মাস্ক পরা না পরা নিয়ে দুজনের মাঝে তুমুল মারামারি চলছে। মুহুর্তের মধ্যেই দুই দল গ্রামবাসী লাঠিবল্লম নিয়ে একে অন্যের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। বুঝবেন-এটা ব্রাহ্মনবাড়িয়া।
মাস্ক পরা না পরা নিয়ে দুইজনের মাঝে তুমুল মারামারি চলছে। তৃতীয়জন এসে বললেন- ভাইরে এভাবে মারামারি করিসনা। শান্তিতে থাক। এই নে মাস্ক। এবার এই দুজন মিলে তৃতীয়জনকে ধরে চ্যাংদোলা করে খালে ফেলে দিলো। বুঝবেন-এটা হলো বরিশাল।
মাস্ক পরা না পরা নিয়ে দুজনের মাঝে কঠিন মারামারি চলছে। তৃতীয়জন বাড়ির গেট থেকে বের হয়ে এসে বললেন- আমার কোটি টেখার বাড়ির সামনে মারামারি না খইরা তোমরা তোমরার ঘরর সামনে গিয়া মারামারি খর । -বুঝবেন এটা সিলেট।
মাস্ক পরা না পরা নিয়ে দুজনের মাঝে তুমুল মারামারি চলছে। চারপাশ থেকে জনতা ভীড় করে দেখা শুরু করছে। এই সুযোগে একজন পানবিড়ি, কলার দোকান খুলে বেচাবিক্রি শুরু করে দিয়েছেন। পাশ থেকে একজন বললেন শুধু পানবিড়ি বিক্রি করলে চলবে-দোকানে কিছু মাস্কও রাখতে হবে। বুঝবেন- এটা নোয়াখালি।
মাস্ক পরা না পরা নিয়ে দুজনের মাঝে তুমুল মারামারি চলছে। তৃতীয় জন আসলেন। ঝগড়া মিটিয়ে দিলেন।সবার মাঝে ফোন নাম্বার দেয়া নেয়া হলো। বন্ধুত্ব হলো। দাওয়াত হলো। কিছুদিনের মধ্যেই বন্ধুর আগমন উপলক্ষে বিশাল একটা মেজবান হলো। বুঝবেন- এটা চট্টগ্রাম।
মাস্ক পরা না পরা নিয়ে দুজনের মাঝে তুমুল মারামারি চলছে। পাশ থেকে একজন লুঙি হাঁটুর উপর তোলতে তোলতে বললেন-হালার শহরটা মফিজে ভরে গেলো। বুঝবেন- এটা পুরান ঢাকা।
মাস্ক পরা না পরা নিয়ে দুজনের মাঝে মারামারি চলছে। তৃতীয় জন দেখলেন। কিছু না বলে বিড়ি ফুঁকতে ফুঁকতে পাশ কেটে চলে গেলেন।- না এটা কোনো জেলা না। ইনি একজন ভাবের কবি।
মাস্ক নিয়ে দুজনার মাঝে তুমুল মারামারি চলছে। কয়েকজন এসে মোবাইল ফোনে ভিডিও করা শুরু করলেন। ইনারা হয় টিকটকার না হয় ইউটিউবার।
মাস্ক নিয়ে দুজনের মাঝে তুমুল মারামারি চলছে। পাশ থেকে একজন এসে মারামারি করার নানা রকমের উপকারিতা নিয়ে লাইভ বয়ান দেয়া শুরু করলেন। বুঝাতে লাগলেন- বিশ্বের এমন কোনো জিনিস নাই- যেটাতে কোন না কোন মোটিভেশন নাই। বুঝবেন ইনি একজন মোটিভেশনাল স্পীকার।
পরে মনে আসলে অন্যান্য জেলা যোগ করে দিবো।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৩০