somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড প্রকাশিত ২০০২ সালের সাহিত্য সংগ্রহ

০১ লা ডিসেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড প্রকাশিত ২০০২ সালের সাহিত্য সংগ্রহটি পড়ার সুযোগ আমার ঘটে কয়েক মাস পূর্বে। সংকলনটিতে ছিল সমকালীন গল্পকার ও প্রাবন্ধিকদের প্রবন্ধ ছাড়াও অনেক কবির কবিতা। বয়োজেষ্ঠ থেকে শুরু করে অতি তরুনতম কবির কবিতা। সাহিত্য সংগ্রহটি থেকে বাংলাদেশের সা¤প্রতিক সাহিত্যের একটি ধারনা লাভ করা যায়। বিশেষ করে বাংলাদেশী কবিতার একখন্ড মানচিত্র চোখের সামনে ভেসে ওঠে। পাঠক হিসেবে আমাদের মনে হয়েছে, বাংলা কবিতায় যারা অবদান রাখছেন দলে তারা ভারী হলেও উৎকর্ষের বিচারে অনেক পিছিয়ে। ধারনা করি সেই কথাটাই ঠিক যে, অনেক বড় এবং প্রতিভাবান লেখক-কবির আবির্ভাবের দিন শেষ; এখনকার সাহিত্যে রাজত্ব করবে মাঝারি মানের বহু লেখক কবি।

এ মন্তব্যের মধ্যে সত্যতা কতোটুকু রয়েছে তা বিচার সাপে। তবে সামগ্রিক অবস্থা বিশ্লেষন করে দেখা যাচ্ছে, সেই আদিকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত, যাদের লেখা টিকে গেছে, সে সমস্ত লেখার মধ্যে যে মহৎ গুনাবলির সমাবেশ ছিল, বা যে সুর ও সমন্বয়কে তারা ধারন করতে পেরেছিলেন, বর্তমানে কয়জন লেখক সেটা পারছেন! কিন্তু এই মন্তব্যের মধ্যেও একটি দুর্বলতা থেকেই যাচ্ছে, সেই দুর্বলতা হলো: সকল সৃষ্টির দিকে সমকালে অখন্ড মনোযোগ দেয়া সম্ভব হয় না। তাছাড়া সাহিত্যের শেষ রায়ের জন্য কিছুটা সময়ও বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন। যেটা সমকালীন সব সৃষ্টির জন্য দেয়া সম্ভব হয় না। ফলে সাহিত্য বিবেচনার মধ্যে খানিকটা ফোঁটফোকর শেষপর্যন্ত থেকেই যায়; এবং সেগুলো গলিয়েই একসময় জায়গা করে নেন কোন এক জীবনান্দ দাশ। তারপরও কিছু প্রবনতা তো সমকালেই স্পষ্ট হয়ে যায়। যার জন্য শহীদ কাদরী, শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদরা সদর্পে নিজেদের অস্তিত্বের কথা ঘোষণা করে চলেন।

তার অর্থ হলো মহৎ সৃষ্টিকে সমকালেও চিনে নেওয়া যেতে পারে। কিভাবে সেটা সম্ভব? সুর, ব্যঞ্জনা, রচনাকৌশল, ভাষা এসবের মধ্যেই আসলে লুকিয়ে থাকে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। জহুরির মত আমাদের শুধু তা চিনে নিতে হয়। ভাষার বিষয়টি তো আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। সকল বড় কবি লেখকই নিজস্ব সাহিত্য ভাষা তৈরি করে নেন। নাম না থাকলেও তাদের লেখা পড়েই বোঝা যায় রচনাটি কার। শুধু নিজস্ব ভাষা তৈরির জন্যই একজন লেখকের সারাজীবন ব্যয় হতে পারে। যারা ভাষা তৈরি করতে পারেন না তাদের কপালে সাহিত্য স্বরস্বর্তীর বর নেই। নিজস্ব ভাষা তৈরি হবার অর্থই হলো, তার মধ্যে অন্যান্য সঙ্গতিগুলো পূর্নমাত্রায় বিরাজ করা। কখনো কখনো সঙ্গতির সামান্য হেরফের থাকলেও তা আর ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। এ বিষয়ে কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতার কথা বলা যেতে পারে। ‘সমারূঢ অধ্যাপক সমালোচক’-রা তার মধ্যে অনেক রকম ক্রুটির সন্ধান পান। কিন্তু ঐ সমস্ত ক্রটি সত্ত্বেও ‘বিদ্রোহী’ কবিতা পড়ে রস গ্রহণ করতে আমাদের কোনো বেগ পেতে হয় না। তাই ভাষা তৈরি করাটা সাহিত্যিকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখনকার কবিদের মধ্যে কদাচিৎ এটা দেখা যায়। তবে কেউ কেউ এ ব্যাপারে সর্তক এমনও চোখে পড়ে, যেমন : ব্রাত্য রাইসু, মজনু শাহ, সায়ীদ আবুবকর প্রমুখ।

২।
সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাবের কাব্যপ্রয়াসের বয়স নবীন হলেও এর মধ্যে তিন-তিনটি গ্রন্ত্র প্রকাশিত হয়েছে। তার সর্বশেষ কিতাব হলো: ‘উড়াল’ দেবো চন্দ্রবনে’ (২০০৫)। এতো অল্প সময়ের মধ্যে তিনটি প্রন্থের প্রকাশ বলে দেয়, কবিতার সাথে শিহাবের সর্ম্পক কত নিবিড়। এটি একটি সুসংবাদই বটে। তবে অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করলে দুঃসংবাদও আমাদের জন্য অপো করে আছে। অবশ্য সু-বিষয়ের দিকেই আমরা আগে নজর ফেরাতে চাই।

সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব যেহেতু কবিতা লেখেন, সে অর্থে তিনি কবিতা-মগ্ন মানুষ। জীবন-সংসারে মগ্ন থাকার বিষয়ের অভাব নেই। কিন্তু কবিতার মত সম্পূর্ণ ব্যক্তি নিরপে মাধ্যমের সাথে সর্ম্পক রাখাটা সাহসিকতার পরিচয় বৈকী। এই য়িষ্ণু সময়ে, যখন মাথা উঁচু করে দাড়ানোটাই একটা কঠিন কর্ম, তখন শিহাব যে কবিতার সাথে সর্ম্পক রেখেছেন সেটা অনেক বড় বিষয় বলে মনে হয়। শুধু তাই নয়, তার সৃষ্টি, তার কোনো কোনো কোনো পংক্তি, কখনো কখনো স্পর্শ করে যায়। এই কাব্যগ্রন্থে দেখা যায়, একটি বিষয়কে ধরে শিহাব তার কল্পনার পাখিকে উড়িয়ে দেন। তার সব বক্তব্যের মধ্যেই একটি আড়াল প্রচ্ছন্ন থাকে। যে আড়াল এক ধরনের রহস্য তৈরি করে। কিন্তু এ ধরনের আড়াল অনেক সময় শিল্পের জন্য তিকর। আবার এই আড়ালই সৃষ্টিকে মহিমান্বিত করতে পারে। এই প্রচ্ছন্নতা তিকর তখনই যখন সেখান থেকে অর্থ উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়ে। সৃষ্টির শরীরে রহস্যময়তা তৈরি করতে গিয়ে অনেক কবিই এই চোরাবালির মধ্যে আটকে পড়েন এবং সৌন্দয্য সৃষ্টি করতে গিয়ে আসলে গোলকধাঁধায় পড়ে যান। ফলে পাঠক এ ধরনের কবিতার সাথে মানসিক ঐক্য অনুভব করেন না। এখান থেকেই শুরু হয় পাঠকের সাথে কবিতার দূরত্ব। তখন সকল শ্রেষ্ঠ কবিতাই সহজবোধ্য কিংবা তা থেকে অর্থ বের করা কঠিন নয়।
শিহাব আড়াল তৈরি করেন বটে কিন্তু তা দুর্প্রবেশ্য থাকে না কখনো। সৃষ্টির মধ্যে, অন্তত এই কাব্যগ্রন্থে, আমরা দেখতে পাচ্ছি, তিনি কবিতার মধ্যে আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহার করেছেন। এটাও তার এক ধরনের বৈশিষ্ট্য। তবে নির্বিচার আঞ্চলিক শব্দের ব্যবহার করেছেন। এটাও তার এক ধরনের বৈশিষ্ট্য। তবে নির্বিচার আঞ্চলিক শব্দের ব্যবহার কখনো কখনো তির কারণ হতে পারে। কারণ আমাদের শিতি মন ও মধ্যবিত্ত রুচি সব ধরনের আঞ্চলিক শব্দকে সবসময় গ্রহণ না-ও করতে পারে। আর এটাও ঠিক, কবিতার মত সংবেদনশীল শিল্প মাধ্যম সব ধরনের শব্দকে গ্রহণ করে না। এদিক থেকে কবিতা স্বয়ং উন্নতমানের রুচিশীল ব্রান। এ ব্রানের মেজাজ মর্জির খবর না রাখলে কবির চলে না। সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব কি এখবর রাখেন? না রাখলে তার চলবে কেন।

অতি আঁটসাট বেঁধে এই কবিতাকর্মী কবিতা লেখেন না। এটা তার ‘লেখন’ (ঞবীঃ) দেখলেই বোঝা যায়। তার কবিতা সাবলীল ও প্রবহমান। এই সাবলীলতা এক আলাদা অলংঙ্কার। যা সৃষ্ঠিতে প্রবাহিত হলে সুন্দর এক দ্যোতনা তৈরি হয়। যারা সহজাত প্রতিভার অধিকারী তাদের লেখনের মধ্যে বিষয়টি সব সময় দৃষ্ঠ হয়।

এটা লেখনের মধ্যে থাকলে সাধারণ পাঠকের পওে এর সাথে সুন্দর সর্ম্পক সৃষ্ঠি হয়। সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব কখনো কখনো এই প্রতিবেশ তৈরি করেন:

ক) চেরাই কাঠের মত রহস্যকে ফেঁড়ে
ঢুকে যাই তার অরন্যে
এখন আমার ভেতর কেবল
হাবুডুবু খেলা।
(অনন্তের আবাসিক দরিয়ায়)

খ) সূর্য ডুবে গেলে দেখা হল দুজনের
আগুন ছায়ায়
তার তাপ গিলে তুমি তপ্ত করে নিলে
যৌবনরুটি
(আরাজ রুটির খেলা)

শিহাব একটি নির্দিষ্ট কাঠামোর ভিতর থেকে লেখেন। তার একটি বলয় আছে, যে বলয়ের একক রাজকুমার তিনি। সেটাকে যদি একটি খন্ডিত প্রাসাদ বলি তাহলে সেই প্রাসাদের পূর্ণতার জন্য একাগ্রভাবে কাজ করে যাচ্ছেন শিহাব। এই প্রাসাদের জন্যই সকল ধ্যান, জ্ঞান ও কল্পনা নিয়োজিত। প্রতিনিয়ত তিনি যেভাবে কর্মে নিয়োজিত, তার চোখে যে স্বপ্নরা খেলা করছে, কে বলবে যে প্রাসাদ নির্মাণ না করেই তিনি ান্ত হবেন।

৩।
এটি সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাবের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। যদি এটি তার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ হয় ( না, সন্দেহের কোনো অবকাশই নেই- এটি তার তৃতীয় কাব্যগ্রন্থই) তাহলে দুঃসংবাদ আছে এর গ্রন্থকারের জন্য।। আমরা স্মরণ করছি জীবনান্দ দাশের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থের কথা। জীবনানন্দ প্রথম কাব্যগ্রন্থে তেমন একটা সফল হননি। তার নিজস্ব কন্ঠস্বর খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু দ্বিতীয় গ্রন্থে তিনি ভুবন বিজয়ী রাজকুমারের মত আবির্ভূত হলেন। স্মরণ করছি আল মাহমুদের কথা, তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘সোনালী কাবিন’-এ এসে তিনি বিজয়ী রাজকুমারের মতো ফিরে দাঁড়ালেন। এখন আমাদের প্রশ্ন হলো, তৃতীয় কাব্যগ্রন্থে এসে শিহাবের অর্জন কী?

এ প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমাদের ভূমিকাতে ফিরে যেতে হবে। লেখক প্রচুর, কিন্তু উৎকর্ষ নেই লেখায় তবে আশাভঙ্গের কোনো কারণ আমাদের নেই। শিহাব এখনো তরুন, তার কাছ থেকে ভাল সৃষ্টি আমরা আশা করতেই পারি। তিনি সর্তক হলে ভবিষ্যতে তার কাছ থেকে ভাল ফল পেলেও পেতে পারি।

এখন শিহাবের লেখন এর দিকে দৃষ্টি ফেরাই। শিহাব একটি নিদিষ্ট কাঠামোর মধ্যে থেকে লেখেন আগেই বলেছি। কিন্তু সেই কাঠামোর ভেতর দুর্বলতা থেকে যায়য়। সেই দুর্বলতা হলো কেন্দ্রিয় বিষয়ের সাথে অন্যান্য স্তবকের ঐক্যের। একটি বিষয় নির্বাচন করে তিনি হয়তো পংক্তি নির্মাণ শুরু করলেন, কিন্তু দেখা গেল, হঠাৎ করে বিষয় বর্হিভূত আরেকটি জিনিস তার কবিতার মধ্যে ঢুকে গেছে। এ ধরনের পপেণ কবিতার জন্য তিকর। এই গ্রন্থের প্রথম কবিতা ‘একটা কোর্তা আনেকোরা ফর্সা কুমারীর মত’-তে কোন নির্দিষ্টি চিন্তার ছাপ নেই। প্রথম স্তবকে একটি সময়ের বর্ণনা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সেই সময় যে ‘অবসাদ’ আর ‘হতাশা’ মাখা তা প্রথম স্তবক থেকে বোঝা যায় না। সময়টা যে অবসাদ আর হতাশা মাখা সেটা বুঝতে পারছি দ্বিতীয় স্তবকের প্রথম পংক্তি থেকে। কিন্তু কবিতার শিরোনাম থেকে যে কোর্তার কথা জানতে পারলাম, প্রথম ও দ্বিতীয় স্তবকে সে সর্ম্পকে কোনো বর্ণনা নেই। তৃতীয় স্তবকে এসে আমরা কোর্তার সাাত পাই। আবার চতুর্থ স্তবকে এমন একটি বিষয়ের বর্ণনা করা হলো যার সাথে তৃতীয় এবং শেষ স্তবকের কোনো সর্ম্পক নেই। শেষ স্তবক কোর্তার বর্ণনা দিয়েই শেষ হয়, কিন্তু কোর্তা সর্ম্পকে লেখকের পরিপূর্ণ কোনো উদ্দেশ্যের কথা পরিস্কার হলো না। কবিতাটিতে কিছু চমৎকার পংক্তি আছে:

ক) অস্তিতে লেগে আছে শেষ বেলার একছোপ
জংধরা রোদ
খ) কলারটা লন্ডন ব্রিজের মত ফাঁক হয়ে
গলগলে ঢুকে যাচ্ছে কালোরাত্রি
গ) হতচ্ছাড়া আকাশ বমি করে নোংরা করে দিল
ভরা দুপুরটাকে

এগুলো সুন্দর পংক্তি। কিন্তু কবিতার মূল বক্তব্যের সাথে সামঞ্জস্যতার অভাবে পংক্তিগুলো তাদের গুরুত্ব হারিয়েছে। এজন্যই মাইকেল মধুসূদন দত্ত শব্দে শব্দে বিয়ে দেয়াকেই কবিতা বলে মানতে পারেন নি।

তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ পর্যন্ত এলেও শিহাব নিজস্ব কাব্যভাষা এখনো রপ্ত করতে পারেননি। অবশ্য বিষয়টি যথেষ্ট আয়াসসাধ্য এবং সেটা অর্জনের সময় এখনো তার শেষ হয়ে যায়নি। আলোচ্য গ্রন্থের অধিকাংশ কবিতা গদ্যছন্দে লেখা। গ্রন্থকার হয়তো গদ্যছন্দেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। না-কি এটা তার পরিশ্রম বিমুখতা। শেষের বিষয়টি সত্য হলে তা দুঃখজনক। কবিতাকে ছন্দের কাছে ফেরা ছাড়া পথ নেই। কিছু কবিতা বইটিকে পূর্ণতা দান করেছে। এই কবিতাগুলো হলো: ‘মধ্যবিত্তে সূর্যোদয় হলে’, ‘অনন্তের আবাসিক দারিযায়’, ‘ইচ্ছা সহোদরা বোন’, ‘একটি গাছ রুয়ে দাও সাংসারিক জমিনে’, ‘আনাজ রুটির খেলা’, ‘সূর্যের উত্তাপ পান করি’ প্রভৃতি।

৪।
কবিতার জন্য এই গ্রন্থকারকে পাড়ি দিতে হবে আরও দীর্ঘ পথ। কবিদের চোখে সুদূর ভবিষ্যতের যে রশ্মি খেলা করে, তা কোনো পথকেই অনতিক্রম্র মনে করে না। তবে শিল্পসিদ্দির পথ বড় বন্ধুর। একর্ম কখনো কখনো সিসিফাসের পাথর বহনের মত। তবু এসত্য জেনেও যারা এর সাথে সর্ম্পক ছেদ করতে চান না, তাদের আরও শক্তি নিয়ে আসরে নামা দরকার। সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাবের সেই শক্তি আছে, কিন্তু ব্যবহার নেই সেই শক্তির। আমরা আশা করব, সেই শক্তির পূর্ণ সদ্বব্যবহার করবেন তিনি।

কবিতা নিয়ে সারা পৃথিবীতে অজস্র কাজ হয়েছে। কবিতাকে কবিতার ভেতর থেকে বের করে আনার কথাও বলেছেন কেউ কেউ, লিখেছেন এন্টি কবিতা। পরিবর্তনের কতো স্রোত বয়ে গেছে কবিতার শরীরে। তার খবর না রাখতে পারলে কবির চলবে কেন। কবিতার ধারাবাহিক ইতিহাসের সাথে সর্ম্পক রাখার অর্থই হলো, কবিতার ভেতরের কৌশলগুলো আয়ত্ত করা এবং নিজস্ব কাব্যভাষা তৈরি করা। উত্তরনের এই সূত্রগুলোর সাথে সর্ম্পক না থাকলে যে কারো লেখা সময়কে ধারণ করতে ব্যর্থ হবে। আমরা আশা করব সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাবের সোনালী ফসলের জন্য আমাদের খুব বেশি অপো করতে হবে না।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সচীবদের সম্পর্কে এখন কিছুটা ধারণা পাচ্ছেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ২০ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭



সামুর ব্লগারদের মাঝে ১ জন সচীব আছেন,(বর্তমানে কর্তব্যরত ) তিনি বর্তমানে লিখছেন; আধামৃত সামুতে তিনি বেশ পাঠক পচ্ছেন; উৎসাহের ব্যাপার! এরচেয়ে আরো উৎসাহের ব্যাপার যে, তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

নারীবাদ, ইসলাম এবং আইয়ামে জাহেলিয়া: ঐতিহাসিক ও আধুনিক প্রেক্ষাপট

লিখেছেন মি. বিকেল, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৪



আইয়ামে জাহিলিয়াত (আরবি: ‏جَاهِلِيَّة‎) একটি ইসলামিক ধারণা যা ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর আবির্ভাবের পূর্ববর্তী আরবের যুগকে বোঝায়। ঐতিহাসিকদের মতে, এই সময়কাল ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। VF 3 Mini: মাত্র 60 মিনিটে 27 হাজার বুকিং!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২১ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০৪



আমার ব্যাক্তিগত গাড়ি নেই কিন্তু কর্মসূত্রে বেঞ্জ , ক্যাডিলাক ইত্যাদি ব্যাবহার করার সুযোগ পেয়েছি । তাতেই আমার সুখ । আজ এই গাড়িটির ছবি দেখেই ভাল লাগলো তাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×