পৌষের উত্তুরে হাওয়া কানের কাছে ফিস ফিসিয়ে তার আগমনী বার্তা দিয়ে যাচ্ছে,সে বইছে নীরবে জানান না দিয়ে। শুধু পাড়ার বউ ঝিদের ফাটা ঠোটেই তার অস্তিত্ব টের পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে খাল বিল নদী নালা সব শুকিয়ে কাঠ। হাতির ঝিলের পানিও শুকিয়ে গেছে,থক থকে কাদা মাটি বিরাজ করছে চারদিকে। কৃষকেরা ধানও বুনেছে কোথাও কোথাও। কচি সবুজ ধানের চারা লাজুক লাজুক মুখ করে চাইছে আকাশ পানে,নেড়া ছেলের সদ্য গজিয়ে উঠা চুল যেন। দামাল ছেলের দল মাছ ধরে বেড়াচ্ছে কাদা জলে। কে বলবে কিছু দিন আগেও পাল তোলা বিরাট পানসি নাও গেছে ঝিলের বুক চিরে। মেটে রঙের কি উথাল পাথাল পানি! হু হু করে যুবক যুবতীর মন। কেউ কেউ বলে শীতলক্ষ্যার শাখা নদী। কথিত আছে ভাওয়াল রাজা শিকারে বের হলে তার হাতির বহর নিয়ে এখানেই যাত্রা বিরতী করতেন,হাতীরা আকন্ঠ পান করতো এর জল। সেই থেকে নাকি এই নদীর নাম হাতির ঝিল। বলে নেয়া ভাল ঘটনার সময়কাল,স্বাধীনতা পূর্ববর্তী বাংলাদেশ,দেশ স্বাধীন হবে হবে একটা আমেজ চারদিকে তখন।
আজ বেশ তাতিয়ে রোদ উঠেছে ঝিলে। দিগন্ত বিস্তৃত এই প্রান্তরে বিভিন্ন জাতের পদের মানুষের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। মাছ ধরার পাশাপাশি কেউ এসেছে বক মারতে, কেউবা তুলছে শালুক কলমি,কেউ হাস মুরগীর জন্য খুজছে শামুক। খালি গায়ের মিশ মিশে কালো তেল চিটচিটে দুই ভাই হরি দাস আর পবন দাস এসেছে ময়মনসিংহ থেকে। তাদের কাধে ঝোলানো ঝোলা আর ঝোলা থেকে উকি দেয়া বাহারি বীন নির্দেশ করছিল তারা কোন সম্প্রদায়ের। প্রতি শীতের শুরুতেই দুই ভাই এভাবে বেড়িয়ে পড়ে। খুজে খুজে বের করে শুকিয়ে যাওয়া খাল,বিল,ঝিল আর তেনাদের মানে সাপেদের। তেনাদের নিয়ে বানিজ্য করে পকেট গরম করে দুই চারটাকে বগলদাবা করে তবেই বাড়ী ফেরে দাস ভাইদ্বয়। সূর্য উঠে গেছে পুরো চাদি বরাবর, মাথার ঘাম বেয়ে নামছে কোমরে তবু একটারও দেখা নেই। সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে কাদা পানিতে,কখন আবার পায়ে বসিয়ে দেয় দন্ত যুগল। হাতের লাঠি দিয়ে ইতিঊতি খুজে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে বীন ও বাজাতে হচ্ছে। এর মধ্যে পিছে লাগছে দুষ্ট পুলাপানের দল,এরা তামাশা দেখতে আসছে। হরি ডাক ছাড়ে,
------" কিরে পবইন্না আইজগা মনশা মার ভোগ মেরে দিছিলি নাকি,একজন সর্প দেবতাও দেখা দিল না যে!!!!"
------কি যে কও দাদা! তোমার মুখ একদম বেতাকেচ্ছারা!!! আইজগা কাওনের চালের ক্ষীর দিছি ভোগে, এক আঙ্গুল স্বোয়াদ চাইখাও দেখি নাই! হুহ।
আজ যে ভাগ্য দেবী আকর্ণ বিস্তৃত হাসি হেসেছেন তা তারা তখনো টের পায়নি !!
তারো ঘন্টা দুই পরে দুই ভাইকে দেখা গেল ঐ এলাকার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি জামিল শেখের বাড়ীর সদর দরজায়। সদর দরজা পেরোলেই সুপারি আর কাঠাল গাছে ঘেরা বাহির বাড়ীর উঠোন। সেই উঠোনে জলচৌকি পেতে বসে আছে শেখ সাহেবের বড় মেয়ে সাবিহা, মাটিতে পাটি বিছিয়ে দুই মাসের ছেলেকে সরষের তেল মাখাচ্ছেন। উষ্ণ গোসলের পর এইটুকুন বাচ্চাও রোদে শরীর পেতে দিয়ে মায়ের হাতের তেল মাখানো উপভোগ করছে! হরি দাস গলা বাড়িয়ে উকি দেয় উঠোনে,সাবিহাকে দেখে বলে উঠে,
--বুবুজী কি একটু এদিকে আসবেন!!! আমরা অনেক দূর থেকে এসেছি
---(হতচকিত সাবিহা উত্তর দেয়) কারা আপনারা? আর কাকেইবা চাইছেন (সেই সময়ে বাড়ীর সদর দরজা লোকজন খোলাই রাখতো বলা যায় )
---বুবুজী আমরা বেদে,ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে এসেছি, এ আমার ছোট ভাই পবন আর আমি হরি।
সাবিহা ভাল মত লোকটার দিকে তাকাতেই তার রক্ত হিম হয়ে আসে, দেখে কুচকুচে কালো খালি গায়ের একটা লোক,হাতে পায়ে কাদা মাটিতে মাখা মাখি আর তার হাত পেচিয়ে আছে বৃহদাকারের এক নাম না জানা সাপ,সাথে আর একজন লোক, তার গলা পেচিয়ে আছে আর একটা সাদা ডোরা কাটা দোড়াস সাপ। সাবিহা ভয় পেয়ে দৌড়ে ভিতর বাড়ী এসে মাকে ডাকতে থাকে। লোকজনকে চমকে দেবার জন্য দুই ভাই প্রায়ই সাপ হাতে গলায় পেচিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ভাগ্য লক্ষী আজ মুখ তুলে চেয়েছেন। তাইতো এলাকার সবচেয়ে মান্যি আর ধনীর বাড়ীতে এসেছে ভাল লাভের আশায়।
ওদিকে নূরজাহান বেগম বড় মেয়ের ভয়ার্ত হাক ডাকে রান্নাঘর থেকে বেড়িয়ে এসেছেন তড়িঘরি। ফর্সা মেয়েটা ভয়ে উত্তেজনায় লাল হয়ে গেছে। ছয় সন্তানের জননী হলেও বড় সন্তানের প্রতি আলাদা টান তাদের স্বামী স্ত্রীর। মেয়েটা বড্ড লক্ষী। জন্মের পর পরই শুরু হয়েছিল বৃষ্টি,বহুদিনের খরা কেটেছিল গ্রামের, প্রচুর ধান হয়েছিল সে বছর, গাইও জন্ম দিয়েছিল বাছুর। লোকে বলল,"কি পয়মন্ত মেয়েগো!! শেখের লক্ষী এসেছে ঘরে"। কিন্তু ভাগ্য কাকে বলে মেয়ে গাইয়ের দুধ মুখে নেয় না,বমি করে ভাসিয়ে ফেলে। বাধ্য হয়ে রবিনসন বার্লি খাইয়ে মেয়েকে পালতে হয়েছে। এইটুকুন মেয়ে, হাতের কাজ পাড়া প্রতিবেশীরটা দেখে নিজে নিজেই এক দেখায় শিখে ফেলে,কেউকে দেখাতে হয়না,আর কি সুন্দর নিখুত নকশা তোলে কাপড়ে, চেয়েই থাকতে ইচ্ছা করে। বৈঠকখানা সাজিয়েছেন মেয়ের হাতের নকশা দিয়ে ফ্রেমে সাজিয়ে। পড়াশোনাতেও তুখোড়, প্রতিটা ক্লাশে ফার্স্ট হয়। রান্নার হাতও সেইরকম যেন জাদু, ছোট ভাইবোন সব গুলোকে ওই কোলে পিঠে করে রাখে। ঘটকের চাপাচাপিতে বাধ্য হয়ে এমন লক্ষী মেয়েটাকে বিয়ে দিতে হয়েছে মাত্র ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায়। বিয়ের পরেও মেয়েটা পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। অল্প কদিন হলো ফুটফুটে একটা নাতী হয়েছে। মেয়ের সাথে পনেরো বছরের পার্থক্য তাই মা মেয়ের সম্পর্ক অনেকটা বান্ধবীর মতো।দিন শেষে দুজন দুজনের কাছে গুটুর গুটুর সুখ দুখের কথা বলেন।
বড় মেয়ের কাছ থেকে সব শুনে নূরজাহান বেগম মেয়ের হাত ধরে এগিয়ে গেলেন বাহির বাড়ীর পানে।তিনি গ্রামের মেয়ে, সাপখোপে ভয়ডর তেমন নেই বললেই চলে, অত্যন্ত রুপবতী এই নারী সেই চৌদ্দ বছর বয়সে বাড়ির বড় বঊ হয়ে এসেছিলেন, তারপর থেকে এত বড় সংসারের দায় ভার সব তিনি একা সামলেছেন। বড় মেয়েকে ছয় বছরের কোলে নিয়ে ঢাকা এসেছিলেন স্বামীর সংগে। অন্যান্য সম্পদ ছাড়াও হাতীর ঝিলের পাশেই শেখ সাহেবের তখন তিন তিনটি বিশালাকার বাড়ী, সবচেয়ে বড় বাড়ীটাই বাইশ কাঠার উপর। দুটি বাড়ী ভাড়া দিয়ে একটিতে নিজেরা বসত গড়েছিলেন। স্রষ্টার অসীম কৃপায় ধনে,মানে,সন্তান সন্ততিতে ভরপুর তার সংসার।এই বাড়ী থেকে খালি হাতে কেউ ফেরত যায়না। নূরজাহান বেগমের সেদিকে কড়া দৃষ্টি,বড় মেয়েটাও এই গুণ পেয়েছে,সে সবাইকে দেখে, সবাইর প্রতি তার মায়া। তাইতো তার সংসারও ফুলে ফসলে ভরপুর।
আজ শেখ সাহেবও বাড়ীতে নেই। চিটাগাং পোর্টে গেছেন,বিদেশ থেকে আসা তার অটোমোবাইলসের ব্যবসার মেশিনারীজ খালাসের ব্যাপারে।হরি দাস, নূরজাহান বেগমকে দেখে বিনয়ে প্রায় মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে, রং,রুপ, বনেদীয়ানা দেখে বুঝলো ইনিই বাড়ীর কর্ত্রী, কদমবুসি করে গদ গদ গলায় বললো,
---বুবুজী শুধু শুধুই ভয় পাইছেন,ধরার সাথে সাথেই এরার বিষদাত ভাইংগা ফেলি আমরা। তবে আম্মাজী আপনার জন্য এক আশ্চর্য্য দূর্লভ জিনিস নিয়ে আসছি, যেটা আপনাদের মতো বড় মানুষের কাছে থাকাই মানায়
---কি জিনিস?
---আম্মাজী ভাল মত আমার হাতের সাপের মাথার দিকে খেয়াল করেন,কিছু দেখতে পাচ্ছেন?
নূরজাহান বেগম তেমন কিছু বুঝতে পারলেন না। হরিদাস আঙুল দিয়ে সাপের মাথার এক দিকে নির্দেশ করলো। তীক্ষ্ণ দৃষ্টি দেয়ার পর মা মেয়ে উভয়েই দেখলেন সরষের দানা থেকে একটু বড় সাইজের মিইয়ে যাওয়া ইট রংয়ের গোল একটা বস্তু সাপের মাথার ভিতর ডুকে আছে। যাকে বলে কিনা সাপের মণি!! হরিদাস দাত কেলিয়ে হাসতে হাসতে বলে উঠে,
-------কে বলে সাপের মণি হয়না,এটাই হলো সেই মণি, খুব দূর্লভ জিনিস আম্মাজী,সব সাপে হয়না লাখে একটা। মুসলমান ভাইদের থেকে শুনছি,কদরের শেষ রাতে আল্লাহ পাক যে রহমতের পানি ঝরান দুনিয়াতে তা যদি কোন সাপ নিতে পারে,তাইলে হয় সাপের মণি, হরিণের নাভীতে হয় কস্তুরী। এই দূর্লভ মণি আংটিতে,হারে বসায় পরতে পারবেন। আমরা গরীব মানুষ মণি দিয়া কি করুম, দুইবেলা পেট ভরলেই আমরা খুশী।
সাবিহা ভয়ে মায়ের পিছনে দাঁড়িয়ে আছে,একই সাথে বিস্মিত মণি দেখে। তার ধারণা ছিল মণি হয় হিরের মত সাদা উজ্জ্বল কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে অন্যরকম। নূরজাহান বেগমের নীরবতা দেখে হরি আবার বলে উঠে,
--------আম্মাজী দাম নিয়া ভাইবেন না আমরা কসাই না, আমাদের কোন দাবী নাই। আপনি খুশী হয়ে যা দিবেন তাই সই। কোন ধান্ধাবাজী নাই এখানে, আপনার চোক্ষের সামনে মাথা থেকে খুইট্টা তুইলা দিমু, এক নম্বর জিনিস!!!
নূরজাহান বেগমের মন খুব যে সায় দিচ্ছিল তা নয়। একেতো বিশ্রি একটা প্রাণী তার উপর এইসব জিনিস ঘরে রাখলে কি হয় না হয়, সেটা নিয়েও একটা ভাবনা কাজ করছিল। জিনিসটা দূষ্প্রাপ্য সন্দেহ নেই,আবার গরীব মানুষ কত আশা নিয়ে এসেছে। দোলাচল মন নিয়ে শেষ পর্যন্ত মণি রেখে দেবার সিদ্ধান্তই নিলেন। মেয়েকে নীচু কন্ঠে আলমিরার নির্দিষ্ট জায়গা থেকে টাকা আনতে বললেন। পবন বলে উঠলো, সাথে কিছু তুলাও যেন নিয়ে আসে। অতপর টাকা আর তুলা নিয়ে সাবিহা ফিরে আসে। এবার তুলা নিয়ে চিমটি দিয়ে পবন সাপের মাথা থেকে মণিটা বের করলো।মণিটা তোলার পর মাথার অই জায়গাটা গর্ত মত হয়ে গেলো।মণি নিয়ে সন্দেহের আর কোন অবকাশ রইলো না।পাকিস্তান আমলের হিসেবে মোটামুটি যে টাকা দেয়া হলো দাস ভাইদ্বয়কে,খারাপ না। দুই ভাই খুশী মনে বিদায় নিলো। অতপর মা,আদরের মেয়ের হাতে এই মণি তুলে দিলেন আর বললেন এটা তুমিই রাখো,তোমার কাছেই যত্নে থাকবে।সেই থেকে দীর্ঘ পয়ত্রিশ বছর কোন বিপত্তি ছাড়াই মণি সাবিহা বেগমের সিন্দুকে সুরক্ষিত ছিলো মায়ের স্মৃতি চিহ্ন হিসেবে। কিন্তু পয়ত্রিশ বছর পরে ঘটলো বিপত্তি। এরপরের ঘটনা গুলো ঘটলো খুব দ্রুত।
ততদিনে শেখ সাহেব, নূরজাহান বেগম দুজনই মারা গেছেন। ছোট ভাই রহমান এসে একদিন বড় বোনের কাছে মণি আবদার করলো। জানালো তার শখ হয়েছে এই দুষ্প্রাপ্য মণি দিয়ে একটি আংটি গড়ার। ছোট ভাইয়ের স্নেহে সাবিহা বেগম অন্ধ,দিয়ে দিলেন মণি। ভুলে গেলেন মা এটা বিশেষ ভাবে তাকেই যে দিয়ে গেছেন। রহমান ওই ইট লাল রংয়ের মণি বসিয়ে বানালেন এক সোনার আংটি। দিনরাত সে আংটি তার মধ্যমাতে শোভা পেত। গর্বে রহমানের বুক ফুলে উঠতো। কিন্তু ভাল দিন গুলো তার হঠাৎই যেন খারাপের দিকে যাওয়া শুরু করলো, ব্যবসায় একের পর এক ধস। যেখানেই হাত দেন ছাই হয়ে যায় সব।সম্পদের পিছনে দাঁড়িয়ে গেলো শত্রু। সবশেষে স্ত্রী সন্তানদের একা ফেলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু।
আংটি হাত বদল হয়ে আসে ছোট বোন সুবর্নার কাছে। সুবর্নারও একই পরিণতি দেখা গেলো! স্বামীর চাকুরীতে,ব্যবসায় ভীষণ ভাবে ক্ষতি,সংসারে উঠলো অশান্তির ঝড়। অকালে একই ভাবে স্বামী সন্তানদের রেখে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেলো সুবর্নাও। কিছুদিন পরে মারা গেলো তার স্বামীও।
এরপর ঠিক একই ভাবে মারা গেলো আরেক ভাই আযহার আর তার স্ত্রী।
এবার আংটি এলো আরেক ছোট বোন শ্যামলীর কাছে। দেখতে দেখতে শ্যামলীর সংসারেও শুরু হলো বিপর্যয়।চারদিক থেকে রাহুর গ্রাস যেন আকড়ে ধরলো। একের পর এক ভাইবোনের মৃত্যু ভাবিয়ে তুললো তাকে এবং নিজের জীবনের অশান্তি গুলোর সাথে যোগসূত্র খুজে বের করার চেষ্টা করতে লাগলো সে। সবশেষে মনে হলো এই আংটির জন্য নয়তো? গত পাচ সাত বছরে যার কাছে গেছে তাকেই তুমুলে শেষ করেছে, অথচ গত পয়ত্রিশ বছর বড় বোন সাবিহার কাছেতো কিছু হলো না! একে এর আসল মালিকের কাছে ফেরত না দেয়া পর্যন্ত এই ধংসযজ্ঞ থামবে না। সিদ্ধান্ত নিলো বেচে থাকার জন্য মণির এই লোভ তাকে ছাড়তে হবে।ছয় ভাইবোনের চার জনই মারা গেছে ,একজন অবশ্য খুব ছোটবেলায়ই মারা যায়। এখন তার পালা!! অতপর বড় বোন সাবিহাকে সব খুলে বলল এবং অনুরোধ করলো এই বলে যে,
-------"মা এটা তোমাকে দিয়ে গেছেন হেফাযতের জন্য,এর দায়িত্ব তোমার,আসল মালিকের কাছে না যাওয়া পর্যন্ত এর ধংস থামবে না, তুমি বাচাও আমাদের।"
অতপর কি আর করা বড় বোন মণি গ্রহন করলেন। আসন্ন বিপর্যয় থেকে বেচে গেলো শ্যামলী আর তার পরিবার। মণি এখন বহাল তবিয়তেই সাবিহা বেগমের সিন্দুকে শান্তিতে আছে,আর কোন ধংসযজ্ঞ ঘটায়নি।
#শারমিন_জলছবি
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ২:২৫