যে ভাবে মুসলমান আস্তিকগুলো কুরআনে বিজ্ঞানকে খুজে পায় তাতে একটা ব্যপার স্পস্টভাবে ফুটে উঠে এরা কেও বিজ্ঞান জানে না ?
যেমন-
১. আকাশ আর পৃথিবী এক সাথে মিশে ছিল, আল্লাহ মশাই এদেরকে আলাদা করে দিয়েছে (২১:৩০) । আর মুসলমানরা এটাকেই বিগ ব্যাং মনে করে । বোকারা বুঝতে চায় না বা বুঝতে পারে না কুরআন বলছে আকাশ আর পৃথিবী আগে থেকেই তৈরী ছিল, আল্লাহ মশাই শুধু এদেরকে আলাদা করে দেয় যেটা বিগ ব্যাং থিওরীর বিরোধী । দেখুন লেখা আছে - আল্লাহ আকাশ ও পৃথিবীকে আলাদা করে দিয়েছে । আকাশ ও পৃথিবী তৈরী করেছে বলা হয়নি বরং বলা হয়েছে আলাদা করে দিয়েছে । মানে আকাশ আর পৃথিবী আগে থেকেই তৈরী অবস্থায় ছিল ।
২. বিশ্বজগত সৃষ্টির আগে অর্থাৎ বিগ ব্যাং-এর আগে সব কিছু ছিল বায়ুবীয় অবস্থায় (৪১:১১) । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বায়ুবীয় পদার্থ তৈরী হয়েছে বিগ ব্যাং-এর লক্ষ বছর পরে । বিগ ব্যাং-এর আগে বা বিশ্বজগৎ সৃষ্টির পূর্বে কোন পদার্থই ছিল না । ছিল শুধু এনার্জি বা শক্তি । আর কুরআনের এই দাবী দ্বারা এটাই বুঝা যায় আল্লাহর বিশ্বজগৎ সম্পর্কে কোন জ্ঞানই নেই । থাকবে কি করে, কুরআনতো তৈরী করেছে মুহাম্মদের মত এক স্বাধারন মানুষ ।
৩. কুরআনে সম্পূর্ন পানি চক্রের বর্ননা দেয়া হয়েছে । যেমনঃ- বায়ু মেঘ তৈরী করে, বাতাস মেঘকে প্রবাহিত করে নিয়ে যায়, মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় এবং বৃষ্টির পানি ভূমিতে প্রবাহিত হয় । কুরআনে শুধু এতোটুকুই বলা আছে । কিন্তু পানি চক্রের প্রথম ধাপ- সমুদ্রের পানি বাষ্পে পরিনত হয় আর বৃষ্টির পানি সমুদ্রে ফিরে যায় এই প্রধান দুই ধাপ কুরআনে উল্লেখ নেই । কারন হচ্ছে কুরআনের আল্লাহ জানতো না পানি বাষ্প হয় এবং সমুদ্রে ফিরে যায় । কুরআন ততো টুকুই বলেছে যতটুকু মুহাম্মদ দেখতে পেতো বা জানতো । মুহাম্মদ পানির বাষ্প হওয়া দেখতে পেতো না বলে কুরআনে বলতে পারেনি । আর এর দ্বারা প্রমানিত হয় কুরআন মুহাম্মদ লিখেছে । আর মুসলমানরা দাবী করে বসে কুরআনে পানি চক্রের সম্পূর্ন প্রক্রিয়া বর্ননা করা আছে । এরা কুরআনও পড়ে না আবার বিজ্ঞানও জানে না । শুধু বড় বড় দাবী করে বসে ।
৪. কুরআনে পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতির বলা হয়েছে আর বর্তমানে বিজ্ঞান বলে পৃথিবী দুই মেরুর দিকে কিছুটা চাপা আর তাই পৃথিবী ডিম্বাকৃতির । যে আয়াতটা (৭৯:৩০) দ্বারা তারা এই দাবীটা করে সেটা মোটেও ডিম্বাকৃতির কথা বলে না । বলে বিস্তৃত পৃথিবীর কথা । কিন্তু ভন্ড মুসলমানরা কুরআনের আয়াতকে বিকৃতি করে দাবী করে কুরআন ডিম্বাকৃতির কথা বলেছে । যদিও এদের দাবী পুরোপুরি মিথ্যে উপরন্তু পৃথিবী মোটেও ডিম্বাকৃতির নয় । ডিম্বাকৃতি মানে হচ্ছে ডিমের মতো আকৃতি । কিন্তু ডিমের আকৃতি হচ্ছে উপরে নিচে চাপা এবং পাশে বা ডানে বায়ে লম্বা । অর্থাৎ চ্যাপ্টার মতো গোলোকাকার । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবী মোটেও ডিম্বাকৃতির বা ডিমের মতো আকৃতির নয় । যদিও পৃথিবীর দুই মেরু অঞ্চলে একটু চাপা বিষুবীয় অঞ্চলের তুলনায় তবুও এই পার্থক্য এতো কম যে পৃথিবীর আকৃতি গোলক আকার বা গোলকাকার । পৃথিবী ফুলবলের মতো বা সুষম গোলকের মতো গোলক আকৃতির নয় ঠিক কিন্তু এটি ৯৫% সুষম গোলক আকৃতির । মানে ঠিক সুষম গোলক আকৃতির নয় বা প্রায় সুষম আকৃতির । যারা বিজ্ঞান সম্পর্কে নুন্যতম জ্ঞান আছে বা গোলক সম্পর্কে ধারনা আছে তারা ব্যপারটা সহজেই বুঝতে পারবে । ডিমের আকৃতি সুষম গোলক আকৃতির নয় বর্তুল আকার । কিন্তু পৃথিবীর আকৃতি প্রায় ফুটবলের মতোই গোলকাকার । শুধু একটু (৫%) বর্তুনাতার যেটাকে সুষম বা প্রায় সুষম গোলক আকার বলা যায় । কিন্তু ডিমের মতো বর্তুলাকার বা ডিম্বাকার বলা যায় না । বরং ফুটবল বা কমলার আকৃতিই সঠিক । আর মুসলমানরা বিজ্ঞান জানে না বলেই পৃথিবীকে ডিম্বাকৃতির মনে করে ।
৫. কুরআনে বলা হয়েছে পাহাড়-পর্বত তৈরী করা হয়েছে পৃথিবী যেন কাত হয়ে না পড়ে বা ভুমি কম্প না হয় (১৬:১৫) । মুসলমানদের দাবী সত্যি সত্যি পাহাড়-পর্বত ভুমি কম্প রোধ করে । কিন্তু তাদের দাবী যে পুরোপুরি মিথ্যা সেটা কুরআনে চোখ রাখলেই বুঝা যায় । কুরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহ পাহাড় পর্বত স্থাপন করেছে যেন ভুমি কম্প না হয় (২১:৩১) । কিন্তু সবাই জানে পাহাড়-পর্বত থাকার পড়েও ভুমিকম্প হয় । অর্থাৎ কুরআন ভুল কথা বলছে, সম্পূর্ন মিথ্যে কথা বলছে । এরপর মুসলমানরা মিথ্যেচার করে বলে পাহাড়-পর্বত আছে বলে ভুমিকম্প কম হয় । অর্থাৎ তাদের নতুন দাবী, পাহাড়-পর্বত ভুমিকম্প কমাতে সাহায্য করে । কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে. পাহাড়-পর্বত ভুমিকম্প কমায় না বরং বাড়ায় । যখন পাহাড়-পর্বত তৈরী হয় তখনই ভুমিকম্প হয় । অর্থাৎ পাহাড়-পর্বত তৈরী হওয়াই ভুমিকম্প হবার কারন । মাঝে মাঝে পাহাড়-পর্বত থাকাতে ভুমিকম্প বাড়ে । যেমন জাপানে পাহাড়-পর্বত বেশি হওয়ায় সেখানে বেশি বেশি ভুমিকম্প হয় । যেখানে বিজ্ঞান বলে পাহাড়-পর্বত তৈরী হওয়াই ভুমিকম্পের কারন সেখানে মুসলমানরা দাবী করে পাহাড়-পর্বত ভুমিকম্প কমায় । এদের বিজ্ঞানের জ্ঞান এতই মজবুত ।
৬. কুরআনে বলা আছে, পৃথিবীকে বিছানা বা কার্পেটের মতো প্রসারিত বা বিস্তৃত করা হয়েছে অর্থাৎ পৃথিবীকে বিছানা বা কার্পেটের মতো সমতল করা হয়েছে । এটা বিজ্ঞান বিরোধী কথা । পৃথিবী মোটেও বিছানা বা কার্পেটের মতো সমতল নয় । বরং ফুটবলের মতো বা কমলার মতো গোলকাকার । অর্থাৎ কুরআন সম্পুর্ন ভুল কথা বলছে । কিন্তু আধুনিক বিবর্তিত মুসলমানরা দাবী করে কুরআনে পৃথিবীকে বিছানা বা কার্পেট বলা হয়েছে কারন পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ অত্যন্ত উত্তপ্ত; ফলে পৃথিবীর উপরিভাগ নরম-শীতল মাটি থাকায় পৃথিবীকে বিছানা বা কার্পেট বলা হয়েছে । তাদের দাবী বিছানা বা কার্পেট গোলকাকার কোন কিছুর উপরেও দেয়া যায় । আর তাই পৃথিবীকে সমতল বোঝানো হয়নি । কিন্তু তাদের যুক্তি কত অদ্ভুত দেখুন । কেও কী কখনও শুনেছে বিছানা বা কার্পেট দিয়ে গোলকাকার কিছুকে মোড়ানো হয় । এগুলো সব সময় সমতল হয় অন্য কোন রকম নয় । আর তাই পৃথিবীকে বিছানা বা কার্পেট বলায় পৃথিবীকে সমতলই বলা হয়েছে । কিন্তু মুসলমানদের দাবী বিছানা বা কার্পেট দিয়ে গোলকাকার কিছুকে মোড়ানো যায় । কিভাবে যায় সেটা একটা কথা বটে ! দাবীটি যে ভুল, কার্পেট বা বিছানা গোলকাকার নয় সেটা সবাই জানে । সূর্য পৃথিবীর চার পাশে ঘুড়তে পারে এর মানে এই নয় সূর্য পৃথিবীর চার পাশে আসলেই ঘুরে । দাবীটা এই রকমই অসম্ভব এবং অযৌক্তিক । আবার তাদের দ্বিতীয় দাবী পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ উত্তপ্ত বলে এবং পৃথিবীর উপরিভাগের মাটি মানুষকে সেই উত্তাপ থেকে বাঁচায় বলে আল্লাহ পৃথিবীকে বিছানা বা কার্পেট বলেছে । পৃথিবীর অভ্যন্তরের উত্তপ্ত পদার্থ থেকে মানুষকে বাঁচানোর জন্যই পৃথিবীর উপরিভাগকে শীতল মাটি করা হয়েছে । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ উত্তপ্ত হবার কারণে পৃথিবীর উপরিভাগকে শীতল-মসৃন করা নয়নি বরং পৃথিবীর উপরিভাগের মাটি শীতল হয়ে জমাট বাধার কারণে অভ্যন্তরের উত্তপ্ত গলিত পদার্থ আর তাপ নিঃসৃত করার সুযোগ পায়নি বলে অভ্যন্তরভাগ উত্তপ্ত থেকে গেছে । অর্থাৎ পৃথিবীর উপরিভাগ দ্রুত তাপ ত্যাগ করে শীতল হয়ে জমাট বেধে গেছে বলে অভ্যন্তরের পদার্থ আর তাপ ত্যাগ করার সুযোগ পায়নি । অর্থাৎ ভূ-উপরিভাগের শক্ত-শীতল মাটির কারনেই ভূ-অভ্যন্তরের পদার্থ উত্তপ্ত থেকে গেছে । মানে ভূ-অভ্যন্তরের গলিত উত্তপ্ত পদার্থ থাকার কারন হচ্ছে ভূ-উপরিভাগের শীতল শক্ত মাটি । আর তাই মুসলমানদের দাবী আল্লাহ ভূ-অভ্যন্তরের উত্তপ্ত পদার্থ থেকে বাঁচাতে পৃথিবীর উপরিভাগকে বিছানার মতো আরাম দায়ক করে তৈরী করেছে কথাটা সম্পূর্ন মিথ্যে । বরং আল্লাহ পৃথিবীকে বিছানা বা কার্পেট বলার কারণ সে ভেবেছে পৃথিবী সমতল । কিন্তু মুসলমানরা এই সত্যটুকু স্বীকার করে না ।
৭. কুরআনে আকাশকে শক্ত-মজবুত ছাদ বলা হয়েছে যেটা যেকোন সময়ই ভেঙ্গে যেতে পারে । এবং সাত আকাশের কথা বলা হয়েছে । কিন্তু বাস্তব জগতে এরকম কোন আকাশের অস্তিত্ত নেই । অর্থাৎ কুরআন স্পষ্টতই মিথ্যে কথা বলেছে, তাই কুরআন মিথ্যেবাদী । কিন্তু মুসলমানদের দাবী আকাশ বা বায়ুমন্ডল মানুষকে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মি এবং উল্কাপিন্ড থেকে রক্ষা করার জন্য আকাশকে মজবুত ছাদ বলা হয়েছে । কিন্তু কুরআনে যে সাত আকাশের কথা বলা হয়েছে সেটা যদি বায়ুমন্ডল হয় তবে কুরআন বলেছে নিচের আকাশে তাঁরা বা তারকা স্থাপণ করা হয়েছে আর বায়ুমন্ডলে তাঁরা বা তারকা নেই । অর্থাৎ কুরআন বায়ুমন্ডলকে আকাশ বলেনি । আবার শক্ত-মজবুত আকাশ যেটা যেকোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে সেরকম কোন আকাশ বাস্তব জগতে নেই । কিন্তু মুসলমানরা এই সত্যটা বুঝতে পারে না । তারা একবার বলে বায়ুমন্ডলকে আকাশ বলা হয়েছে আবার বলে আকাশ হচ্ছে বিশ্বজগতের বাইরে অবস্থিত । একেক সময় একেক দাবী । কিন্তু কুরআনে আরও বলা হয়েছে আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়ে । তারমানে আকাশ আসলে বায়ুমন্ডলের অভ্যন্তরে অবস্থিত । এই পরস্পর বিরোধী কথা মুসলমানরা বুঝতে পারে না । এরা বিজ্ঞানতো জানেই না বরং এদের ধর্ম সম্পর্কে ভালো ধারনাও নেই ।
৮. মুসলমানদের দাবী কুরআনে বলা হয়েছে, পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত হবার কথা যা পরস্পর কখনই মিলিত হয় না । আর বাস্তবে এরকম আছে যে পাশাপাশি দুই দরিয়া প্রবাহিত হয় কিন্তু পরস্পরের সাথে মিশে না । এক পাশে ঠান্ডা এবং মিঠা পানি প্রবাহিত হয় আবার অন্য পাশে গরম এবং লোনা পানি প্রবাহিত হয় । আর তারা কখনই মিলিত হয় না । এ কথাটা কুরআনে উল্লেখ আছে বলে মুসলমানরা দাবি করে কুরআন কোন মানুষ লেখেনি । কুরআন আল্লাহ নামের সৃষ্টিকর্তা লিখেছে ।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কুরআন দুই দরিয়া পাশাপাশি প্রবাহিত হওয়া নিয়ে অবাস্তব ও অবৈজ্ঞানিক কথা বলেছে । কুরআনের দাবী দুই দরিয়ার পানি কখনই মিলিত হয় না (২৫:৫৩); এই কথাটা একেবারে মিথ্যে । নদীর পানি য্খন সাগরে মিলিত হয় তখন নদীর পানি সাগরের পানির সাথে মিশতে কিছুটা সময় নেয় । কিন্তু সেই সময়টাতে নদীর স্রোতে পানি সামনের দিকে এগিয়ে যায় বলে কিছু যায়গায় আপাতত পানি মিলিত হতে পারে না । কারন যে সময়ে পানি মিলিত হয় সেই সময়ে পানি অনেকদুর পর্যন্ত চলে যায় বলে একটা নির্দিষ্ট যায়গায় পানি মিলিত হয় না বলে মনে হয় । এখানে পানির স্রোত এবং চাপের জন্য দুই পানি মিশতে কিছুটা সময় লাগে । কিন্তু দুই রকম পানি কখনই মিলিত হয় না কথাটা সম্পূর্নই মিথ্যা । অর্থাৎ কুরআনের দাবী দুই দরিয়ার পানি পাশাপাশি প্রবাহিত হয় কিন্তু পরস্পর মিলিত হয় না কথাটা সম্পূর্ন মিথ্যে । সত্যিটা হচ্ছে দুই দরিয়ার পানি পাশাপাশি প্রবাহিত হয় এবং কিছুক্ষন পরেই মিলিত হয় । যে কুরআনে এই রকম স্বাধারণ একটা কথাও ভূল বা মিথ্যা ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে সেই কুরআন কখনই কোন সৃষ্টিকর্তা লিখেনি ।
সত্যিটা হচ্ছে মিশরের নীল নদের পানি ভূমধ্য সাগরে মিশে এবং সেখানে কিছু জায়গায় দুই রকমের পানি বিরাজ করে কিন্তু কিছু দুর যেয়ে সেই পানি পরস্পর মিশ্রিত হয় । কিন্তু স্বাধারণ মানুষ দুই রকমের পানি পাশাপাশি প্রবাহিত হবার কারণ জানতো না । আবার সৌদি আরব মিশরের পাশের দেশ হবার কারণে এই দুই রকমের পানি প্রবাহিত হবার কথা আরবের মানুষও জানতো । কিন্তু সেই সময় এই কথাটা মিশর হয়ে যখন আরবে যায় তখন মানুষ বাড়িয়ে বলা শুরু করে দেয় যে, দুই দরিয়ার পানি পাশাপাশি প্রবাহিত হয় কিন্তু কখনই মিলিত হয় না । আর মুহাম্মদ সেই মিথ্যে কথাটাই কুরআনে উল্লেখ করে । এখানে স্পষ্টভাবে বুঝা যায় কুরআন ভূল কথা বলছে । কিন্তু মুসলমানরা এই কথাটা ভুল ভাবে উপস্থাপন করে মিথ্যে কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করে । প্রকৃতপক্ষে কুরআন দুই দরিয়ার পানির পাশাপাশি প্রবাহিত হবার ব্যাপারে সম্পূর্ন ভূল বা মিথ্যে কথা বলেছে ।
৯. মুসলমানদের দাবী কুরআনে মধুর কথা বলা হয়েছে মৌমাছির পেট থেকেই মধু বের হয় এবং মধু রোগ নিবারন করে । আর যেহেতু এই তথ্যটি কুরআনে উল্লেখ আছে তাই কুরআন অলৌকিক গ্রন্থ ।
প্রকৃতপক্ষে কুরআন মতে, মৌমাছি সব রকমের ফল খায় এবং তার পেট থেকে মধু বের হয় যাতে সব রোগের ঔষধ আছে । (১৬:৬৯)
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কুরআন এখানে ভুল কথা বলেছে । মৌমাছি কখনই কোন প্রকারের ফল খায় না । মৌমাছি ফুলের রেনু এবং ফুলের রস খায় । এবং তা থেকে মধু তৈরী করে । এখানে কুরআন সম্পূর্ন ভূল কথা বলছে যে মৌমাছি সব রকমের ফল খায় ।
মধুর ঔষধী গুন সম্পর্কে মানুষ প্রাচীন কাল থেকেই জেনে এসেছে এবং মধুকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করে এসেছে । আর মুহাম্মদ সেই তথ্যটি জানতো বলে কুরআনে নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করেছে । আর তার জন্য অলৌকিক ক্ষমতার দরকার হয়নি ।
কিন্তু মুসলমানরা এই আয়াত আংশিক উল্লেখ করে দাবী করে এখানে মৌমাছি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক কথা বলা হয়েছে যে মৌমাছির পেট থেকেই মধু তৈরী হয় । কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, যে কুরআন লেখক মনে করে মৌমাছি ফল খায় সেতো এমনিতেই ধরে নিবে, যেহেতু মৌমাছি ফল খায় তাহলে সে পেট থেকেই মধু বের করে । এটা অনেকটা গরু-ছাগলের ঘাস খেয়ে তাদের পেট থেকে দুধ বের হবার মতো । আর তাই এটা বলাতে কুরআন অলৌকিক হয়ে যায়নি । বরং কুরআন মৌমাছির ফল খাবার যে মিথ্যে ও অবৈজ্ঞানিক তথ্য দিয়েছে তাতে প্রমানিত হয় কুরআন মুহাম্মদের মতো কোন মানুষ লিখেছে ।
১০. মুসলমানরা দাবী করে কুরআন গরু-ছাগল জাতিয় প্রাণীর পেটের গোবর এবং রক্তনিঃসৃত দুধ বের হয় যেটা মানুষের জন্য উপকারী এবং তুষ্ণা নিবারণকারী এই কথাটা বলা হয়েছে । আর এটা উল্লেখ করায় কুরআন নাকি বৈজ্ঞানিক হয়ে গেছে ।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কুরআন এখানে সম্পূর্ন ভূল ও অবৈজ্ঞানিক কথা বলছে । দুধ কখনই পেট থেকে এবং গোবর থেকে তৈরী হয় না । বরং দুধ তৈরী হয় পশুর স্তনগ্রন্থি থেকে । প্রাণী খাদ্য গ্রহনের পর খাদ্যের উপাদান শর্করা, আমিষ, বা চর্বি, ভিটামিন এগুলো পাকস্থলি থেকে রক্তে মিশে এবং সারা শরীরে সর্বরাহ হয় । তার পরে যে অবশিষ্টাংশ পরিত্যাক্ত হয় সেটা গোবর হয়ে বাইরে নিষ্কাষিত হয় । কিন্তু কুরআন বলছে দুধ নাকি গোবর থেকে নি:সৃত হয় (১৬:৬৬) । অর্থাৎ কুরআন এখানে স্পষ্টতই মিথ্যে বা ভূল কথা বলছে । তাহলে কুরআন কিভাবে বৈজ্ঞানিক হলো । বরং কুরআন অবৈজ্ঞানিক ও মিথ্যে কথা বলেছে ।
১১. মুসলমানরা দাবী করে কুরআন মানুষের জন্মপদ্ধতি সম্পর্কে বলেছে মানুষ জন্ম হয় শুক্রানু থেকে । প্রথমে শুক্রানু থেকে রক্তপিন্ড হয় (কেও কেও দাবী করে জোঁকের মতো বস্তু হয়) । এবং তা মাংসপিন্ডে পরিণত হয় এবং মাংসপিন্ড হাড়ে পরিণত হয় । আর তারপর মাংস এসে হাড়কে ঢেকে দেয় । এভাবেই মানব শিশুর জন্ম হয় । আর কুরআন যেহেতু মানুষের জন্ম পদ্ধতি বর্ণনা করতে পেরেছে তাই কুরআন বৈজ্ঞানিক । এখানে উল্লেখ্য শুক্রানু থেকে রক্তপিন্ড হওয়াকে মুসলমানরা দাবী করে শুক্রানু জোঁকের মতো একটা কিছুতে পরিনত হয় । তারা মানব ভ্রুনকে জোঁকের মতো দেখায় বলে দাবী করে এবং এটাকে সর্বোচ্চ বিজ্ঞান বলে প্রচার করে ।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে কুরআন মানব শিশুর জন্ম পদ্ধতি সম্পর্কে চরম রকমের ভূল তথ্য দিয়েছে বা মিথ্যে তথ্য দিয়েছে । কুরআনের দাবী মুতাবেক প্রথমে শুক্রানু রক্তপিন্ডে পরিণত হয় মতান্তরে (অনুবাদ বদলিয়ে) জোঁকের মতো বস্তুতে পরিণত হয় (এখানে ডিম্বানুর কোন ভুমিকে নেই) । (২৩:১৪) তারপর সেই বস্তুটি (রক্তপিন্ড) মাংসপিন্ডে পরিণত হয় । তারপর সেই মাংশপিন্ডটি আবার পরিবর্তিত হয়ে হাড়ে পরিণত হয় । এবং শেষে বাইরে থেকে মাংস এসে হাড়টিকে ঢেকে দেয় । অর্ধাৎ শুক্রানু রুপান্তরিত হয়ে রক্তপিন্ডের (বা জোঁকের) মতো হয় তারপর সেই রক্তপিন্ড আবার রুপান্তরিত হয়ে মাংসপিন্ড হয় । এবং সেটি আবারও রুপান্তরিত হয়ে হাড়ে পরিণত হয় । আর শেষে বাইরে থেকে মাংস এনে হাড়টিকে ঢেকে দেয়া হয় ।
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে শুক্রানু ডিম্বানু মিলিত হয়ে ভ্রুণ তৈরী করে । আর ভ্রুণ বিভাজিত হয়ে মাংস, রক্ত এবং হাড়ে পরিণত হয় একই সাথে । এখানে হাড় এবং মাংস একই সাথে তৈরী হয় । কিন্তু কুরআন বলে আগে মাংস রুপান্তরিত হয়ে হাড়ে পরিণত হয় এবং তারপর মাংস তৈরী হয় । এটা সম্পূর্ন বিজ্ঞান বিরোধী ।
কিন্তু মুসলমানরা এই আয়াতটিকে উল্টাপাল্টা ভাবে উপস্থাপন করে আর গুজামিল দিয়ে এই অবৈজ্ঞানিক কথাগুলোকে মানুষের সামনে বিজ্ঞান হিসেবে মিথ্যে প্রচার করে ।
প্রকৃতপক্ষে কুরআন মানব শিশু তৈরী সম্পর্কে সম্পূর্ন মিথ্যে কথা বলেছে ।
এরকম বহু অবৈজ্ঞানিক এবং মিথ্যে তথ্যে কুরআন ভর্তি । আর তাই কুরআন কখনই কোন অলৌকিক স্বত্বার লেখা গ্রন্থ হতে পারে না । বরং কুরআন অন্যান্য ধর্ম গ্রন্তের মতই কোন এক স্বাধারণ মানুষ দ্বারা লিখিত । ভূলে ভরা কোনআর কখনই বৈজ্ঞানিক নয় ।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে মুসলমানরা বিজ্ঞানতো জানেই না উপরন্তু তাদের ধর্মগ্রন্তটিও ভালো করে পড়েনি । ফলে কুরআনে বিজ্ঞান, কুরআনে বিজ্ঞান বলে চেঁচামেঁচি করে । কিন্তু কুরআনে যে হাজার হাজার ভূল-মিথ্যে আর অবৈজ্ঞানিক কথা বলা হয়েছে সেটা মুসলমানরা জানতেও পারে না । তারা অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কারাচ্ছন্নই থেকে যায়
তথ্যসুত্রঃ
http://amiatheist.blogspot.com/2015/01/blog-post_6.html
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১২