ফিটনেস ঠিক রাখতে অনেকে নিয়মিত যান জিমাগারে। তাদের নিকট জিমের নানা পন্যের পরিচিতি রয়েছে। কখনও এককভাবে এগুলো ব্যবহার করা হয়। আবার অনেক সময় ভিন্নরকম ফিটনেস যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে তৈরি করা হয় মাল্টিজিম। এই মাল্টিজিম ব্যবহার করবেন শরীরের প্রত্যেক অংশের ব্যায়াম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন কমাতেও সাহায্য হবে।
মাল্টিজিম ব্যবহারের যত নিয়ম-
=) মাল্টিজিম ব্যবহারের সময় সঠিকভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। ব্যায়াম করার সময় ঠিকভাবে নিশ্বাস প্রশ্বামের আসা যাওয়া শরীরকে সুস্থ রাখে। তবে ব্যায়াম চলাকালীন সময়ে ক্লান্ত হয়ে পড়লে বা নিশ্বাস নিতে অসুবিধা হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
=) যেহেতু মাল্টিজিমে একাধিক ইক্যুইপমেন্ট একত্রে সংযোগ থাকে, তাই আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এসবের সমন্বয় করে নিতে পারেন। আপনি যদি নিয়মিত জিম করেন এবং বডি টোনিংয়ের জন্য মাল্টিজিম ব্যবহার করেন তাহলে কম ওয়েট স্ট্যাক ব্যবহার করতে হবে। তবে আপনি যদি মাসল বিল্ডআপ করতে চান তাহলে বেশি ওয়েট স্ট্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
=) খোলামেলা পরিবেশে মাল্টিজিম যন্ত্রপাতি রাখুন। পরিবারের সবাই যদি মাল্টিজিম ব্যবহার করে তাহলে অবশ্যই অ্যাডজাস্টেবল সিট ও ওয়েট দেওয়া মাল্টিজিম কিনুন।
=) মাল্টিজিমে শরীরের উপরের এবং নীচের অংশের ব্যায়াম সমানভাবে একই সাথে করতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন এই দুই ধরনের ব্যায়ামের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে।
=) হাত, পা, পিঠ, বুক - শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যায়াম একইসাথে করার ব্যবস্থা থাকে মাল্টিজিমে। তাই ব্যায়াম করার আগে নিজের মাসল গ্রুপ সর্ম্পকে একটা পরিষ্কার ধারনা নিয়ে নিন। এতে আপনার ফিটনেস ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।
=) মাল্টিজিম ব্যবহারের মাধ্যমে শরীরের অতিরিক্ত ওজন ঝেড়ে ফেলা যায়। তাই এক্ষেত্রে ব্যায়াম শুরু করার আগে একজন অভিঙ্গ ট্রেইনারের সাহায্য নিতে পারেন। আবার নিজেও এক্ষেত্রে ইক্যুইপমেন্ট ব্যবহারের সময় সতর্কতা অবলম্বন করে ব্যায়াম চালিয়ে যেতে পারেন। কারন সামান্যতম ইনজুরিও অনেক সময় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
মাল্টিজিম ব্যবহারে পরামর্শ-
=) মাল্টিজিম ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ৫-১০ মিনিট জগিং অথবা ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করে নিতে হবে।
=) জিম করার সময়ে শরীরের কোনও অংশে যদি ব্যাথা অনুভব করেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম করা থামিয়ে দিয়ে বিশ্রাম নিন।
=) এক্সারসাইজ করতে করতে কখনও কখনও মেশিনের ওজন বদলাতে যাবেন না। ওজন কমানো বা বাড়ানোর ফলে মাসলের ক্ষতি হতে পারে।
=) ঘন্টার পর ঘন্টা একইভাবে মাল্টিজিমে ব্যায়াম করতে একঘেয়ে লাগতেই পারে। তাই গে ঘরে মাল্টিজিম করছেন, সেখানে মিউজিকের ব্যবস্থা রাখলে এমনটি লাগবে না।
=) ব্যায়াম করার উপযোগী পোশাক এবং জুতা ছাড়া কখনোই মাল্টিজিম ব্যবহার করবেন না।
=) একজন অভিজ্ঞ ফিটনেস এক্সপার্টের সাহায্য নিয়ে মাল্টিজিম কীভাবে কতক্ষন ব্যবহার করা যায়, মেশিনের সঠিক ব্যবহার সর্ম্পকে জেনে নিন।
=) ব্যায়াম শেষ করার পর কমপক্ষে ১০ মিনিট বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না। শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে তারপর কাজে মনোযোগ করতে পারেন।
=) জিম করার সময়ে শরীরের কোনও অংশে যদি ব্যাথা অনুভব করেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যায়াম করা থামিয়ে দিয়ে বিশ্রাম নিন।
=) এক্সারসাইজ করতে করতে কখনও মেশিনের ওজন বদলাতে যাবেন না। ওজন কমানো বা বাড়ানোর ফলে মাসলের ক্ষতি হতে পারে।
=) ঘন্টার পর ঘন্টা একই ভাবে মাল্টি জিমে ব্যায়াম করতে একঘেয়ে লাগতে পারে। তাই যে ঘরে মাল্টি জিম করছেন সেখানে মিউজিকের ব্যবস্থা রাখলে এমনটি লাগবে না।
=) ব্যায়াম করার উপযোগী পোশাক এবং জুতা ছাড়া কখনোই মাল্টি জিম ব্যবহার করবেন না।
=) একজন অভিজ্ঞ ফিটনেস এক্সপার্টের সাহায্য নিয়ে মাল্টি জিম কীভাবে কতক্ষন ব্যবহার করা যায়, মেশিনের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন।
=) ব্যায়াম শেষ করার পর কমপক্ষে ১০ মিনিট বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না। শরীরকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে তারপর কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:১১