”আমাদেও এগুতেই হবে। দুর হবে সমস্ত জঞ্জাল।”
---জনৈক সুজনের মন্তব্য শুনে হেসে উঠলো
ধাতব মুদ্রাটি। প্যান্টের পকেটে এককোনে
লজ্জায় বিমুঢ় ছিলো এতক্ষন!
আর সে আবার হাসে!- হুম ! তোর এই হাসাহাসি তো মাত্র
একশো পয়সার সমান।
আমার কথা নয়। একজন স্বল্পখ্যাত কবির কাব্যগাথা। কবিতা বুঝিনা। তারপরেও কেউ কেউ
স্নেহবশত কবিতা পড়তে দেয়। সফেদ ক্যানভাসে একটা ছোট্ট স্বাক্ মিশে থাকে পরম ভালবাসার প্রকাশ। মন্দ কি। একনিস্ঠ পাঠক পেয়ে কেউ যদি একটু আবদার করে কার্পন্যের কি আছে সেই আবদার মেটাতে।
বরং আমাদেও কবিতাই পড়া উচিত। কবিতাই গদ্য, কবিতাই শক্তি। কবিতাই আমাদের প্রেরনার ইতিহাস।
কবিতা বুঝিনা, কি দরকার বোঝার। না বোঝাটাই অনেক সময় আনন্দের, বুঝতে গেলেই শত বাধা ঘিরে ধরে অক্টোপাসের শক্তিতে। যতদিন বুঝতে শিখিনি পৃথিবীকে, ততদিন হেসেখেলে কাটিয়েছি দিন, পৃথিবী ছিলো এক বেহেশতী মলিন মেলা।
সুতরাং কবিতা বোঝার দরকার নেই। কবিদেও দুখগাথাকে বসন্তের সৌন্দর্য দিয়ে উপভোগ করি।
আমার ছোট্টো মেয়েটা একটা দশ টাকার নোট বাড়িয়ে দিলো
এই সাত সকালে মুড়ি আনার জন্য। দোকান তো সামনেই
ওমা ! এ কি ! দেখি –ফখরুদ্দিন আহমদেও স্বাÿর করা
দশ টাকার নোটটা থেকে উড়ে গ্যালো দোয়েল পাখি !