মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, আজ বিচার বিভাগে ধস নেমেছে। আজকে বিচারপতিরা রায় দিয়েছেন পাঁচ বছরের নির্বাচিত সরকার চারবছর দেশ চালাবে। বাকি এক বছর ৩০ দল চালাবে। কোথা থেকে এসব জজ আমদানি করা হয়েছে আমরা জানি না। কী বলতে তারা কী বলেন? এ যেন পাগলে কি-না বলে, ছাগলে কি-না খায়। বিচার হয়েছে- ১৫৩ আসনে যারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, তারা বৈধ কি বৈধ নয়। তাদের বৈধ বলার পর অযাচিতভাবে কিছু ব্যাপার অবতারণা করছেন। আমরা আশা করি বিচার বিভাগ এ ব্যাপারে সচেতন থাকবেন। অযাচিতভাবে দেশের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য এধরনের বিচার বা রায় দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকবেন। শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম শাহদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। স্থানীয় মালেকের বাড়ি এলাকায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মন্ডল, গাজীপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়াজ উদ্দিন মিয়া, টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রজব আলী প্রমুখ। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে জঙ্গীবাদ আইএস যেভাবে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের নামে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায়, সেভাবে আমাদের বাংলাদেশেও তারা তৎপর আছে। সেজন্য আমাদের নেতা কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কারণে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আদেশ এসেছিল ইয়াহিয়া সরকারের আমলে। আমরা যখন যুদ্ধ করছিলাম, তখন আগস্ট মাসেই বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা জন্য ইয়াহিয়ার আদালত থেকে সেদিন আদেশ দেয়া হয়েছিল। পাকিস্তানিরা তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। দুঃখের বিষয় আমাদেরই কিছু কুলাঙ্গার বাঙালি সে আদেশ তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এ দেশে বাস্তবায়ন করেছে। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট সেই রাতে বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি একটি কূটনৈতিক কার্যালয় সারা রাত খোলা ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর তারা তাদের প্রভুদের নিশ্চিত করার পরেই সেই দূতাবাসের কার্যক্রম সে দিন বন্ধ ছিল। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিএনপি চেয়ারপার্সনকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনার স্বামী বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল। আপনার ছেলে তারেক রহমান ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত এবং আপনি জামায়াতে ইসলামীর অঘোষিত আমির। সরকারের কোনো কর্মকাণ্ডকে বিভ্রান্ত করতে চাইলে এর জবাব জনগণ বিগত দিনে দিয়েছে ভবিষ্যতেও দিবে।
ভাই খুব জানতে ইচ্ছা করতেছে- মাননীয় মন্ত্রীর এহেন বক্তব্য আদালত অবমাননা হইল কিনা? "বিচারপতিদের পাগল বলার কারনে উনাকে আইনের কাঠগড়ায় দাড়াতে হয় কিনা, সেটা দেখার বিষয়?"
-
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮