আমাদের জীবনে প্রায়শঃই দুর্যোগ আসে।
কখনও হুট্ করেই চাকরি চলে যায়। সঞ্চয়ের টাকা দ্রুত ফুরাতে থাকে।
কখনও ব্যবসায় মার খেয়ে একদম নিঃস্ব হয়ে যেতে হয়। কালকের রাজা আজকের ভিখারি!
কখনও আধপেটা খেয়ে চলতে হয় দিনের পর দিন। নিজের ক্ষুধা সহ্য করা যায়, কিন্তু অবুঝ শিশুদের?
কখনও বা সবচেয়ে বিশ্বাসী মানুষ পিঠে ছুরি মারে। জুলিয়াস সিজারের মতন বিস্ফোরিত নেত্রে বলতেই হয়, "Et tu, Brute?"
আবার কখনও মাথার উপর বটবৃক্ষ হয়ে থাকা কোন স্বজন পরপারে চলে যায়। ছোট ছোট স্মৃতি তখন বুকের ভিতর হাহাকার জাগায়!
তেমনই, কখনও সুপার সাইক্লোনে সাধের বাড়ি-ঘর খড়কুটোর মতন ভেসে যায়। টিনের চালা উড়িয়ে নিয়ে যায়, বা ছাদ ধসিয়ে দেয়।
চৌদ্দপুরুষের ধানি জমি চাষের অনুপযুক্ত হয়ে যায়। নোনা পানির কারনে সেখানে আর ফসল ফলতে চায়না।
বহু সাধের সাজানো বাগান লন্ডভন্ড হয়। একে একে আছড়ে পড়ে কয়েক যুগের যত্নে লালিত ফলবান বৃক্ষ।
তবুও বুকে সাহস রেখে বলতে হয়, বেঁচেতো আছি। জীবনের পরম আরাধ্য অর্জন হচ্ছে বেঁচে থাকা।
যতক্ষন আপনি, আমি, আমাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেঁচে আছি, আর আমাদের হাত পা সুস্থ আছে পরিশ্রম করার জন্য - ততক্ষন শুধু একটা কথাই মাথায় রাখবেন, পৃথিবীর কোন দুর্যোগই দুর্যোগ না। বেঁচে থাকলে সব ক্ষতি পুষিয়ে দেয়া সম্ভব।
ঘর ভেঙেছে? আবার গড়া যাবে।
দোকান ভেসে গেছে? আরও পরিশ্রম করা যাবে।
বেঁচে থাকলে সব হবে, মরে গেলেই সব শেষ।
এই মুহূর্তে মনের সাহসটাই জরুরি।
যা হারিয়েছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার বদলে এই ব্যাপারে খুশি হওয়া উচিত যে নিহত ব্যক্তিদের তালিকায় আমি, আপনিও থাকতে পারতাম, বা আমাদের পরিবারের সদস্যরা। প্রতিটা প্রাণের মূল্য পার্থিব সম্পদের হিসেবে পরিমাপ সম্ভব?
ইন শা আল্লাহ, আমরা সবাই মিলে এই দুর্যোগ সামলে উঠতে পারবো। আপনারা শুধু বেঁচে থাকুন, বিশ্বের বিপরীত প্রান্ত থেকে হলেও সাহায্য নিশ্চই আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০২০ রাত ১:৪০