চিত্রা
তোমার চিঠি আমাকে মহান হওয়ার একটা উপলক্ষ দিয়ে গেল। আমি মানুষ হিসাবে একটু লম্বা হয়ে উঠলাম……।
অথচ জানি, কেউ বিশ্বাস করবেনা- কিন্ত আমি টের পাচ্ছিলাম………
গত কয়েকদিন ধরে… তোমার চোখ হেসে উঠছিল না- আমার সঙ্গ পেয়ে, তোমার স্পর্শ যাকে খুজছিলো সে আমি ছিলাম না। আমার দিকে চোখ তুলে তাকালে বেশ টের পাচ্ছিলাম তোমার শুন্যদৃষ্টি আমার শরীর ভেদ করে হারিয়ে যাচ্ছে দিগন্তের ওপারে কোন অনন্ত মহাশুন্যে।
আমাদের বাক্য গুলো বেসুরো হয়ে যাচ্ছিল- যেন পয়ার আর অক্ষরবৃত্ত।
কাল রাপা প্লাযায়, করিডরের শেষ মাথায় ছোট্ট একটা হোচট খেলে-টাল সামলাতে আঁকড়ে ধরলে আমার বাহু…… এত আলগা ছিল তোমার সে আকঁড়ে ধরার মুঠি………
বিসর্জনের বাজনা তখন থেকেই আমার মনে ……… মুখের ভেতর পরাজয়ের তিতা স্বাদ।
আর আজ সকালে পেলাম তোমার চিঠি……
কাল অনেক রাতে আম্মা এলেন আমার ঘরে- খোকা ঘুমিয়েছিস? অন্ধকার ঘরে বালিশে উপুড় হয়ে থেকে আমার নড়তে ইচ্ছা করছিল না। প্রায় রাত ভোর ভোর আম্মা তখনো আমার পাশে- একটা হাত আলতো করে মাথার চুলে।
চিত্রা, ক্রমশঃ নীচু হয়ে আসছে বিমানটা- অল্প পরেই রানওয়ে ছোঁবে বুঝি…… আজকে ন্যুয়র্কে চমৎকার আবহাওয়া……। রৌদ্রকরোজ্জ্বল মৃদু সমীরন………
শুধু কেন জানি, বিমানের ভেতরটা হঠাৎ করে ভরে গেছে চাপচাপ কুয়াশায়-চারপাশে সব কিছু ধোয়াটে। একহাত দুরের বস্তুও নজরে পড়ে না।
চিত্রা –আমার দুচোখ ঝাপসা হয়ে আসছে ……
শুভ