পরছি অনেকদিন থেকে,
বৃষ্টির মত মুসুল ধারায়,
অথবা গোলাপী সাদাটে চেরির মত-
ঘুরে-ঘুরে নেচে-নেচে
মাটির ভালবাসায়।
ধাতব শিশার বুলেটে এফোড় ওফোড় বুক চির,
ফিনকি দিয়ে প্রচন্ড বেগে রক্তের মত,
পরছি অনেকদিন থেকে।
গন্তব্যহীন পথ বেয়ে,
আঁকা বাকা নদের পার দিয়ে,
গা্ঁয়ের পাশ ঘেষে,
দুরন্ত কিশোরের মত দিশেহারা হয়ে
যেতে যেতে
পরছি অনেকদিন থেকে।
বেকার যুবকের মাস শেষ হওয়া
বকেয়া বাসা ভাড়ার গ্লানির চুড়ায়,
অবশিস্ট টাকায় মায়ের জন্য কেনা ঔষুধের গন্ধে
হতাশা অন্ধকারে ডুব দেয়া,
নেশায় বুঁদ হওয়া বাতাসে
ভেসে ভেসে
পরছি অনেকদিন থেকে।
গুম খুন হওয়া সমাজের জটিল সমীকরনে,
ভেসে যাওয়া মূল্যবোধের শিক্ষা ব্যাবস্থায়,
অসহায় ছাত্রের মত
পরছি অনেকদিন থেকে।
নিত্য সঙ্গি বদল হওয়া
নিশী মানবীর মাদকাতায়-
স্থুল পয়সাওলাদের বিসনেজ মদের আসরে,
বহুদিন আগে সততা হারিয়ে ফেলা বুড়ো যুবকের মনের মত-
পরছি অনেকদিন থেকে।
এ যেন নিওতি,
জীবনহীন নক্ষত্রের
এক হয়ে যাওয়া মত।
বিঃদ্রঃ এরকম কবিতা মোটেই লিখতে চাইনি। জানিনা কেন এরকম হল।
ছবি: ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৫