আমার বাবা বলতেন, ’সংসারে কিছুই ফেলার নয়, আবর্জনাও সার হয়।”
আর আমি বলি কিছুই ফেলার নয়, কুটনাও তরকারী হয়।”
তেমনই আজ একটা কুটনার চচ্চরি করলাম।
কুটনা চচ্চরি:
উপকরন; ফুলকপির যে ডাটাগুলো ফেলে দেওয়া হয়, বাঁধা কপির পাকা পাতা(উপর থেকে যে পাতাটা ফেলে দেওয়া হয়) মুলার ডাটা, আলুর খোসা, পুটি মাছ ৮/১০ টা, তেজপাতা ১টা, আস্ত শুকনা মরিচ ২টা, পাঁচফোরন, কাঁচা মরিচ, লবন, হলুদ, সাদা সরিষা বাটা, সরিষার তৈল।
প্রনালী: সব্জিগুলো সাইজ করে কেটে নিন। বাধা কপিটা একটু বড় করে রাখবেন। পুটি মাছ লবন হলুদ মাখিয়ে ভেজে রাখুন। ঐ তেলে তেজপাতা,শুকনা মরিচ, পাচঁফোড়ন দিয়ে সব্জিগুলো দিন।কাঁচা মরিচ, লবন, হলুদ দিয়ে সামান্য জল দিন। ফুটে উঠলে মাছগুলো দিন। জল শুকিয়ে এলে সরিষা বাটা দিয়ে নামিয়ে ফেলুন। ভাতের সংগে পরিবেশন করুন।
কাঁচা কলার খোসা ভর্তা:
কাঁচা কলার খোসা গুলো ফেলে না দিয়ে একটু লবন দিয়ে সিদ্ধ করে ফেলুন।
সিদ্ধ খোসাগুলো কাঁচা মরিচ দিয়ে পাটায় নিন। কড়াইতে সামান্য সরিষার তেল দেন। পেয়াজ কুচো দিন। পেয়াজ লাল হলে বাটা খোসা টা দিয়ে ভালো করে নেড়ে নামিয়ে নিন। গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।
অনুরূপভাবে পটল আর মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভর্তা করতে পারেন। মিষ্টি কুমড়োর খোসাসিদ্ধর পরিবর্তে ভেজে নিলেও হয়। এই ভাবে লাউ এর খোসাও ভর্তা করা যায়
লাউ এর খোসা ভাজা:
একটা লাউ এর খোসা জিরি জিরি করে কেটে নিন। একটা আলু কেটে নিন। এগুলো একটু সিদ্ধ করে নিন। কড়াইতে তেল দিন। কালো জিরা কাঁচা মরিচ দিন। এবারে কুচো চিংড়ী দিন। একটু ভাজা হলে সিদ্ধ করা মিশ্রনটি দিন। ভালো করে ভাজা হলে গরম ভাতের সাতে পরিবেশন করুন।