somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার প্রথম ইসতিহার-১

০৩ রা মে, ২০০৯ রাত ৯:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এই মেয়েটিকে আমি ভালবাসি। ওকে নিয়ে আমি একটি কবিতা লিখবো। কবিতাটির নাম সেবাদাসনামা। কারণ আমি সর্বদা সেবা পেতে ইচ্ছুক। কাউকে সেবা দিতে রাজি নই। তাতে যদি কেউ আমাকে হামিদ কারজাই বলে বলুক, আমার আপত্তি নাই। হামিদ কারজাই সম্প্রতি একটি আইন জারি করেছেন। সে আইনে প্রভু যাহা বলিবে তাহাই চুড়ান্ত। তখন কিছু আধুনিক মোল্লারা বললেন, একি বল্লেন হুজুর। তিনি যদি অসুস্থ থাকেন, তাহলেও? সেটা ভাবনার দরকার নেই। সেটা ভাবলে কি আইনটি জারি করতাম! আমি তালেবান নহি। আমি তালেবর!!
হামিদ কারজাইকে এবার সেরা সাহিত্যিক হিসাবে রসায়নে নোবেন প্রাইজ দেওয়া হবে। এটা প্রায় চূড়ান্ত। যদি সেটা ফস্কে যায় তাহলে দেশে শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম কালো বর্ষসেরা পুরস্কারটি কিন্তু নিশ্চিত। ডেপুটি সম্পাদক মহোদয় এ ব্যপারে নিরেপেক্ষভাবে কথা দিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি ভুয়ার সংগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন- বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে যারা কাব্যক্ষেত্রে কাজ করছেন তারা আসলে প্রতিদিন গুড় দিয়ে ভাত খায়। আর হাতে হারিকেন নিয়ে ঘোরাফেরা করে। সেজন্য কবি হিসাবে তারা অতি কুজ্ঝটিকাময়। যারা ইতিহাসের সুরঙ্গপথে থপথপ করে চোঙ্গা মুখে উদিত হচ্ছে- তাদের সকলের জন্ম আশি সালে। এর আগের কবিদের আসলেই জন্মই হয়নি। হলেও ক্ষতি নাই। কারণ আমার উহাদের বাদ দিয়েছি। (লক্ষ্য করুন- আশি সাল! এইটা একটা মাইল ফলক। এই সময় দেশে দুইজন পীর সাহেব দেশে ফেরেন। একজন লন্ডন থেকে। তিনি গো আজম। তিনি বললেন, একাত্তর সালে পাকিদের সংগে থেইকা আমরা ভুল করি নাই। আরেকজন মার্কিন থেকা। তিনি হলেন আসল মাল। তিনি বললেন, এইবার মার্কসো সাহেবের অরিজিনাল চর্চা শুরু করিব। কেননা তাদের কমন শত্রু ৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শ্যাষ।) তাদের প্রিয় সঙ্গীত- হুক্কা হুয়া। প্রিয় বৃক্ষ- তাল গাছ। কেননা এই আন্তর্জাতিক উদগীরিত ভাবনাবিশ্বে একমাত্র তালগাছই তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে বিবেচিত এবং স্বীকৃত। তালগাছের রস অতি উপাদেয়- যদি তা অধিক বেলা পর্যন্ত রাখা হয়, তাহলে তাড়ি নামে সুপরিচিত। ইহা পান করলে অতি অভিনব ভাবান্দোলনের সৃষ্টি করে। এই তাল গাছনীতি নামে তারা একটি সংবিধানও রচনা করেছে। গেঞ্জিতে ছাপিয়ে বিনামূল্যে বিতরণ করছে। বিচারে যাহাই সাব্যাস্ত হোক না কেন, তালগাছটি আমার। হা, হা, হা। ইহার ভাবের আন্দোলন।
এই ডেপুটি অত্যন্ত শরীফ বংশের অন্যতম পীর। তিনি বলেছেন, তাকে এজন্য দুইখানা কবিতা উৎসর্গ করলেই হবে। নো চিন্তা। ডু ফুর্তি। দুইখানা নয়। কুড়িটি কবিতা লিখে তার নামে বাইশটি কবিতা উৎসর্গ করা হবে। এইটা ১০০% গ্যারান্টি। এই গ্যারান্টি যাদুকরের চেরাগের কাছ থেকে খাটি ভুট্টার ত্যাল মেখে পোক্ত করা আছে। সুতরাং প্রথম কালোর বর্ষসেরা পুরস্কারটি হাতের মুঠোয়।
ভেবেছিলাম, এ বিষয়টি নিয়ে পত্রিকাটির সম্পাদক মহোদয়ের সংগে কিঞ্চৎ বাতচিত করব। তিনি বললেন, তুমি আমার পত্রিকায় ব্লগ পেজ দেখো। ব্লগ পেজতো দেখি একজন থুর্শিদ সাহেব চোঙ্গা নিয়া বসে আছেন। বললেন, আমি কিছু নহি। আমি মাঝে মাঝে টল্প লেখার কোশেষ করি। আর বান্ধবীদের পয়সায় খাই দাই, ঘুরি ফিরি। ভৃত্য খাইসু সাব যখন পথে ঘাটে ধাক্কা খান তখন তিনি আমার চোঙ্গা ধার নেন। তিনি স্কিপট দেন, আমি তার মাল ছাড়ি। তিনি অতিশয় বিজি। ইতিমধ্যেই তিনি একখান পুরুষকার বাগাইছেন ভুট্টার ত্যাল বিতরণ করে। অচিরেইি আরেকখান তাকে দেওয়া হবে, জানানো হয়েছে। কারণ তার পারফরমেন্স ভাল। তিনি আগে নিয়ে ছাত্র ইনিয়নে ঢোল করতাল বাজাতেন। এখন সে বিদ্যা জিন্দা পীর কেবলার বাণী প্রচারে ভাল কাজ দিচ্ছে। শুনে দৈনিক কালো প্রত্রিকার অরজিনাল সম্পাদক বললেন, তুমি একটু লাইনে থাকো। পড়াশুনা করো। মৌ-লোভী হও। চার পাচটা নিক নাম নাও। তামিল সাহিত্য পড়ো। ইনটেলেক বাহাস করতে শেখো। তারপর দেখা যাবে। মুশকিল হল তার আবার চূলকানি রোগ আছে। এই বলে সাবেক কম্যু-পার্টির খাতা থেকে তিনি তার নিজের নাম কেটে নিয়েছিলেন। কম্যুরা আবার জঙ্গি হতে পারে। দেশের একমাত্র জিন্দা পীর বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ থাকতেই পারে। ক্ষমতাধর প্রতিটি রাজনৈতিক দলও জঙ্গি। তারা রামদা, কাটা রাইফেল, বোমা-গ্রেনেড নিয়ে যেভাবে পরস্পরের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে, তাতে অবিশ্বাস করার কোনোই কারণ নেই যে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ আছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদি জঙ্গি, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী জঙ্গি, মায় কমিউনিস্ট জঙ্গি - সবই এদেশে আছে। ( জামাতি বা তালেবানি জঙ্গির উল্লেখ কিন্তু হুজুরে-আলা করেন নাই। জাতে মাতাল- তালে ঠিক। এবং লক্ষ্য করুন- দেশের সব ঘরে ঘরে দা, বটি, ছুরি, কাচি, খোন্তা কোদাল... পারিবারিক কাজের জন্য থাকে। হুজুরের সংজ্ঞা অনুসারের দেশের সব মানুষই তাহলে জঙ্গী। একা বাংলা ভাই নহেন!!)। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল প্রত্যেকটিই সন্ত্রাসী। সন্ত্রাস ছাড়া রাজনৈতিকভাবে তাদের টিকে থাকার কোনো উপায় নেই। (সন্ত্রাস শব্দটি হুজুর কবিতার মতো ব্যবহার করেছেন। তিনি একবার মুখ ফস্কে বলে ফেলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধারাও সন্ত্রাসী! হুজুর সেবার অবশ্য খুব ঝাড়ি পাইছিলেন ছাত্রদের কাছে।) ... আমাদের এখনকার লড়াই ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক জনগণের লড়াই। এই দিকটি দ্রুত পরিস্কার করা দরকার। জনগণের লড়াইও ক্ষমতাসীন (?- কারা বুঝতে পেরেছেন আশা করছি: ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর থেকে- ১৯৭৫ , ১৫ আগস্ট; ১৯৯৬-২০০১, ২০০৯... সময়ে যারা ক্ষমতাসীন) জঙ্গি শক্তির বিরুদ্ধে বৈপ্লবিক গণতান্ত্রিক রুপ পরিগ্রহণ করতে পারে। একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের নিরস্ত্র জনগণকেও আমরা অস্ত্র হাতে লড়তে দেখেছি। ('দেখেছেন' শব্দটি লক্ষ্যণীয়- কারণ এই জিন্দা পীর সাহেব তখন কোনো চৈনিক কম্যুদের সাথে ছিলেন। তাদের নেতা মুক্তিযদ্ধের পক্ষে থাকলেও এই আমাদের একমাত্র জিন্দা পীর সাহেব কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী-শক্তির সংগে হাত মিলিয়েছিলেন। আরেকজন চৈনিক কম্যু তখন পাকিদের মুরুগি সাপ্লাই দিতেন আর জিন্দা পীর সাহেব দিতেন মশলা) পাকিস্তানী শাসকরাও এদেশের জনগণকে তখন 'জঙ্গি', 'দুষ্কৃতিকারী' ই্ত্যাদি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে, প্রচারণা চালিয়েছে। আজ তাদের ভাষাই আমরা ফ্যাসিবাদীদের মুখে শুনি।
..ফ্যাসিবাদ ইতোমধ্যেই তার দাঁত এবং নখ প্রদর্শন করতে শুরু করেছে। তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। ফ্যাসিবাদ মোকবিলাই এখনকার প্রধান কাজ।
সুতরাং, খুব খেয়াল কইরা। এ ব্যাটা এক্স কম্যুর সংগে কথা বলার দরকার নাই। চেরাগের যাদুকর জিন্দাপীর সাহেব জিন্দাবাদ। তার লগে থাকা মানে আখেরের মেওয়া ফল পাওয়া আপনার নিশ্চিত।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

কওমী মাদ্রাসায় আলেম তৈরী হয় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×