কোন এক আর্টিকেলে পড়েছিলাম এরিক ক্ল্যাপটন ঐ কনসার্টে আসার কথা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করেই শুধু একটি দেশের নিপীড়িত মানুষের জন্য দীর্ঘদিন পর তিনি হাজির হন জনসন্মুখে এবং অংশগ্রহন করেন সেই কনসার্টে । এছাড়াও "বিটলস" ভেংগে যাওয়ার পর হ্যারিসনের এটিই ছিল প্রথম জনসমকক্ষে আসা।
২০০৫ সালে ইউনিসেফ সেই কনসার্টের ডিভিডি বাজারজাত করে এবং এ থেকে সংগৃহীত টাকা ব্যয় করা হবে শিশুদের উন্নয়নের জন্য।
ঐ কনসার্টি মূলত বাংলাদেশি শরণার্থীদের জন্য করা হলেও এর ব্যাপকতা ছড়িয়ে পড়েছিল বহুদূর। নীতিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সমর্থন দিচ্ছিল। সেই সময়ে তুমুল জনপ্রিয় কিছু গায়ক কনসার্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরছে খোদ মার্কিন যুক্তরাস্ট্র থেকেই! সাধারন মানুষকে নাড়া দিয়েছিল সেই কনসার্টটি। সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত তৈরীতে রেখেছিল বিশেষ ভূমিকা।উল্লেখ্য যে ঐ কনসার্টের সকল টিকিট বিক্রি হয়েছিল।
এদেশের জন্য এতবড় সংগীতজ্ঞদের সেই অবদানকে সরকারীভাবে কোনদিন মূল্যায়ন করা হয়েছে বলে জানি না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদেরকে নূন্যতম ধন্যবাদ দেয় যেত। কত অগুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি কত পদক পায়, অথচ...বড় অকৃতজ্ঞ আমরা!!!
অবশ্য কি আর বলব? যে দেশে এখন স্বাধীনতাবিরোধী চক্র শক্তিশালী, যে দেশে মুক্তিযোদ্ধারাই নিগৃহীত হন, সেই দেশে হ্য়ত এই আশাটাও দূরাশা।
আমি খুব নগন্য এক মানুষ। কোন কিছু করার ক্ষমতা হয়ত আমার নেই। শুধু ভালবাসা আর শ্রদ্ধাটুকুই দিতে পারি। তা ই দিলাম। হৃদয় উজাড় করা ভালবাসা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সেই সব মহান সংগীতজ্ঞ এবং কনসার্টে অংশগ্রহনকারী সকলের প্রতি।"যতদিন আমরা বাঁচব, আমাদের হৃদয়ের ভিতর আপনারা থাকবেন।"
আরও অনেক অজানা তথ্যের জন্য ভিজিট করুন নিম্নের সাইট দুটিতে:
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:৫৭