somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশের খলেরা: s01e04

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-আপনি না নির্ভেজাল মানুষ? আপনাকে তো এসব মানায় না।
-তো?!
-তাইলে এই মামলার কারণ কি? মাথা খাটাইলে ঝামেলামুক্তভেবে এসব উপেক্ষা করতে পারতেন।
-দেখো আমাকে ভাবতে হয়েছে অনেকবার। সে উপর মহলের সাথে দেন দরবার করে কিন্তু আমার তো কেউ নাই। সে আমার বসবাসের জন্য ভিটাটুকু কেড়ে চায়। এটা কি তুমি মেনে নিতে চাও?
-আপনার লুকোনোর জায়গা আছে? মামলা করে এখন নিজের গা বাচাবেন কি করে?
-ঔষধ ফ্যাক্টরিতে?
-নিজের ফ্যাক্টরিতে গিয়ে লুকাবেন? আপনি কি পাগল না অন্যকিছু?

খন্দকার সাহেবের বাড়ির প্রতি নজর পড়েছে জামালের। জামাল ক্ষমতাসীন দলের কর্মী। হাতে টাকা-পয়সা থাকার পরে লোভের তাড়নায় ঘুরে বেড়ায়। আজ এই চাঁদাবাজি করে তো কাল এর ওর দোকান থেকে বিনামূল্যে জিনিসপত্র নিয়ে যায়। তেমনি খন্দকার সাহেবের বাড়ির উপর নজর পড়েছে আজ কদিন ধরে। মিরপুরের এই বাড়িটাকে সে ব্যবহার করবে হেডকোয়ার্টার হিসেবে। খন্দকার সাহেব ঘটনা আঁচ করেন পাঁচদিন আগে। যেখানে সেখানে পা ফেলেনা জামাল। সেদিন হাজির স্বশরীরে। বললো এই বাড়িতে কদিন আছেন।

ব্যস খন্দকার সাহেব বুঝে গেলেনে ব্যাটার কু মতলব আছে।

আজ ষষ্ঠ দিন। খন্দকার সাহেবের ঔষধ ফ্যাক্টরীর কাজ শেষ হয়ে গেছে সন্ধ্যায়। ছুটি পেয়ে সবাই যে যার বাড়ির পথে চলেছে। বিশাল লোহার দরজা বন্ধ করে দিয়েছে সিকিউরিটি।

চারপাশ ঘুটঘুটে অন্ধকার। খন্দকার সাহেব আশ্রয় নিয়েছেন নিজের ফ্যক্টরিতে। হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো।
-বা...বাবা তুমি কোথায়?
-কে রাশু? এইতো ফ্যাক্টরিতে।
খুট করে লাইন কেটে গেলো।
-হ্যালো...হ্যালো?

দশ মিনিট পার হয়ে গেছে। এখনো রাশু কল ধরছে না। হঠাৎ লোহার দরজা খোলার আওয়াজ হলো।

গট গট করে কেউ যেনো ঢুকছে।
-খন্দকার তুই বেরিয়ে আয়। খন্দকার মাই ডগ।
-হে.. হে.. খন্দকার সাহেবের অাত্নাকাঁপুনি দিয়ে উঠেছে।
-দুনিয়াটা খুব ছোট। তাইনা।

ধরা খেয়ে গেছেন খন্দকার।
-তুই কি ভেবেছিস আমার বাড়ির দখল নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারবি? বাড়ি দখল নিতে হলে আমার উপর দিয়ে যেতে হবে।
-বাড়ি দখল তো কবেই নিয়েছিরে মনা। তোর ছেলের ফোনটা আমিই করিয়েছি।
-পাপিষ্ঠ! বন্দী বাঘের মতো হুংকার ছাড়লেন খন্দকার।

সব ধরণের কেমিক্যাল যৌগ আছে ফ্যাক্টরির ওয়্যারহাউজে। খুব সাবধানে খন্দকার সাহেবের ফার্মাসিস্টরা সেগুলো আনা নেওয়া করে। জামাল, মেটাজিনল পার অক্সাইড নামের একটা কেমিক্যালের কন্টেইনারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। খন্দকার সাহেব ঝাঁপিয়ে পড়তেই জামাল ছুরি দিয়ে এফোঁড়ওফোঁড় করে দিলো। কিন্তু ভাগ্য খারাপ। খন্দকারের হামলার গতিবেগ এতো বেশি ছিলো যে কন্টেইনারের উপরে থাকা গ্লাস জারগুলো ফেটে পড়লো।

জারের কেমিক্যাল সংমিশ্রণে বিশাল বিস্ফোরণে নিচের কন্টেইনারগুলোও ফেটে পড়লো।

ন্যাশনাল সিকিউরিটির অ্যালার্ম সিগন্যাল বেজে উঠতেই এক ট্রুপ মিলিটারি পুলিশ নিকটস্থ জায়গা থেকে রওনা দিলো।

ঘটনা স্থলে এসেই স্তম্ভিত হয়ে গেলো সবাই। বিস্ফোরণে পুরো জায়গায় লালচে ভাব। কটু গন্ধ। খন্দকার সাহেব মাটিতে মরে পড়ে আছেন।
পুলিশ ইন্সপেক্টর হাত উঁচিয়ে সবাইকে থামতে বললেন। পেছনে ঘুরে তার সেকেন্ড ইন চীফকে কি যেন বলবেন হঠাৎ বিশাল একটা হাত তার কাঁধে হাত রাখলো।
-কে?
হাতটা ঘাড় স্পর্শ করলো। এবার ঘাড়ের উপর নখ চেপে ধরে ইন্সপেক্টরের সামনে এসে দাঁড়ালো। জামাল। বিষক্রিয়ায় মুখ চোখ বিকৃত হয়ে গেছে। হাতের নখ কুচকুচে কালো। নখ দিয়ে ঘ্যাচ করে ইন্সপেক্টরের গলায় চিরে দিলো। মুখ নীল হয়ে গেছে লোকটার।
-বিষমানব। আমি বিষমানব। হাহাহা!

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×