গজ্ঞিকা বাবা ইদানিং ভাবের মইধ্যে বেশি হান্দাইয়া থাকে বিধায় ভক্ত কুল তাহার সাক্ষাৎ খুব কম পায়। ইদানিং নাকি বাবার দিব্য দৃষ্টি লাভ হইয়াছে । মহামতি বুদ্ধর ন্যায় তাহার নাকি বোধ প্রাপ্তি হইয়াছে। যদিও তিনি কোন অশ্বথ বৃক্ষের নীচে বসিয়া কোন দেবর্ষীর দেখা পান নাই । তবে দুষ্টু লোকে কান কথা রটাইয়াছে কদিন আগে বাংলা সিনেমার ফাল পাড়া নায়িকা ময়ুরী নাকি আসিয়া একান্তে নিরালায় বসিয়া বাবার আশির্বাদ লইয়া গিয়াছে।
তাহাতে বাবার দিব্য দৃষ্টি না খুলিলেও অন্যান্য অনেক কিছূই যে খুলিয়া গিয়াছে তা ভক্তজনের অগোচর নেই।এই নিয়া ক্যাবলাকান্ত বড়ই বিপাকে আছে। বাবার দর্শন নাই তো ভক্ত কূলের টু পাইস ইনকাম ও বন্ধ হবার যোগার ।গত এক সপ্তাহ যাবত বাবা কাহাকে দর্শন দেন নাই ফলে দক্ষিনাও কানা কড়ি জোটে নাই । চাউল যা ছিলো ক্যাবলাকান্ত আর বোদাই ভাগাভাগি করিয়া বাজারে বিক্রি করিয়া এক টিকেটে দুই ছবি দেখিয়া আসিয়াছে। প্রথম খানা জলিল সাহেবের পরের সিনেমার নাম শুনিতে হইলে নাকি বয়ষ 18 হইতে হইবেক।
ওদিকে ছাগুরাম নাকি এই সুযোগকে কাজে লাগাইয়া পোন্দানি খাওয়ার জন্য নিজেই আশ্রম খুলিয়া বসিয়াছে। তাহাতে সকাল বিকাল সে নানান সাম্প্রতিক বিষয় তাহার জ্ঞানের বিচি উপুর করিয়া ধরে। দলে দলে ভক্তকুল গিয়া তাহার আশ্রমে যোগদান করিতেছে । আইজ সকালে দুই গন্ডা ভক্ত গাঞ্জার আসর ফেলিয়া ছাগুরামের বয়ান শুনিতে গিয়াছে।কলিকাল কি আর সাধে কহিয়াছে!!
গজ্ঞিকার প্রতি লোক জনের শ্রদ্ধা ভক্তি দিন দিন উঠিয়া যাইতেছে। কেয়ামত যে আর বেশি দূরে নাই সেই নিয়া বোদাই একগাদা বয়ান শুনাইল । ইস্রফিল যে যে কোন মুহুর্তে শিঙ্গায় ফুক দিতে পারে তা এখন বোদাই পুরোপুরি শিওর। নইলে কি আর শালারা গাজা রাখিয়া ছাগুরামের আসরে যায়।
ক্যাবলা কান্ত বরাবরই অর্ধেয্য প্রকৃতির বলিয়া তাহার বদনাম আছে। এইবার তার ধৈর্য্যর বাদ ভাঙ্গিয়া গেলো সে বাবার তাম্বুর সামনে খাড়াইয়া জোরে চেচাইয়া- বাবা আর তো সহেনা, এই ভাবে ভক্তকুল চলিয়া গেলে তো আসরে শেস কালে মশা ছাড়া আর কেই আসিবে না।
বাবা নিরিবিলি বসিয়া একখান কেশ লইয়া গন্ধ শুকিতে ছিলেন। ক্যাবলার কর্কশ কন্ঠে তাহার চিন্তায় ছেদ পরিলো। তিনি হাসিমুখে ক্যাবলার দিকে তাকাইয়া মৃদুস্বরে কহিলেন- তা হ্যারে হইয়াছে কি এত ষাড়ের মত চেচাচ্ছিস কেণ?
ক্যাবলা বাবার হাতের দিকে লক্ষ্য করিয়া বলিল-আপনার হাতে ওই চুল আসিলো কোথ্থেকে? আপনার মাথার চুল তো এত্ত লম্বা হবার নয়। তাহা হইলে……………………….
খামোশ, বেত্তমিজ !!!!! বাবা বাংলা সিনেমার চৌধুরি সাহেবের মত চেচাইলেন । এইটা এক ভক্ত খুশী হইয়া হাদিয়া স্বুরপ দিয়াছে । তোর কি হয়েছে সেইটা ক???
ক্যাবলাকান্ত আমতা আমতা স্বরে বলল, আশ্রম তো আর চলেনা। আপনে ভক্তগো দর্শন দেননা, তার উপ্রে ফাও খাওয়া বন্ধ । ভক্তগন দলে দলে ছাগুরামের আশ্রম এ যোগ দিচ্ছে । আর কদিন বাদেও তো মশার দল ছাড়া আর কেউ থাকিবে না ।
বাবা কিছূক্ষন গম্ভীর হইয়া কইল । হমম, চিন্তার কোন কারন নাই । ওরকম দুই চাইরটা ভক্ত চলিয়া গেলেও আমার কোন টেনশন নাই । তুই এক কাজ কর স্বরাষ্ট্রসচিব মোশতাক খবর দে যে গজ্ঞিকা বাবা তাহার নিকট হাদিয়া চাইয়াছে।
ক্যাবলাকান্ত একটু চটিয়া কহিল আপনি চাহিলেই সে হাদিয়া দিয়া দিবে, আর সে আপনার শিষ্য হইল কবে?
বাবা এইবার তাহার শতবর্ষ আগের না মাজা দাত গুলি বাহির করিয়া কহিল শোনরে গাধা এ জগতে যে সকল লোক গাজা খায় তাহারা সকলে আমার শিষ্য। আর গাজ্ঞা না খাইলে কি আর ও এইরকম আশ্বাসে বিশ্বাস করে।
এই লেখার সাথে এই খবরের কোন মিল নাই। View this link