somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কাল্পনিক আমি
আমি এখনও পড়াশুনা করছি। তার সাথে বেশ কিছু দিন ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত আছি। বাবা মায়ের ছোট ছেলে। ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করতে বেশ পছন্দ করি।

ঈশ্বর... কে এবং কোথায়? একটি প্রাচীন ধারণা

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঈশ্বর কোথায় আছেন সেটা কি আমরা কেউ বলতে পারব? আমার মনে হয় এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারবেন না। যদি ঈশ্বর থেকেই থাকেন তাহলে তার তো একটা শুরু থাকবে। প্রথমে তার নিজেরই অস্তিত্বে আসতে হবে। নাহলে তিনি সৃষ্টি করবেন কীভাবে? তাহলে স্রষ্টার অস্তিত্বে আসার আগে কী ছিল? স্রষ্টা কীভাবেই বা অস্তিত্বে এলেন? এগুলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং যৌক্তিক প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের উত্তর ধর্মগ্রন্থে থাকাটা বাঞ্চনীয় ছিল। নেই যখন তখন কী আর করা। আর অস্তিত্বে আসার পর তিনি ঠিক প্রথম কী সৃষ্টি করেছিলেন তা জানাটা খুবই দরকার। কারন তার প্রথম সৃষ্টি কী তাই যদি না জানি তাহলে এত শত ধর্ম পালন মানবজাতির জন্য বৃথা। আর স্রষ্টা নিজে কী দিয়ে তৈরী তাও ধর্ম গ্রন্থে স্পষ্ট নয়।অনেক ধর্মে বলা হয় ঈশ্বরের নাকি নূরের পর্দা আছে। আচ্ছা ঈশ্বরের পর্দা লাগবে কেন? তিনি নাকি আরশে সমাসীন। সেই আরশটা কীসের তৈরী। এইসব প্রশ্নের উত্তর হাবিজাবি কথা বলে এড়ানো মানে নিজের ধর্মের প্রতিই অনাস্থা। কারন ধর্মের মতে জীবন চালাতে হলে ঈশ্বর সম্পর্কে যদি সেই ধর্মই নীরব থাকে তাহলে সেই ধর্মের গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠাটাই স্বাভাবিক। ঈশ্বর প্রথম কী সৃষ্টি করেছিলেন তার চেয়ে বড় ব্যাপার তিনি তার প্রথম সৃষ্টি কী দিয়ে বানিয়েছিলেন? কেনইবা বানিয়েছিলেন। তার প্রথম সৃষ্টির উপকরন কী ছিল? তার উদ্দেশ্যই বা কী ছিল। ঈশ্বর যখন প্রথম নিজেই আত্মপ্রকাশ করলেন তখনতো একমাত্র ঈশ্বর ছাড়া আর কিছুই ছিল না। কিছুই যখন ছিল না তাহলে বুঝা যায় কোন খারাপ কিছুও ছিল না। তাহলে প্রথম খারাপ কিছু কীভাবে অস্তিত্বে এলো? বিশাল মহাবিশ্বের অনেক সৌরজগতের অত্যন্ত ছোট্ট একটা গ্রহে মানুষের বসবাস। তাহলে বাকী গ্রহগুলো বানানোর কীইবা দরকার ছিল। এখনো অনেক গ্রহই আবিষ্কার হয়নি। হয়ত অন্যান্য গ্রহেও থাকতে পারে প্রান। তাদের বুদ্ধিমত্তা হয়ত মানুষের চেয়েও বেশি হতে পারে কিংবা নাও হতে পারে। ঈশ্বর কেনইবা তৈরী করলেন স্বর্গ-নরক। তার সৃষ্টির প্রক্রিয়া কী এটাও ধর্মে বলা যায় অনেকটা জাদুর মত। হও বললেই নাকি হয়ে যায়। তাহলে তার মুখ দিয়ে উচ্চারন করতে হয়। কেন ঈশ্বরকে কেন মুখ দিয়ে উচ্চারন করতে হবে? তিনি কি মুখ দিয়ে উচ্চারন করা ছাড়া কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারেন? তার ভাষা কী? তিনি কি অস্তিত্বে আসার পরই ভাষার ব্যবহার করতে লাগলেন? এই পৃথিবীতে একমাত্র মানুষ কথা বলে। তাহলে ঈশ্বরও কি মানুষের মতই কথা বলেন নাকি তার কথা অন্যরকম।তার কন্ঠ কেমন তা কোন ধর্ম গুরুই বলে যাননি। ঈশ্বরের কথার কম্পাংক কেমন? তা কি কোন মানুষের শ্রবনযোগ্য হতে পারে? নাকি তিনি তার কন্ঠের কম্পাংক কমিয়ে ফেলেন।
ঈশ্বরের কন্ঠের বর্ননা কোন ধর্ম গ্রন্থেই নেই। মহাবিশ্বে প্রতিনিয়ত অনেক বিস্ফোরণ হচ্ছে যেগুলো পৃথিবীতে শোনাই যায়না, কারণ সেগুলোর কম্পাংক মানুষের শ্রবনশক্তির বাইরে। ঈশ্বর কথা বলেন তার মানে তাকেও ভাবের প্রকাশ করতে হয়। প্রকাশ না করেও কি কাউকে কিছু জানাতে পারবেন এই ঈশ্বর নামক প্রাচীন ধারনাটি। ধর্ম গুরুরা বিনা বাঁধায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতেন অথচ আজকের যুগে একজন প্রেসিডেন্টও ভিসা ছাড়া অন্য দেশে যেতে পারেননা। তাহলে কেন ধর্ম গুরুদের যুগে ছিল না ভিসার সিস্টেম। তাহলে কি ভিসা পদ্ধতি ধর্মানুভুতিতে তীব্র আঘাত হানার কথা নয়? তাহলে কেন আজ ধার্মিকেরা ভিসার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন দীর্ঘ লাইনে। দিন দিন কেন কমে যাচ্ছে ধর্মের প্রয়োজনীয়তা। দূর্বল চিত্তের মানুষকে নরকের ভয় দেখানো ঈশ্বর নামক ধারনা নিজেই কেন সর্ব প্রথম খারাপ বা নেতিবাচকতা তৈরী করেছিলেন। আগে থেকেই নাকি নরক বানানো এবং ঈশ্বর নাকি পরীক্ষা নিচ্ছেন তা তিনি নিজে কয়টা পরীক্ষা দিয়েছেন? যদি ঈশ্বর নামক প্রাচীন ধারনা থেকেই থাকেন তাহলে অন্তত একটা দিনের জন্য কি পুরো সৃষ্টির কন্ট্রোল অটো মুডে দিয়ে একজন মানুষ হয়ে পৃথিবীতে এসে মানুষের জীবন কাটাতে পারেন না? যে কোন একটি ধর্ম পালন করতে পারেন না? তারপর নিজেই বুঝে যাবে পরীক্ষার ধান্দায় পড়ে আজ এই পৃথিবীই হয়ে যাচ্ছে নরক। ঈশ্বরের তো কোন স্বজন নেই। তাহলে তিনি কীভাবে বুঝবেন স্বজন হারানোর ব্যাথা। ঈশ্বর নামক এই প্রাচীন ধারণা পৃথিবীকে প্রাচীনই রাখতে চায়।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×