somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহফুজ
আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

সন্তানের স্বার্থপরতার বলি বেগম জিয়া!!!!

২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




লেখাটা কে কিভাবে নেবেন আমি জানিনা তবে আমার লেখার উদ্দেশ্য মানবিক। আমি লিখছি আমার পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে। আজ পর্যন্ত লেখালেখি করে অনেক আজেবাজে ট্যাগ পেয়েছি তবে এখন পর্যন্ত কেউ বিএনপি বা আওয়ামীলীগের দালাল আমাকে বলেনি আর আমার পরিচিত জনেরা, বন্ধু-বান্ধবেরাও ভালো করেই জানে আমি এই দুই রাজনৈতক সংগঠনের সাথে কোনোকালে কোনোভাবেই জড়িত ছিলাম না এবং এখনো নেই। বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি নিয়ে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া বা রাজনৈতিক আবহ দেখে বহুদিন থেকে বলবো বলবো করে যে কথাগুলো বলা হয়নি তাই বলার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার লেখা রাজনীতির সাথে অনেকটা সম্পর্কযুক্ত হলেও আমি আসলে কোন উদ্দেশ্যে লিখছি তা আশাকরি লেখাটা পড়লে বুঝা যাবে।

আমার মনে হয় বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বা তাকে সামনে রেখে আবার বিএনপির সরকার গঠন অথবা সরকারের বিরুদ্ধে কোনো শক্তি গঠন করার চিন্তাভাবনাটা এই বয়োবৃদ্ধ মহিলাকে নির্যাতন করার সামিল।

তাই রাজনীতির মারপ্যাঁচ আর নোংরামি থেকে মুক্ত হওয়ার সুযোগ দিয়ে শান্তিতে ও নির্বিঘ্নে সময় কাটাতে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। যতো যাই হোক উনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, সাবেক প্রেসিডেন্টের স্ত্রী। উনার এমন মানবেতর জীবন কাটানো কোনোভাবেই মানবিক হতে পারেনা। এখনো তো তার সন্তান জীবিত।

তার এখন যে মানসিক, শারীরিক অবস্থা তাতে রাজনীতির মাঠে নিজেকে মেলে ধরার অবস্থা নেই। উনার এখন অবসাদগ্রস্ত শরীর মন নিয়ে শান্তির বিশ্রাম প্রয়োজন।

আমি যদি আজ তারেক রহমানের জায়গায় থাকতাম তাহলে উনি আর কোনোদিন কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হবেননা এই মর্মে প্রয়োজনে সরকারকে বন্ড দিয়ে হলেও সবকিছু থেকে মুক্ত করে দেশের বাইরে নিয়ে যেতাম। মায়ের চাইতে মূল্যবান পৃথিবীর আর কিছুই হতে পারেনা। কিসের দেশ আর কিসের রাজনীতি? একজন মা যদি মরার আগে শান্তিতে ছেলেপুলে, নাতিনাতনি থাকতেও তাদের সাথে সময় কাটাতে না পারেন তাহলে তার মতো দুর্ভাগা কেউ হয়না। একটা দেশের বিনিময়েও আমি মা হারাতে রাজি নই আর দেশ, কিসের দেশ? দেশের জন্য রাজনীতি করছে কারা? কোন রাজনীতিবিদ? কোন সংগঠন?

আমার কথায় অনেকের গা জ্বালা করবে তবুও বলি বেগম খালেদা জিয়াও এখন একটি নামে পরিণত হয়েছেন বা ব্রান্ডে। দেশের অনেক সাধারণ মানুষ তাকে ভালোবাসে তা অস্বীকার করার উপায় নেই তবে সেই ভালোবাসা তো তার কোনো কাজে লাগছেনা। উল্টো তিনি এখনো জীবিত আছেন এই সুযোগে উনার একমাত্র সন্তান কমিটি আর নির্বাচনি নমিশেন বাণিজ্যে হাজার কোটি টাকা ঠিকই কামাই করছেন। সংগঠনের প্রবীণদের তো তিনি আগেই শেষ করে দিয়েছেন। তিনি শুধু সংগঠনেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেননি একটা দেশ থেকে বিরোধী শক্তি বিলীনেও ভূমিকা রেখেছেন। তাছাড়া নিজের মায়ের জন্যই কী উদ্যোগ নিলেন তিনি এতোকাল ধরে নাকি কোনো একটি সংগঠিত আন্দোলনের রূপ দিতে পেরেছেন বিলেতে বসে বক্তৃতা দেয়া ছাড়া? না দেশ না মা কারো কোনো কাজে অন্তত তিনি আসেননি বিগত বহুবছর ধরে। এই অবস্থায় এখনো তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপির আন্তরিক নেতাকর্মী যারা আছেন তারা যদি ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করেন এবং বেগম খালেদা জিয়া আবার সরকার গঠন করবেন এমনটা ভাবেন সেটা হবে তাদের আন্তরিকতা থেকে সৃষ্টি আবেগি ভাবনা। সংগঠনের উপরমহলের অধিকাংশই বিএনপির নামটা মুছে ফেলেনি সুযোগের লোভে কিন্তু সরকারের ছায়াতেই আছে জীবন ও জীবিকার তাগিদে। তরুন প্রজন্মের উটতি সাংগঠনিক নেতাকর্মীরাও বুঝে গেছে কিভাবে টিকে থাকা লাগে? তাছাড়া এইদেশে আন্দোলন সংগ্রাম করাটাও চাট্টিখানি কথা নয় তা তো জানা কথাই।

খালেদা জিয়া গ্রেফতারের দিন যে সাংগঠনিকরা বাসাবাড়ির ছাদে উঠে মিছিল দিয়েছে তারা আবার যখন তাকে গণতন্ত্রের মা, রাজনৈতিক মা বলে সম্বোধন করে তখন আমার হাসি পায়। মায়ের প্রতি আন্তরিকতার লেশ তো দেখিনা শুধু সোশ্যাল সাইটে আবেগি ছবি, পোস্টার আর বক্তৃতাবাজি ছাড়া। শুধু শুধু এই বয়োবৃদ্ধ মহিলাকে নিজ দেশে নির্বাসনে ফেলে রাখাটা অন্তত আমার কাছে অমানবিক তাই কথাগুলো না লিখে পারলামনা। আমার কাছে পুরো বিষয়টাই তার সন্তান তারেক রহমানের স্বার্থপর মনোভাব মনে হচ্ছে। তিনি তার মায়ের অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতিতে নিজেকে টিকিয়ে রাখার জঘন্য মানসিকতা লালন করছেন। এখানে না দেশ না মা কোনোকিছুর প্রতিই তিনি আন্তরিক নন। সবই পয়সা কামানোর ধান্দা। নমিনেশন বাণিজ্য আর দলীয় ফান্ড যোগাড়ের মাধ্যমে হাজার কোটি টাকা কামানোর নীল নকশা সবকিছু।

(সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:৩০
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×