বিষয়টা এড়িয়ে যাবেন না । দেখুন দুর্নীতির জায়গা গুলা কত ছোট কিন্তু দুর্নীতির টাকার পরিমান কত বেশি ।
আমাদের দেশের দুর্নীতির কথা বলে শেষ করা যাবে না। বাংলাদেশের দুর্নীতি নিয়ে লিখলে মনে হয় সাগরের পানিও শুকিয়ে যাবে । আর যারা এই দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে তারাই হলো বড় দুর্নীতি বাজ । সেটা আমরা সবাই জানি ।
যেমন পুলিশ বিভাগ দুর্নীতি দমন করতে গিয়ে তারা নিজেরাই দুর্নীতিতে জরিয়ে গেছে । আর রাজনীতিবিদদের তো কথাই নেই ।
যাই হোক যেটা নিয়ে লিখতে চাইছি সেই কথা লিখি । রাস্তায় বেরুলেই দেখা যায় ইলেকট্রিক অটো রিক্সা । যা অনেক দিন আগেই সরকার নিষিদ্ধ করে দিয়েছে । কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে বিদ্যুৎ অপচয় । কিন্তু আমাদের পুলিশ বিভাগের সহায়তায় এখনো বুক ফুলিয়ে চলছে এই রিক্সা । কিন্তু বিদ্যুত মন্ত্রণালয় থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি এগুলো বন্ধ করার জন্য । কারণ এখান থেকে সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তাসহ পুলিশ সার্জেন্টরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা ।
সাধারণ একটা হিসাব দেখুন --------
কিছু দিন আগে এক পুলিশ কর্মকর্তার কাছ থেকে জেনে ছিলাম এ ধরনের অবৈধ রিক্সা আছে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার । আজ এক রিক্সা ওয়ালার সাথে কথা বলে জানলাম তাদের নাকি প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয় সার্জেন্টদের । । তাহলে দেখুন প্রতি মাসে পুলিশ সার্জেন্টদের আয় হলো ১৫ কোটি টাকা । যা পুরাই মাথা নষ্ট করা । এত গেলো শুধুমাত্র ঢাকা শহরের কথা । তাহলে গোটা দেশ থেকে কত হয় আপনারা একবার হিসাব করুন ।
যার ফলে বারছে যাত্রী দুর্ভোগ । কারণ রাস্তায় বেরুলেই পেডেল চালিত রিক্সা নেই । ফলে ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা । এভাবেই বাড়ছে রিক্সা ভাড়া আমরা বুঝেও না বুঝে থাকি । শেষ পর্যন্ত জনগন সবসময়ই ভোদাই ।
আজ আরো একটা নিউজ দেখলাম দৈনিক সকালের খবরে মিরপুর ১৪ নং পুলিশ কমপ্লেক্সের বাচ্চাদের খেলার মাঠ। রাজধানীর অবৈধ রিকশা জড়ো করা হয় এখানে। দেখা যায় শত শত রিক্সা পরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । কিন্তু কারো কোন মাথা ব্যথা নেই । কারণ এই রিক্সা থেকে পুলিশদের ইনকাম কম ।
এই রিক্সা গুলো যদি সাধারণ মানুষ গুলো ব্যবহার করতো তাহলে কী রিক্সার এত আকাল পরতো ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১২ রাত ১০:৫১