হযরত উমাইর (রাযি তিনি খাইবারের যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন তখন তার বয়স ছিল আনুমানিক ১৩-১৪ বছর, তাহার মনিবের সুপারিশে তাহাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধে যাওয়ার অনুমতি দেন,এবং একটি তরবারী দান করিলেন,যাহা তিনি গলায় ঝুলাইয়া লইলেন,কিন্তু তরবারী বড় ও শরীর ছোট হওয়ার কারনে ইহা যমিনের উপর হেঁচড়াইতেছিল, এই অবস্হায় তিনি খায়বারের যুদ্ধে আংশ গ্রহন করেন,যেহেতু তিনি ছোট ছিলেন এবং গোলাম ও ছিলেন এই কারনে গনিমতের পুরা অংশ পাননি তবে দানসরুপ কিছু সামান পাইয়াছেন.(আবু দাউদ)
হযরত ওমাইর (রাযি এর বদরের যুদ্ধে আত্নগোপনে ছিলেন, তিনি হযরত সাদ রায়ি: এর ছোট ভাই ছিলেন,যখন বদর এর যুদ্ধে যাওয়ার জন্য সব সাহাবারা তৈরী হইতেছিলেন, তখন হযরত ওমাইর (রাযি লুকাইয়াছিলেন লশকর এর পিছনে, তখন সাদ (রাযি) বললেন তুমি এত লুকাইয়া বেড়াইতেছ কেন,সে বলিল আমার আশংকা হইতেছে না জানি হুযর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে দেখিয়া পেলিবেন এবং আমি যাইতে পারব না,আমার আকাংকা যে আমি অবশ্যাই যুদ্ধে যাব, হয়ত আল্লাহ আমাকে কোন প্রকারে শাহাদাতের সুযোগ দান করিবেন(আহ কেসা তাদের জযবা) ,কিন্তু অল্প বয়স্ক থাকার কারনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি দেন নি, কিনতু তিনি কাদিঁতে লাগিনেন, তাঁহার ক্রন্দন ও আগ্রহ দেখিয়া হুযর তাহাকে অনুমতি দিলেন,এবং তিনি এই যুদ্ধে শাহাদাতের শরাব পান করিলেন, (ইসাবাহ)
হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রাযি প্রসিদ্ধ ও বড় সাহাবাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন,তিনি বলেন আমি বদর এর যুদ্ধের ময়দানে কাতারে দাঁড়াইয়া ছিলাম , আমার ডানে এবং বামে কম বয়স্ক দুই জন আনসারী বালক ছিল,ভাবিলাম যে আমি যদি শক্তিশালী ও মজবুত লোকদের মধ্যে থাকিতাম তবে ভাল হইত কেননা প্রয়োজনে একে অপরের সাহায্য করিতাম,আমার এক পাশের এক ছোট্ট সাহাবী আমার হাত ধরিয়া বলিলেন চাচা, আবু জাহেল কে চিনেন,আমি বললাম চিনি কেন , তাঁরা বলল সে নাকি আমার নবীকে নিয়ে গালিগালাজ করে ,তাঁরা বলিল যতক্ষন আবু জাহেল কে না মারিব ততক্ষন পর্যন্ত তাঁহার নিকট হতে আলাদা হব না, ঘটনা ক্রমে আবু জাহেল ময়দানে ছুটাছুটি করিতে লাগিল, আমি তাঁহাদের বলিলাম ওই যে জাহেল,এই কথা শুনার সাথে সাথে তাঁহারা আবু জাহেল এর কাছে গিয়ে তাঁহাকে পরাস্থ করে দিল,তাঁর পর হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযি) তাঁহাকে শিরোচ্ছেদ করে দিলেন,ওই ছোট সাহাবার একজেনর হাতের মধ্যে আবু জাহালের ছেলে আঘাত করে ,এর কারনে হাত ঝুলিয়া যায়, পরে যুদ্ধ করতে অসুবিধা হয় দেখে তিনি পায়ের নীচে হাঁত রাখিয়া জোরে টান দিয়ে হাঁত ছিড়ে পেলেন, তাঁরপর যুদ্ধ করতে থাকেন.(বুখারী)(খামীস)
১৩-১৪ বছরের ছোট সাহাবারা যখন যুদ্ধে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলেন ,তখন তাঁরা অল্প বয়স্ক থাকার করনে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁহাদের ফেরত পাঠাইয়া দিলেন, যখন তাঁহাদের প্রতি ফিরিয়া যাওয়ার হুকুম হইল তখন হযরত খাদীজা (রাযি) সুপারিশ করিলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার ছেলে রাফে তীর চালনা খুব ভালো জানে আর সয়ং রাফে (রাযি) অনুমতি পাওয়ার জন্য পয়ের উপর ভর করিয়া বার বার উঁচু হইয়া দাঁড়াইতেছিলেন যাহাতে লম্বা মনে হয়, হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁহাকে অনুমতি দিয়া দিলেন,তখন সামুরা নাম আরেক ছোট সাহাবী বললে আমি ত রাফের থেকে বেশি শক্তিশালী, তখন হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত রাফে এবং সামুরা (রাযি:০)কে কুস্তি লাগতে বললেন , এবং কুস্তিতে সামুরা (রযি জয়লাব করেন এবং অনুমতি পান , এভাবে অনেক ছোট সাহাবা কে অনুমতি দেওয়া হয়,(খামীস)
আল্লাহ আমাদের এমন জযবা ইসলামের কাজে দান করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৮