somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমরা সাধারণ মানুষ ভালো নেই, দয়া করে আমাদের পেটে লাথি মারবেন না। দয়া করে আপনারা মূল ইসলামের পথে আসুন, শান্তির পথে আসুন। আসুন সকল ধর্ম-বর্ণ-জাতি-গোষ্ঠী-ধনী-গরীব বিবেধ ভুলে সবাই মিলে আদর্শ স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশের পরিস্থিতি অনেক ভয়াবহ হচ্ছে। দিন দিন মানুষের লাশের সংখ্যা বাড়তে থাকছে। স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ হয়েও আমি নিজেকে স্বাধীন ভাবতে পারি না। আমাদের দেশে এখন হরতাল হচ্ছে আমি আমার স্বাধীনতা নিয়ে আমার কর্মক্ষেত্রে যেতে ইচ্ছা করলেও আমি যেতে পারি না। আমি রাস্তায় বের হলে আমার গাড়ি ভেঙ্গে দেওয়া হবে, আমাকে আহত করা হবে এবং আমার কর্মক্ষেত্র আমার দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হবে। এটার নাম কি স্বাধীনতা? আমাদের দেশের বীর শহীদেরা কি এই জন্য কি আমাদের দেশ স্বাধীন করেছিলেন? আসলে আমরা এখনও স্বাধীন হতে পারি নি। আমাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাদের উপর হরতাল চাপিয়ে দিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে। আমাদের উপর হরতাল চাপিয়ে দিয়ে তারা স্বাধীনতার সঙ্গা বদলে দিয়েছে।

বর্তমানে আমাদের দেশে এমন একজন ব্যক্তি এসেছেন সে কি না বিশ্বের সব থেকে উন্নত ১০ টি দেশের মধ্যে একটি দেশের রাষ্ট্রপতি। হ্যা তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী স্যার। আজ তিনি আমাদের দেশে আমাদের মাঝে এসেছেন কিন্তু এমন পরিস্থিতে এসেছেন যা তিনি বা তার দেশ কোনদিন আশা করেনি। আমার জানা মতে, এই প্রথম বাংলাদেশে ভারতের কোন রাষ্ট্রপতি এসেছেন। আজ তিনি আমাদের মাঝে এসেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী তার সাথে দেখা করেছেন। সে হিসাবে তার সাথে আমাদের প্রধান বিরোধী দলের নেত্রীকে ও দেখা করা উচিত বলে মনে করি আমরা সাধারণ মানুষ। কিন্তু আজ সেই বিরোধী দলের নেত্রী হরতাল ডাকলেন। আমরা কি একজন রাষ্ট্রপতি হিসাবে প্রণব মুখার্জী স্যারকে সঠিক সন্মান করতে পারছি? তাহলে আমরা ভারতে গেলে কিভাবে সন্মানের আশা করি! মঙ্গলবার সারাদেশে হরতাল অথচ প্রণব মুখার্জী স্যার আমাদের দেশে ভ্রমন করবেন। বিএনপি’র কি উচিত ছিল না মঙ্গলবার হরতাল না করা। তারা হরতালের দিনটা পিছিয়ে দিতে পারতো তাতে প্রণব মুখার্জী স্যার আমাদের সম্পর্কে বিরূপ হয়তো একটু কম ভাবত। শুনলাম বিরোধী দলের নেত্রী প্রণব স্যারের সাথে দেখা করবেন না। নিরাপত্তার কারণে তিনি দেখা করতে পারবেন না অথচ হরতাল তার দল করছে! তাহলে তিনি নিজের নিরাপত্তা কি নিজেই নষ্ট করেছেন?

আজ স্বাধীন দেশে সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার করা হচ্ছে। সংখ্যালঘুরা কি করেছে? তারাতো আপনাদের (সরকার, বিরোধী দল, ইসলামী দল বা কোন ধর্ম) নিয়ে কোন কটু কথা বলেনি। তারা ব্লগ বা সামাজিক যোগাযোগ সাইটে কোথাও তো কোন খারাপ মন্তব্য করেনি। তবে কেন স্বাধীন দেশের মানুষ হবার শর্তেও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে? আসলে ঘটনাটা ঢালের পানি, বাঘ এবং হরিণের বাচ্চার গল্পের মতো হয়েছে। বাঘ বলে তুই আমার পানি ঘোলা করেছিস। যখন প্রমাণ হয় হরিণের বাচ্চা পানি ঘোলা করেনি, তখন বাঘ বলে তোর বাবা পানি ঘোলা করেছিল তোকে শাস্তি পেতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরও আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। একটা কথা মনে রাখা উচিত দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে বিড়ালও বাঘ হয়ে যায় এবং পরিণাম খুবই খারাপ হয়।

আমি আবার বলছি আমি স্বাধীন দেশের মানুষ হয়েও নিজেকে স্বাধীন দাবি করতে পারি না। আমাদের সংবিধানে নাকি হরতাল অবরোধের কথা উল্লেখ আছে। তাতে নাকি বলা হয়েছে দাবি আদায়ের জন্য হরতাল অবরোধ করা যাবে! এখন প্রশ্ন সেখানে কি লেখা আছে জোর করে সাধারণ মানুষের উপরে হরতাল চাপিয়ে দেয়া যাবে? আমি একটা কথা বলি স্বাধীন দেশে হরতাল অবরোধ আবার কিসের? তবে কি আমাদের দেশ এখনও স্বাধীন হয়নি? আর একদিন হরতাল করা মানে দেশের উন্নয়নে ১০ দিন পিছিয়ে যাওয়া এটা কি সরকার এবং বিরোধী দল গুলো জানে না? জানলে কেন তারা দেশকে এত পিছিয়ে দিচ্ছেন? দাবি আদায়ের জন্য স্বাধীন দেশে মানববন্ধনই সব থেকে উপযুক্ত এবং গ্রহণ যোগ্য একটি মাধ্যম। কেন হরতাল করে জনগনের জান-মালের ক্ষতি করেন? সাধারণ মানুষকে পুলিশ গুলি করছে। তার প্রতিবাদে বিরোধী দল গুলো হরতাল ডাকছে আবার সেই হরতালে তারাই জনগনের জান-মালের ক্ষতি করছে যানবাহন-দোকান-ঘর-বাড়ী পুড়িয়ে দিচ্ছে! কি আজব একটা নিয়ম, সাধারণ মানুষের জীবন আজ পুতুলের জীবন হয়ে গেছে। জড় পদার্থ হয়ে গেছে সাধারণ মানুষের জীবন।

এই যে সরকারি দল এই যে বিরোধী দল গুলো এবং ইসলামী দল গুলো হ্যা আপনাদের হ্যা আপনাদেরকেই বলছি, আমরা সাধারণ মানুষ না না আমরা অতি সাধারণ মানুষ। আমারা বেশি কিছু বুঝি না আর বুঝতেও চাই না। আপনারা জেনেনিন আমরা সাধারণ মানুষেরা ভাল নেই। আপনারা আমাদেরকে ভাল থাকতে দিচ্ছেন না। আপনারা আমাদেরকে স্বাধীন ভাবে চলতে দিচ্ছেন না। কি করলে আপনারা আমাদের ভাল থাকতে দিবেন, কি করলে আমাদেরকে স্বাধীন থাকতে দিবেন দয়া করে বলে দিবেন। আমরা আর সহ্য করতে পারছি না। আমরা দিন আনি দিন খায়। দিনের পর দিন কাজ না করে আমাদের জীবন যায় যায় অবস্থা। কাজ করতে পারি না তাই টাকা আয় করতেও পারি না। টাকার অভাবে খাদ্য কিনে পরিবারের মুখে তুলে দিতে পারি না। আপনারা তো আমাদের খেতেও দিচ্ছেন না। না খেয়ে আমাদের দিন কাটছে। আপনারা কি কখনো দিনমুজুর বা ভ্যান চালোকদের ঘরে গিয়ে দেখেছেন তাদের ঘরে উনন জ্বলে কি না? তারা ভাত রান্না করে কি না? তারা দু-মুঠো ভাত তাদের সন্তানদের মুখে তুলে দিতে পারে কিনা? এক কাজ করুন, আমাদের সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য-খাবার পৌছে দিন, তাহলে আমরা আপনাদের কথা মতো বাড়ী বসে হরতাল পালন করবো। কিন্তু দয়া করে আমাদের পেটে লাথি মারবেন না। আমাদের পেটে মারার অধিকার আপনাদের কাউকে আল্লাহ দেননি। আপনাদের অত্যাচার আমরা আর সহ্য করতে পারছি না। দয়া করে আপনারা মূল ইসলামের পথে আসুন, শান্তির পথে আসুন।

আসুন সকল ধর্ম-বর্ণ-জাতি-গোষ্ঠী-ধনী-গরীব বিবেধ ভুলে সবাই মিলে আদর্শ স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে তুলি। যে স্বাধীন দেশের স্বপ্ন নিয়ে আপনার আমার পূর্ব পুরুষেরা স্বাধীনতা যুদ্ধে গিয়েছিলেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের কবিতা

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫৪



বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, লক্ষ প্রাণে লেখা বিজয়ের
সেই সোনালি অক্ষর,
দিকে দিকে শুনি জয়ধ্বনি বাংলাদেশের নামে, এই
স্বাধীনতা কেনা রক্তের দামে;
হৃদয়ে হৃদয়ে বাজে মুক্তির শত গান, ডিসেম্বরে
পেয়েছি আমরা বিজয়ীর সম্মান;
মার্চের সেই অমর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×