somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তুমি থাকবে ,তোমার নাম থাকবে ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান

১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তুমি থাকবে ,তোমার নাম থাকবে ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু

জাতির জনক মানা না মানা ব্যক্তি গত ব্যাপার
শ্রদ্ধা ভক্তি কৃতজ্ঞতা সবাই জানাতে পারেনা !
আইন করে পিতার প্রতি সন্তানের কর্তব্য আদায় করা যায় না !
বিবেক বোধ সবার এক নয় ,মুক্ত চিন্তা,মুক্তির চিন্তা ,বেঁচে থাকার যুদ্ধ এক নয়।
কোটি কোটি মানুষের কোটি মত ,আমি জানি,আমার মনে হয়
মুক্তির গানে একজন গীতিকার ছিলো ,একজন সুর কার ছিলো ,
মুক্তির কবিতায় একজন কবি ছিলো ,মুক্তির কবিতার একজন আবৃত্তিকার ছিলো
মুক্তিযুদ্ধের এক জন কমান্ডার ছিলো ,মুক্তির নিশানায় একজনের আঙুলের ইশারা ছিলো ,
হতে পারতো অন্য কেউ ,কিন্তু অন্য কেউ নয়
তিনি ছিলেন মুক্তির বাঁশিওয়ালা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

যার আঙুলের ইশারায় হেলেছে বিশ্ব,এক হয়েছিলো স্বাধীনতাকামী বাংলার মানুষ,
হায়েনার বুট থেকে পূর্ব বঙ্গ ,জনপদ ও চেয়েছিলো মুক্তি
যার কথা ছিলো মিসাইল,পারমাণবিক বোমার চেয়ে শক্তিশালী
যে কথা বললেই মুখ থেকে বেরিয়ে আসতো দেশ প্রেমের কবিতা
জেলে অন্ধকার সেলে থেকেও জ্বালিয়ে রেখেছে
সাত কোটি মানুষের মনে মুক্তির আগুন ,
যে মানুষটি মুক্তিকামী মুক্তিযোদ্ধা আর বাংলার মানুষের
প্রাণের দাবি জিয়িয়ে রেখেছিলো ,চাই আমাদের নিজস্ব ভূমি ,
বাংলার আকাশে বাতাসে বিতর্কের ঊর্র্ধে থাকবে একটি নাম
সে আর কেউ নয় ,শতাব্দীর লৌহ মানব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

টুঙ্গি পাড়া থেকে উঠে আসা এক ডান পিঠে দস্যি ছেলে
নেতা হওয়া ,নেতৃত্ব যেন ঐশ্বরিক ভাবে নিয়ে এসেছিলো তার জীবনে ,
গ্রামের স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অধিকার আদায়ের লড়াই
ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তি যুদ্ধ ,গণ অভ্যত্থান ,নির্বাচন
জেল ,জুলুম হাতে পাইপ নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা
একজন মানুষের নাম ,বঙ্গ বন্ধু শেখ মজিবর রহমান।

ছন্দ ময়, আনন্দ ময় ছিলো না জীবন ,কবিতা কি করে লিখি ছন্দের তালে
বঙ্গ বন্ধুর কথা ভাবলেই বলতে ইচ্ছে হয় ,এবারের সংগ্রাম ,মুক্তির সংগ্রাম ,
এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম,কেন জন্ম হলো না ,
আফসোস হয় কেন ছিলাম না ,সেই রেসকোর্সের ময়দানে
৭ মার্চের জ্বালাময়ী ভাষনে ,আমিও বলতাম, জয় বাংলা।

বাংলার মানুষ নয় মাস যুদ্ধ করলো ,স্লোগানে উজ্জীবিত হলো কতো
জয় বাংলা ,জয় বঙ্গ বন্ধু ,তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা ,মেঘনা- যমুনা
ভুটান নয় সিকিম নয় ,এ দেশ আমার বাংলাদেশ।
ভাসিনের কি তেজ ,কি আশা,কি ভরসা -
আমি যদি হুকুম দেবার না পারি ,
"যার যা আছে তা নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করবা"
করছে বাংলার মানুষ ,যুদ্ধ,মুক্তি যুদ্ধ ,স্বাধীনতার যুদ্ধ ,
স্বাধিকারের যুদ্ধ ,অধিকারের যুদ্ধ। মুক্তি যুদ্ধ।
যে অস্বীকার করবে মুক্তি যুদ্ধের রক্তাক্ত ইতিহাস
অস্তিত্ত্ব হারাবে ,হবে তাদের সর্বনাশ।

লিখে রাখুন ,যে যার ডায়রির পাতায়,
হয়তো আমিও একদিন থাকবো না,থাকবে আমার দেশ ,বাংলাদেশ।

স্বাধীন হলো দেশ ,ষোল ডিসেম্বর !উনিশ শো একাত্তর
দশ জানুয়ারি ,ফিরলেন নেতা ,ফিরলেন বঙ্গবন্ধু বাহাত্তর সালে
যুদ্ধ বিধস্ত দেশ ,হাহাকার,অনাহার ,যোগযোগ বিচ্ছিন্ন দেশ
দায়িত্ব নিলেন ,দেশ গড়ার , শুরু হলো চক্রান্ত ,ক্ষমতা,লোভ
হায়রে ক্ষমতার লোভ ! হায়রে মানুষ !সব শেষ করে দিলো
পনোরো আগষ্ট উনিশ শো পঁচাত্তর বুলেটে ঝাঁঝরা করে দিলো
বঙ্গবন্ধুর দেশ প্রেমে ভরা বুক !

জাতীর জন্য জন্ম দিল এক কলঙ্কময় দিন।
কালো দিন ! কালো দিনের কালো কোটের কিছু মানুষ
সাদা কাপড়ের মানুষ আজো ক্ষমতাবান ,প্রভাব,প্রতিপত্তি
তাদের পায়ে লুট পুটি খায় ,আর দেশ প্রেমিক দলে দলে ভাগ হয়ে যায় !
বঙ্গ বন্ধু বেঁচে থাকলে এমন হতো না আমার বিশ্বাস !

পনোরো আগষ্ট ছাড়লো না কাউকে
যারা ছিলো ঘরে বঙ্গ মাতা ছেলে -বৌ !সবাইকে শেষ করে দিলো !
ছোট শিশু রাসেলের কান্না থামাতে পারেনি ওদের !
চলেছে গুলি চলেছে বুলেট,ব্রাশ ফায়ার !
থমকে গেছে বজ্র কণ্ঠ,থমকে গেছে দেশ !
শোকের সাগরে চাপা কষ্টে প্রাণ খুলে কাঁদতে পারেনি মানুষ !
জানাজায় যেতে দেয়নি সে দিনের প্রশাসন ,
প্রোপাগান্ডা ছড়ায় ,বঙ্গবন্ধুর জানাজায় মানুষ হয়নি।
কেউ আছে শোকের মাতমে ,কেউ ভাসে ক্ষমতার সুখ সাগরে !

মতের দ্বিমত থাকতে পারে ,মানুষের ভুল থাকতে পারে
চাটুকারের দল বিভ্রান্ত করতে পারে ,
তাই বলে বঙ্গ বন্ধুকে অস্বীকার ,মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস অস্বীকার ,
বঙ্গ বন্ধুকে অস্বীকার,বাংলাদেশকে অস্বীকার ছাড়া আর কিছুই নয়।
মাতৃভূমির জন্ম মাতৃভূমির অস্তিত্ব ,অস্বীকার ছাড়া আর কিছুই নয় !

কিছু মানুষ যে ভুল করেছিলো ,দেশ দ্রোহীতা করে ,
তার চেয়ে বড় ভুল করেছিলো ,বঙ্গবন্ধুর প্রাণ নিয়ে -
আজকের বাংলাদেশ ,ঘুরে ফিরে বিভীষিকা ময় হয় ,
কত দল নিষিদ্ধ হয় ,কত দলেরজন্ম হয় !

বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা বেঁচে থাকলে যেমন অন্য রকম ইতিহাস হতো ,
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অন্য রকম ইতিহাস হতো,এ কথা বলতে দ্বিধা নেই।

হে বঙ্গ বন্ধু,হে বাংলাদেশী জাতির পিতা
এখন কেউ বলে না " এদেশের ধর্ষিতাদের পিতার জায়গায় লিখে দিও আমার নাম "!
বিপদগামী পাক হায়েনাদের প্রেতাত্মা ,তথা সেনাবাহিনীর একটি চক্রান্তকারী চক্র
স্বপরিবারে হত্যা করে বাঙালী জাতীর জনককে ,রক্তাক্ত করলো লাল সবুজের পতাকা
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তানকে সময়ের আগে মেরে ফেললো !
বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতাকে হারালো সদ্য নবজাতক একটি দেশ
যার নাম বাংলাদেশ।

৪৭, ৫২, ৬৯, ৭০ সহ বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুর দ্বার হতে বার বার ফিরে এসেছিলেন,
৭১-এ পাকিস্তানী হায়েনারা যা করতে পারেনি ,
সেই কাজটিই অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ও পূর্বপরিকল্পিতভাবে সম্পাদন করে পাপিষ্ঠ ঘাতকরা!
ওরা মানুষ নামের হায়েনার দল, ওরা শয়তানের প্রেতাত্মা,ওরা জঘন্য।
ওরা বিপদগামী হিংস্র জানোয়ারের দল।

যত দিন রবে বাংলা ,যত দিন রবে বাংলাদেশ
যত দিন থাকবে বিশ্বের বুকে লাল সবুজের পতাকা উড্ডীয়মান
তত দিন তুমি থাকবে ,তোমার নাম থাকবে ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

সিঙ্গাপুর,১৩-৮-২০১৬ ইং

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৪২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×