পানকৌড়ি ডুবসাঁতারই সেইসব পুরনো বর্ষার উপহার
বালি ও ভয়ের মোড়কে দুপুর আর দুপুর, সামান্য ঘুম তারপর
পদ্মার চিবুকছেঁড়া ছন্দ, গোপন নরম ডাক উপসাগরের
কাঁচসাদা বালুতট শেখাচ্ছে গণিত, মাছ ও মায়াবতী সন্ধ্যার
অনুকূলে সাঁতরে গেলে লালন কুঠির দ্বারে ভেসে ওঠে লাশ
প্রতিকূলে প্রাণের মিছিল, ইলিশের লাল-সাদা কানকোর মতো
কুঠিবাড়ি চিমনি থেকে কুড়িয়েছি রবির মলাট, কাহ্নপা ফুটনোট
এইতো মায়ের ঘ্রাণ, পাশাপাশি প্রচুর প্রবল, নদীপ্রাণ বিকেলের ক্ষত
ওড়ার প্রবল শুরু সেইসব ভোরে, ঝাউবন শিয়রে শিয়রে
চিলের নিঃশ্বাসে অ্যালমন্ড-চেরির বাতাস, স্বপ্নাতুর, সাদা
তেতুঁল গাছের ভিড়ে একা একা বেজে ওঠে সুদূর তীর্থের গান
বিপনী খইয়ের মতো ফুটে ওঠে চৌদ্দ সবক, মহান মহান
দরজা আটকে গেলে খুলে যায় শরীরের নিবীড় উঠোন
ইতিহাস উড়ে আসে শঙ্খচিল পেলিকান স্রোতে
রুটসের পাতা থেকে প্রজাপতি সংলাপ ঘাসফুলে মেশে
লিখে ফেলে আনমনে মহাকাল দিনলিপি, যাদুকরী জোসনার বেশে