসংবাদ দু’একটা চোখে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। এতোকিছুর পরও কেন এদিকে কানো নজরে নেই? বাবারা মায়েরা আজ সন্তানের জন্য প্রেমের বিষয়টা তেমন আমলে নিতে চান না। অনেকে বলেন, এই বয়সে তো একটু করবেই এসব। কিন্তু এসবের জন্য দৈনিক কতোগুলো প্রাণ ঝড়ে যাচ্ছে সেদিকে কী কেউ একবার তাকিয়ে দেখে? সংসারে অশান্তির বড় কারণ যে প্রেম-ভালবাসামুক্ত জীবন তেমনি এটাই অনেকের জীবনে বা সংসারে কাল হয়ে আসে। অনেক বাবা মার ঘুম নষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন কাহিনী ওতো কম না যে, প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যেয়ে প্রেমিকের সর্বস্ব লুটে নিয়েছে প্রেমিকার লোজজন। আসেলে এতো এতো কথা বলে কী হবে জানিনা। তবে অভিভাবকগণ যদি এদিকে খেয়াল রাখেন তাহলে বিষয়টার হার কমে আসবে। আজ বল্য বিবাহ নিষেধ করা হয়েছে কারণ এর দ্বারা ক্ষতি ছাড়া কিছু হয় না। বাল্যপ্রেমের দ্বারা কী কম ক্ষতি হয়? বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে অনেকে মেয়ে ছোট হওয়ার কারণে সঙ্গমের বিষয়টার দিকে নজর দেন। আজ আমাদের সমাজে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ না হয়ে কি পরিমান এই ছেলেমেয়ের ‘মিলন’ বেড়েছে তার বিষয়ে কী কেউ চিন্তা করেছে কোনোদিন? আমরা সবাই যেন ভাল থাকতে পারি। আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন ঘৃণ্য পথে পা না বাড়ায়। পৃথিবীর সব অপকর্ম থেকে তারা বিরত থাকুক। এই প্রত্যাশা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৯
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×