অন্তর্যামী, সেদিন সূর্যসন্ধ্যায় ব্রহ্মপুত্রের মঙ্গলতীর্থে
মায়ের মুখশ্রী পাঠ করে আমি কি কাঁদলাম!!
ধাত্রী, মাতৃত্বের ফল্গুধারা
ধরিত্রী, মমত্বের অসীমকায়া
ধরনী, অস্তিত্বের জননিকা,
কালীঘাট, ধর্মপীঠ, সভ্যতা, জনপদের অন্তর্জাল।
বিস্তৃত সূবর্ণরেখায় যুগান্তরের সমারোহে, বিপুল জলরাশির
পূণ্যতোয়ায় পবিত্র হয়ে আমি শিহরিত হলাম,
ভেঙে পড়লাম, অশ্রূবিন্দু সমতটে বিহ্বল।
অমরাবতী নও, নও গঙ্গা, পদ্মা, ভাগীরথী,
সিন্ধু কিংবা মন্দাকিনী।
তুমি আজন্ম, জন্মান্তরের মায়ের মুখ, স্নেহসুখশীলা।
পৃথ্বীরাজের বাহুবল
বেহুলার অশ্রূমালা
অহল্যার অগস্ত্যকান্না
এই মেদিনী, বসুন্ধরায় দেবচিহ্নের স্মৃতিরেখা অনাদিকাল।
তোমাতেই ফিরে আসা বার বার
তোমাতেই শান্তি পারাবার, হাহাকার
তোমাতেই আকুল-ব্যাকুল সকল আঁধার
তোমাকেই প্রণমি শতধা-ধারায়
অন্তরে, অতলে, অস্তিত্বে, অন্তরীক্ষে চিরকাল।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫