এই মানুষটির কোনো কাজকাম নাই। সারাদিন ঘুরে বেড়ায় মানবতার বিরান পথে পথে। অমুক জায়গায় ও+ রক্ত লাগবে, বি+ রক্ত কারো লাগলে জানান। ওখানে ক্ষুদার্থ পথশিশুরা পেট টানটান করে শুয়ে আছে। ওদের মুখে একমুঠো খাবারের জন্য ঘুরে বেড়ায়- হন্যে হয়ে। অমুকের অপারেশন, ওমুকের চিকিৎসার জন্য বাজারে বাজারে টাকা চেয়ে ক্লান্তিহীন হেঁটে দৌড়ে আজ তিনি ক্লান্ত- ওর মূত্রনালিতে সমস্যা। আগেও একবার অপারেশন হয়েছিলো। এবার প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছে। আজ তার অসহায় শুয়ে থাকা হাসপাতালের বিছানায়। হ্যাঁ, খান মুহাম্মদ মুস্তফার কথা বলছি।
স্বপ্নতরী-৭১ এর সভাপতি Khan Muhammad Mostafa, একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। আজ যার জীবনের স্বপ্নগুলো থমকে যাবার শঙ্কা জানিয়ে যাচ্ছে প্রতিটা মুহূর্তে। হাসপাতালে শুয়ে মৃত্যুর সাথে প্রতিনিয়ত কথা হচ্ছে তার। ৫ দিন আগেও একগাদা স্বপ্নের গল্প শুনিয়েছে আমাকে।
এ সময়ের জন্য একটা উপযোগী সমাজ গড়তে তার স্বপ্নগুলো যুগান্তকারী। পরশু সন্ধ্যায় কেমন আছে জানতে চাইলে তার কথাগুলো হৃদয়ে লাগে। এখনো স্বপ্ন দেখে সে, বেঁচে থাকার স্বপ্ন, এ সমাজের জন্য কিছু করার স্বপ্ন। আজ মোস্তফাদের খু ঊ ব দরকার ক্ষয়ে যাওয়া এই সমাজে। মোস্তফারা এখনও নিখোঁজ মানবতাকে বাঁচিয়ে রেখেছে, ওরা অন্যদের ভেতরেও মানবতা জাগিয়ে তোলে। আশার স্বপ্ন বুনে- হৃদয় থেকে হৃদয়ে।
একজন উদীয়মান সাহিত্যপ্রেমী, একজন মানবতার কর্মী বেঁচে থাকুক আরও বহুকাল। ঘুনে ধরা বিবেক মসৃণ করতে
মোস্তফা সুস্থ হোক, ফিরে আসুক মানবিক সড়কে। আবার বলুক "ভাই রক্ত লাগলে বইলেন"; "ভাই একহাজার প্যাকেট বিরিয়ানির আয়োজন করতে চাচ্ছি পথশিশুদের জন্য, সহযোগীতা চাই"। আসুন, মহান করুনাময় আল্লাহ্র দরবারে তার জন্য, সুস্থ দেহে তার ফিরে আসার জন্য প্রাণ ভরে প্রার্থনা করি। আল্লাহ খান মুহাম্মদ মুস্তফার রোগহীন দীর্ঘ জীবন দান করুন- আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩