♦দিনে পাঁচ বার আযান দিয়ে অমুসলিমদের কাজেকর্মে বিরক্ত করা কিংবা ঘুম ভাংগিয়ে দেবার মানে হয়না। তাই আযানের সাউন্ড কতটুকু দূর পর্যন্ত যাবে তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
♦মসজিদের খুতবার বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেছে প্রশাসন। তা নাহলে হুজুররা জেহাদ শিখাবেন, জেহাদি বানাবেন।
শবে মেহরাজ, শবেবরাত, লাইলাতুল কদরে রাত জেগে মসজিদে ইবাদত বন্দেগী করার কি দরকার? নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে শেষ করতে হবে ইবাদত-আদেশক্রকে প্রশাসন।
♦ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং অন্যান্য ইসলামি ছুটির দিন কমিয়ে ফেলা হয়েছে, অনেকগুলো বাতিলও করা হয়েছে।অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রতো এমনই হবে। অমুসলিমদের তো এতো ছুটি নেই।
গ্রামে-গঞ্জে, শহরে-বন্দরে যখন তখন যে কোন আলিম উলামা বা হুজুরগন ওয়াজ নসিহত করতে পারবেন না। এরাই তো ইসলামের চেতনা জাগ্রত রাখেন, উদ্বুদ্ধ করেন ইসলামি জীবন গড়তে, উস্কে দ্যান মুসলমানদের। ওয়াজমাহফিল একেবারেই নিষিদ্ধ হবেনা, সরকারের অনুমোদিত বক্তারা মাহফিলে যাবেন এবং অসংখ্য নিষিদ্ধ বিষয়ে বক্তৃতা প্রদানে ব্যাপক নজরদারি থাকবে।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় যেকোনো কার্যক্রমে কিংবা অন্য কোনো স্থানে উচ্চস্বরে "আল্লাহু আকবার" স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্লোগানটি জনমনে ভীতি সঞ্চার করে।
প্রতিটি ওয়াজমাহিফিল ও জুমার দিনে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন সাবেক, বর্তমান নেতা নেত্রীর নাম উল্লেখ করে দোয়া চাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
শিশুদের মক্তবে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি এবং স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস আদালত থেকে নামাজের ঘর তোলে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেটাই তো স্বাভাবিক কারণ কোথাও তো ঠাকুড় ঘর কিংবা গির্জার মতো প্রার্থনার ব্যবস্থা নেই তাহলে নামাজের ঘর কেন থাকবে?
সর্বশেষ বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বা দেশ উল্লেখ করে কোন কিছু বলা এবং লিখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে আইন তৈরি হয়েছে, অন্যথায় জঙ্গি উল্লেখক্রমে কঠিন শাস্তির বিধান।
মাথায় হাত দিয়ে বসেছেন স্টেটাসটি পড়ে, নাকি রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন আর পরক্ষনেই নিজেকে আবিষ্কার করছেন চরম অসহায় এক বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে?
তাহলে আমি আপনাকে সাময়িক শান্তনা দিতে পারবো।
স্টেটাসটি মিথ্যা!!!
এই যে শুনুন, এখনই চলে যাবেন না। শেষ অংশটুকু পড়ে যান।
সাময়িক শান্তনার কথা কেন বলেছি জানেন? কারণ ঠিক এই মুহূর্তে স্টেটাসটি বানোয়াট এবং কাল্পনিক হলেও হয়তো খুব বেশীদিন লাগবেনা বানোয়াট আর আষাঢ়ে লেখাটি বাস্তবায়িত রূপ নিয়ে আপনার কিংবা আপনার পরবর্তীদের দোয়ারে কড়া নাড়বে।
নিশ্চই জানেন কথিত জঙ্গির সাথে ছবিতে দেখা ইন্ডিয়ান নায়িকা, বাংলাদেশি নায়ক, জঙ্গিদের পড়ালেখা করা বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যপারে কোন ব্যবস্থা না নিলেও, জাকির নায়েককে ফলো করার কারণে এবং পেইজে জঙ্গিদের লাইক থাকার জন্য সমগ্র বাংলাদেশে পিস টিভি নিষিদ্ধ করা হয়েছে আর নির্দেশ দেয়া হয়ে খুতবা মনিটরিং এর জন্য এবং সাব্বির নামের এক কথিত সন্ত্রাসী রেটিনায় কিছুদিন কোচিং করেছে শুনে দেশপ্রেমিক তরুণেরা রেটিনায় হামলা করেছিলো। এইদিক দিয়ে চিন্তা করলে এন,এস, এউ তো এতদিনে গুড়িয়ে দেয়ার কথা!!! হাহাহাহা। যাই হোক, এভাবেই তো আমরা ধীরেধীরে পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক হবো, এভাবেই আমরা ইসলামি চেতনা, ইসলামি কার্যক্রম, ইসলামি মনোভাবমুক্ত একটি সফল নিরপেক্ষ রাষ্ট্রে পরিণত হবো। অমুসলিমরা সংখ্যায় অল্প বলে আমরা মুসলমানরা আমাদের ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবো, বেশী বেশী অধিকার পাব,এটাতো ভারী অন্যায়। কারণ ধর্ম যারযার কিন্তু রাষ্ট্র তো সবার। হোক ৯০ নাহয় ৯৫% মুসলিমপ্রধান দেশ এটি তবুও রাষ্ট্র যেহেতু সবার সেহেতু মুসলিমদের কেন প্রাধান্য দেয়া হবে? এরকম হলে তো মুসলিম রাষ্ট্র হয়ে গেলো, রাষ্ট্র সবার কথাটা ভিত্তিহীন হয়ে গেলো। তাই নয়কি? আমি জানিনা এটি শংকর প্রজাতির কিছু বাংলাদেশি নাগরিকের ভাবনা।
সূত্র: অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ ,
প্রতিবেদক: আষাঢ়ে আলম,
উজবুক, সিলেট, বাংলাদেশ।
বি:দ্র: আমাকে সামু কর্তৃপক্ষ নিরাপদ ব্লগার হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আমার এই লেখাগুলো কি আমাকে অনিরাপদ ব্লগারে স্থানান্তর করবে নাকি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হিসেবে লেখাটি গ্রহন করবে?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই আগস্ট, ২০১৬ ভোর ৪:৪৩