somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামে কি এডপশন হারাম

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক চাচার বাসায় বেড়াতে গেছি। চাচা মুসলিমদের উপর খুবই বিরক্ত। কারন অনেক আছে, বিস্তারিততে যাচ্ছি না। তবে তার একটি কারন ছিল এই যে "মুসলিমরা এডপশনকে হারাম বলে।"
বিদেশে, বিশেষ করে অ্যামেরিকায় একটি খুবই মহৎ কালচার হচ্ছে শিশু দত্তক নেয়া। কেবল নিঃসন্তান দম্পতিই নয়, যাদের সন্তান আছে, তাঁরাও এই কাজটি করে থাকেন। এমন কাউকে কাউকে চিনি যারা ইচ্ছা করেই বিকলাঙ্গ, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, ডাউন সিনড্রোম, অটিস্টিক শিশু দত্তক নেয়। এরা মানুষ না, মুখোশের আড়ালে এরাই ফেরেশতা।
এঞ্জেলিনা জোলিকে কে না চেনে? তাঁর ছয় সন্তানের কয়টা দত্তক নেয়া জানেন? হলিউডের অনেক সেলিব্রেটি এই কাজটি করেন। এক কালের দুনিয়া কাঁপানো ডিভা ম্যাডোনারও পালক সন্তান আছে। সন্তান দত্তক নেয়ার উদাহরণ বলিউডেও পাওয়া যায়। সবচেয়ে জনপ্রিয় দত্তক নেয়া সন্তানের জননী হচ্ছেন সুস্মিতা সেন। বিশ্ব সুন্দরী হয়ে রুটিন মোতাবেক সামাজিক কর্মকান্ড করতে গিয়ে হাজির হন মাদার তেরেসার আশ্রমে। সেখানে গিয়ে দেখেন অনাথালয়ে প্রচুর মেয়ে শিশু আছে, সেই তুলনায় ছেলে শিশু বলতে গেলে নেইই। বিশ্ব সংসার সম্পর্কে অনভিজ্ঞ মেয়েটি এই প্রশ্ন করতেই তাঁকে জানানো হলো, "সবাই ছেলে শিশুকে দত্তক নেয়। মেয়ে শিশুদের নয়।"
সেই কচি বয়সেই মেয়েটি সিদ্ধান্ত নেয় মেয়ে শিশু দত্তক নেয়ার। সেই বয়সেই দত্তক শিশুর মা হয়ে যান। কয়েক বছর পর আবারও আরেক শিশুর মা হন। বর্তমানে বিয়ে না করেও তিনি সেই দুই কন্যা সন্তানের গর্বিত মা।
সমসাময়িক আরেক বলিউড ডিভা রাভিনা ট্যান্ডনও সন্তান দত্তক নিয়েছিলেন। বড় করে বিয়েও দেন, সেই মেয়ের ঘরে এখন তাঁর নাতিও আছে।
সর্বনিন্দিত নায়িকা সানি লিওনিও শুনেছি শিশু দত্তক নিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার অতি বিখ্যাত ও বিধ্বংসী অলরাউন্ডার এন্ড্রু সাইমন্ডসকে মনে আছে? সেও কিন্তু আরেকজনের বাড়িতে পালিত সন্তান।
এখন এইটা ফ্যাক্ট যে অনাথ শিশু যদি কারোর বাড়িতে লালিত পালিত হয়, তবে সেই শিশুর জীবন পাল্টে যায়। ঠিক বাড়িতে ঠিক মানুষের হাতে পড়লে অনেকেই আকাশচুম্বী সফলতা অর্জন করে। আমার চিফ একাউন্টিং অফিসার অনাথালয়ে বড় হচ্ছিলেন। সঠিক দম্পতির হাতে পড়ে তিনি সিপিএ হন, চাকরি জীবনে অবশ্যই তিনি একজন সফল নারী। অথচ এতিম খানায় বড় হলে তিনি আজকে কী হতেন কোন গ্যারান্টি ছিল না। এইরকম হাজারো উদাহরণ আছে।
তাহলে ইসলাম, যে দাবি করে সে মানুষের কল্যাণের জন্য নাজেল হয়েছে, সে কেন এমন মহৎ কাজে বাঁধা দিবে?
আপনি কোন অশিক্ষিত মোল্লার কাছে যান, সে চোখ কান বন্ধ করে আপনাকে দালিলিক প্রমান সহ বলবে "হ্যা, এটি হারাম। জাইদ ইবনে হারিসাকে নবী (সঃ) পালক নিয়েছিলেন, তারপরে সেটা নিষেধ হয়ে গেল। তাই এটি কোনভাবেই জায়েজ নয়।"
একই লোককে আপনি বলুন, "এতিমের দেখভাল করা ইসলামে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ইবাদাত ঘোষণা করা হয়েছে। এই ব্যাপারে কী বলবেন?"
তিনি বলবেন, "সেটা এতিম খানায় করতে পারেন। সদকা দিবেন। কুলখানি, কাঙালিভোজ খাওয়াবেন। ইত্যাদি, ইত্যাদি।"
তাহলে একটু ডিটেইলে যাই, কী বলেন?
আরবদের নামগুলো খেয়াল করেছেন কখনও? বাপের নাম, বাচ্চার নাম, দাদার নাম, উপগোত্রের নাম, গোত্রের নাম সব যুক্ত থাকে। আমাদের নবীর সম্পূর্ণ নাম বলতে গেলে এমন হবে, আবুল কাসিম মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব আল হাশেমী আল কুরাইশী। এক নামের মধ্যেই সবার পরিচয় থাকে। আলাদা আলাদা করে বাপ দাদার নাম বলার প্রয়োজন নেই।
জাইদ (রাঃ) ছিলেন নবীর (সঃ) দাস। মা খাদিজা (রাঃ) বিয়ের সময়ে নবীর (সঃ) ছোটখাটো কাজে সাহায্যের জন্য তাঁর স্বামীকে বালক জায়েদকে বাজার থেকে কিনে আনেন।
কিছুদিন পরে জাইদের বাবা ও ভাই ইয়েমেন থেকে পুত্রের খোঁজে মক্কায় আগমন করেন। তাঁরা মুহাম্মদকে (সঃ) (তখনও নবী হননি) নিজেদের সমস্ত সম্পত্তির বিনিময়ে হলেও পুত্রের মুক্তি কিনে নিতে চান। মক্কার আলামিন তখন বলেন, "জাইদকে জিজ্ঞেস করো। যদি সে তোমাদের সাথে যেতে রাজি হয়, তবে স্বানন্দে যেতে পারে। কোন টাকা পয়সা লাগবে না।"
আব্দুল মুত্তালিবের মতন কিংবদন্তির দৌহিত্রের মুখে এমন কথা শুনে জায়েদের বাবা ও ভাই মুগ্ধ হয়ে গেলেন। খুশিতে আত্মহারা! কিন্তু জাইদ তাঁদের হতাশ ও তারচেয়ে বেশি অবাক করে দিয়ে বললেন, "না, আমি আপনার সাথেই থাকতে চাই।"
বাবা ও ভাই নানানভাবে বুঝানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু জাইদ কিছুতেই মানতে রাজি নন। এই ঘটনা থেকে আমরা বুঝতে পারি মানুষের প্রতি, সে হোক আশরাফ, হোক ক্রীতদাস, ,মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহর (সঃ) আচরণ কেমন ছিল। জাইদ নিজের পরিবার থেকে বিচ্যুত হয়েও এখানে এই ভিনদেশে একটি নতুন পরিবার খুঁজে পেয়েছে। নিজের হারানো পিতার স্নেহ বঞ্চিত হয়েও নবীর (সঃ) মাঝে পিতার স্নেহ ও ভালবাসা পেয়েছে। সে কিছুতেই এই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চায় না।
অবশেষে নবী (সঃ) জাইদের এই ভালবাসার প্রতি সম্মান দিয়ে, তাঁর বাবা ও ভাইকে আশ্বস্ত করতে কাবা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দেন, জাইদ কারোর দাস নয়! আজ থেকে ও আমার পালিত পুত্র হলো! ওর নাম জাইদ ইবনে মুহাম্মদ।
আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেছিলেন, "রাসূলুল্লাহর (সঃ) আচরণ দেখে আমার বিশ্বাসই হতো না জাইদ অন্য কারোর সন্তান।"
খুব সুন্দর ঘটনা না? তাহলে সমস্যা কোথায়?
ইসলামের সমস্যা এখানেই। পুত্র পালনে না, কারোর বায়োলজিক্যাল পিতার নামের স্থানে আপনি নিজের নাম যুক্ত করতে পারবেন না। জাইদ ছিল জাইদ ইবনে হারিসা, সে কোন অবস্থাতেই জাইদ ইবনে মুহাম্মদ হতে পারবে না। জন্মদাতা পিতার হক আপনি ছিনতাই করতে পারবেন না। আপনি যেই হন না কেন। পুত্রের পিতাও যেই হোক না কেন।
ধরুন আপনি একটি নবজাতককে দত্তক নিয়েছেন। আপনি তাঁকে নিজের সন্তানের মতোই বড় করতে চান। আপনার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করতে চান। সবই ঠিক আছে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই তাঁকে আপনি মিথ্যা ধারণা দিতে পারবেন না যে আপনিই তাঁর আসল পিতা। ইসলাম এই মিথ্যার উপর তৈরী সম্পর্ক এলাউ করেনা। এই ব্যাপারটি শুনতে আপনার কাছে নিষ্ঠুর মনে হতে পারে, কিন্তু পশ্চিমা দেশে, যেখানে শিশু দত্তক নেয়া খুবই সাধারণ ঘটনা, তাঁরা শিশুদের সত্য জানিয়েই বড় করেন। আমাদের দেশে, যেখানে শিশু দত্তক নেয়ই না বলা চলে, তারা আলগা সেন্টিমেন্টের দোহাই দেই। অদ্ভুত না?
ইসলামিক মতে কেন শিশুকে তাঁর আসল পিতার নাম বলতে হয়? এই নিয়ে আমি ডিটেইলে যেতে চাই না। যেহেতু কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, তাই এই নিয়ে কোন তর্ক বিতর্কের অবকাশ নেই।
তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নানান কারণেই এর দরকার আছে।
ধরুন, একটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। খুনির ডিএনএ পাওয়া গেছে। খুনি শনাক্ত হচ্ছেনা। অনেক সময়ে পরিবারের নিকটাত্মীয়দের ডিএনএ এনালাইসিস থেকে শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু যদি "পালক" পুত্রের পরিচয় পুলিশ না জানে, তাহলে এখানে ন্যায় বিচার পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।
খুবই অদ্ভুতুড়ে উদাহরণ হলেও, ঘটনা সত্য। আরও অনেক কারন থাকে। কাজেই, ইসলামের প্রধান নিয়ম, "সত্যের সাথে থাকা" সেটা মেনে চলাই উত্তম। পশ্চিমাদের কারন কী সেটা নিজেরা গবেষণা করে বের করুন।
একটি ব্যাপার স্পষ্ট করে জেনে নিন। আমাদের নবী (সঃ) তিনবার এতিম হয়েছিলেন। প্রথমবার জন্মের আগেই পিতার মৃত্যুতে। তারপরেরবার তাঁর মায়ের মৃত্যুতে। তার পরেরবার তাঁর দাদার মৃত্যুতে। তাই নবী (সঃ) সবসময়ে এতিমের দেখভালের ক্ষেত্রে উৎসাহ দিয়ে গেছেন। যখন কুরআন নাজেল হতে শুরু হয়, যখন নামাজ রোজা ইত্যাদি কোনটাই ফরজ হয়নি, তখনও আল্লাহ হুকুম দিয়েছেন এতিমের যত্ন নিতে।
"আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে? সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়।" (সূরা মাউন)
"তারা আল্লাহর প্রেমে অভাবগ্রস্ত, এতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে।" (সূরা আদ-দাহর ৮)
তাছাড়া সূরা আল ফজরের ১৫-২০ আয়াত পড়ে নিন।
গেল আল্লাহর নির্দেশনা।
এখন নবী (সঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি একটি এতিম শিশুর দায়িত্ব নিল, কেয়ামতের দিনে তাঁর সাথে আমার ব্যবধান এই টুকু থাকবে।" বলে তিনি দুই আঙ্গুল জোড়া লাগানো অবস্থায় তুলে ধরেন। (বুখারী ৫৬৫৯)
আরও অসংখ্য হাদিস আছে। মূল কথা হলো, ইসলাম ধর্মে এতিমের সাহায্য করাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ইবাদতের মর্যাদা দেয়া হয়েছে।
আপনি অতি সহজে বেহেস্তে যেতে চান? এতিমের দায়িত্ব নিন। আমাদের দেশে একটি এতিম খানায় শয়ে শয়ে শিশু শুধুমাত্র মুড়ি খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। ভিডিওটা দেখার পর নিজেকে ধরে রাখা কঠিন। এই ঘটনা কেন ৯০% মুসলিমদের দেশে ঘটবে যেখানে লোকে টাখনুর নিচে কাপড় গেলে বা কোন নারী পর্দা ছাড়া বেরুলে হৈহৈ করে তেড়ে আসে?
দেশের একটি বিরাট অংশের মানুষের ধারণা কেউ মারা গেলে এতিম খানায় শিশুদের একবেলা খাইয়ে দিলেই বুঝিবা দায়িত্ব পালন হয়ে যায়। কিন্তু ওটা কেবল ওয়ানটাইম ব্যাপার। আপনি যদি একটি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নেন, সেটা তাঁর জীবন পাল্টে দেয়। ওটার ইম্প্যাক্ট বেশি। ইসলাম সেটার কথাই আমাদের বলেছে।
শিশু দত্তক নেয়ার আগে একটি ব্যাপার মাথায় রাখবেন। সেটি হচ্ছে, আপনি কী সেই শিশুটিকে নিজের সন্তানের মতন আপন ভেবে ভালবাসতে পারবেন? যদি আপনার আপন ছেলের সাথে আপনার পালক ছেলের ঝগড়া হয়, এবং দেখা গেল দোষটা আপনার আপন ছেলের, তাহলে কী আপনি আপনার আপন ছেলের বিরুদ্ধে গিয়ে পালক পুত্রের পক্ষে দাঁড়াতে পারবেন? নিজের দুই সন্তানের মধ্যে যেমন বাবা মা পক্ষপাত করেন না, তেমনি আপনার আপন এবং পালক সন্তানের মধ্যে কী আপনি পক্ষপাত না করে থাকতে পারবেন?
আপনাকে আপনার চেয়ে ভাল কেউ চিনে না, তাই আপনিই এই প্রশ্নের উত্তর ভাল দিতে পারবেন। যদি আপনি বুঝেন আপনি আপন পরের মধ্যে আপনের পক্ষেই থাকবেন (বলছি না এটি দোষ, এটিই স্বাভাবিক মানব চরিত্র) তাহলে কোন অবস্থাতেই পালক নিতে যাবেন না। সেক্ষেত্রে সামর্থ্যানুযায়ী এতিম খানায় কোন একটি দুটি দশটি বা আস্ত প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিতে পারেন। কেন এমন বলছি সেটা বলি। কয়েক বছর আগে আমাদের পাশের শহরে একটি শিশুকে খুন করে এক ইন্ডিয়ান দম্পতি। শিশুটিকে ইন্ডিয়া থেকে দত্তক নিয়ে আসা হয়। পরে তারা জানতে পারে মেয়েটি অটিস্টিক। অটিস্টিক শিশুকে বড় করতে যে ধৈর্য্যের প্রয়োজন, দত্তক নেয়া দম্পতির সেই ধৈর্য্য ছিল না। নিজের সন্তান না হলে এমনটাই হওয়া স্বাভাবিক। সেই ছোট্ট শিশুকে বাড়িতে একা ফেলে দম্পতি নিজের আপন সন্তানকে নিয়ে বাইরে বেড়াতে চলে যেত। মারধরও করতো। এক রাতে ওরা বাচ্চাটিকে খুন করে আস্তাকুড়ে ফেলে দিয়ে পুলিশকে জানালো আগের রাতে মেয়েটিকে শাসন করতে সে বাড়ির বাইরে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল, আধঘন্টা পরে এসে দেখে মেয়েটি নেই। এখানকার পুলিশতো আর কলা খাওয়া বানর না, ঠিকই ধরে ফেললো ঘটনা। তারপরে কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যাটাকে জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়লো।
আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছিলাম সেই ঘটনায়। আমাদের আদি অ্যাডমিন, আমি নিজে, এই ক্যানভাসেই পোস্ট করেছিলাম। কারোর কারোর হয়তো সেই ঘটনা মনে আছে।
কথা হচ্ছে, এমন আচরণ করতে হলে, সম্ভাবনা থাকলে, আপনার মহানুভব সাজার প্রয়োজন নেই। এতিম শিশুদের যদি সাহায্য করতে নাও পারেন, তবে হাসিমুখে তাঁদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিন। তাঁদের অনুভব করতে দিন তাঁরা ভাগ্যাহত হলেও পৃথিবীতে অনাহুত নয়। তাঁদেরও মানুষ ভালবাসে। অনাত্মীয়ও হাসিমুখে কথা বলে।
আর "ইসলামে এডোপশন হারাম" বলে ফালতু কথা বলা বন্ধ করুন। কুরআনের আয়াত নাজেল হবার পরে জাইদকে (রাঃ) নবী (সঃ) বাড়ি থেকে বের করে দেননি। শুধু নামটা পাল্টেছেন। ইসলামে যে ধরনের এডপশন হারাম, সেটা আর বর্তমান এডপশন পদ্ধতি এক না। এখানেও সন্তানের তথ্য দিয়ে ফর্ম ফিলাপের সময়ে লেখা থাকে সন্তান কী ফস্টার, নাকি বায়োলজিক্যাল।

সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:৩৯
১৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×