somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সালাম সালাম, হাজার লক্ষ সালাম

২৫ শে নভেম্বর, ২০০৬ রাত ১:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[লেখাটা গ্রামীণ ব্যাংক আর ড. ইউনূসের নোবেল প্রাইজ বিজয় নিয়ে ...আরো দেড়মাস আগে লেখা উচিৎ ছিল ... টিউবলাইট আমি!! ...সেসময়ের ভাবনা আর ব্লগের সেসময়কার লেখাগুলো ইদানিং পড়ে যা ভাবলাম তার সংমিশ্রন ... সময়ের সাপেক্ষে অপ্রাসংগিক ভাবলে নিজগুনে ক্ষমা করবেন ... তাও পড়লে খুশী হবো :) ...)]

//////////////////////////////////////////

///////////////////////////////////////////

প্রথমেই সবাইকে একটা প্রশ্ন করি?

নোবেল প্রাইজ বিজয়ীর সংখ্যা পৃথিবীর কোনদেশে সবচেয়ে বেশী?
(কোন এক Genre তে যখন একাধিক ব্যাক্তি নোবেল প্রাইজ পান তখন তারা সবাই নোবেল বিজয়ী)

তাই এখন এই সংখ্যা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী আমাদের প্রিয় "বাংলাদেশে" :) ... 67লক্ষ 1 জন
এবং অদূরভবিষ্যতে এই সংখ্যা ছুঁতে পারবে এমন দেশ মনে হয় নেই ...

যে 67 লাখ 1জন নারী/পুরুষ দেশকে এই সন্মান এনে দিয়েছে, একজন বাংলাদেশী হিসেবে তাদেরকে জানাই 'হাজার হাজার লক্ষ' সালাম।

অক্টোবরের 13 তারিখ সন্ধ্যায় যখন ড. ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংকের এই নোবেল বিজয়ের কথা শুনলাম, Yokohamaররাস্তা ধরে হাঁটতে থাকা আমি কাঁদছিলাম ... অশ্রু ঠেকানো যায়না এমন সময়ে ... বন্ধুরা সবাই মিলে দেশের টিভিতে (ইন্টারনেটের কল্যাণে) খবর দেখলাম ... সবাই উত্তেজিত, উল্লসিত

রাতে বাসায় ফিরে ঘুমোতে গিয়ে মনে হলো, কি যেন নেই! কি যেন হয়নি!
পরমুহূর্তেই টের পেলাম কি হয়নি? ...
ড. ইউনূসকে অনেক সম্বর্ধনা দেয়া হলো, অনেক বলা হলো তাঁর কৃতিত্ব নিয়ে ... এবং সেটা অবশ্যই তাঁর প্রাপ্য।
কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকে গড়ে তুলল যে 67 লাখ নারী ও পুরুষ, তাঁদের নিয়ে উচ্ছাস নেই কেন?
তাঁরা ফ্রন্টলাইনে নেই কেন?
আনন্দটা তো তাঁদের নিয়েই বেশী হবার কথা ছিল।

একটা প্রপোজিশান চিন্তা করুন ...
ড. ইউনূস যখন প্রথম 42 জনকে ক্ষুদ্্র ঋণ দিলেন, এমনতো হতে পারত এরা সবাই বা এদের অধিকাংশই এসে তাঁর পায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বলছে, 'হুজুর, তিনদিন খাইনা ... হ্যানত্যান ...' ... তাঁর প্রজেক্ট হয়তো সেখানেই শেষ হয়ে যেত ...
সেইক্ষুদ্্র ঋণগ্রহীতারা কিন্তু রীতিমতো বিরাট ফাইট করেছে ...

আমিতো বলব, আজকের এই সম্মানের পেছনে গ্রামীণ ব্যাংকের শুরুর দিকের ঋণগ্রহীতাদের অবদান সবচেয়ে বেশী ...

আমি খুব আশায় ছিলাম অন্তত সেই 42 জনকে একএক করে পত্রিকাগুলো তুলে ধরবে ...

আমি খুব আশায় ছিলাম রাষ্ট্রপতির দেয়া সম্বর্ধনায় তাঁদেরকে দেখতে পাব ...

আমি খুব আশায় ছিলাম সেই অনুষ্ঠানে তাঁরা বক্তব্য দেবেন ...

আশা পূরণ হয়নি ...

আমরা একটা বিরাট সুযোগ নষ্ট করেছি ... বিশ্বের কাছে আমরা তুলে ধরিনি যে আমাদের এই "একরঙা শাড়ী পরে ফজরের ওয়াক্ত থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত কাজকরে যাওয়া মায়েরা/মেয়েরা, লুঙি-পরা খালিগায়ে ঘামঝরানো লোকগুলো" -- এরা আমাদের কত বড় এ্যাসেট!!! ... নিঃসন্দেহে এঁদের অবস্থান এখন কলমজীবি, ঘুষজীবি, ব্যাবসাজীবি মধ্যবিত্ত বা ধনীদের চেয়ে অনেক উপরে ...
দেশকে তারা 'নোবেল প্রাইজ' এনে দিয়েছে ... তবে কি তাঁদের তুলে ধরতে ামরা ঈর্ষান্বিত ছিলাম? নাকি তাঁরা আগের মতোই আমাদের দৃষ্টির অগোচোরে ... তাঁরা কি চিরকালই "দুধভাত"? ...
না!! আজকিন্তুতারাই আমদের সবচেয়ে বড় গর্ব

ব্লগাররা সবাইও নিশ্চয়ই সেই 67 লাখজনকে সালাম জানিয়েছেন ...দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন

এখন আমার কিছু কথা আছে,
এই 67 লাখজনকে তুলে ধরা সম্ভব না ... কিন্তু প্রথম 42 জনকে কি তুলে ধরা যায়সিরিজ আকারে? ... এখানে?অথবা পেপারে? ... অথবা আন্তর্জাতিকভাবে? ...
যেমন তাঁদের বর্তমান অবস্থা, তাঁদের সেই সময়ের অভিঞ্জতা , তাঁদের সংগ্রাম ... এসব নিয়ে।
তাঁরা সবাই কিন্তু নোবেল বিজয়ী ... আমাদের দরকার তাঁদের জানার।

যাই হোক, আবার সালাম জানাই ... অভিনন্দন জানাই সব নোবেল বিজয়ীকে ... বিশেষ করে সেই 67 লাখ নারী/পুরুষকে
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১৯টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুহূর্ত কথাঃ সময়

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৭



সামুতে সবসময় দেখেছি, কেমন জানি ভালো ব্লগাররা ধীরে ধীরে হারিয়ে যায়! যারা নিয়মিত লেখে, তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রচণ্ড নেগেটিভ স্বভাবের মানুষ। অন্যকে ক্রমাগত খোঁচাচ্ছে, গারবেজ গারবেজ বলে মুখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×