ইন্ডিয়াতে যেমন "বয়কট লাল সিং চাড্ডা" (মূল ঘটনা আমির খান ও কারিনা কাপুর "খানের" বিরোধিতা করা), তেমনই বাংলাদেশিদের মধ্যে ইদানিং "শয়তানকে শয়তানি শেখালো কে?" আপাতত ফেসবুকের সবচেয়ে আলোচিত টপিক। মানে হচ্ছে আমাদের দেশের এবং প্রতিবেশী দেশের ইনফ্লেশন, একই সাথে রিসেশন, দারিদ্র্য, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি, বেকারত্ব, ক্ষুধা, বেসিক নেসেসিটি ইত্যাদি সব কিছু থেকে এইগুলিই মহাগুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
তা শয়তানের বিষয়টাই আপাতত ক্লিয়ার করি। যেহেতু লোকজনের মধ্যে অনেক কনফিউশন দেখতে পাচ্ছি। কনফিউশন তৈরীই হতো না যদি লোকজন কেবল কুরআনের কয়েকটা পাতা উল্টে পড়তেন। আস্ত কুরআন মুখস্ত করা লাগেনা, বেসিক জ্ঞান থাকলেই ওরা জানতো যে যখন আল্লাহ ঘোষণা দিলেন যে তিনি পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি পাঠাবেন, তখন ফেরেস্তারাই হায় হায় করে উঠলেন। "এমন প্রাণী কেন সৃষ্টি করবেন যে ওখানে গিয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা করবে, রক্তপাত ঘটাবে। আপনার ইবাদতের জন্য আমরাইতো যথেষ্ট।"
এখানে ফেরেস্তাদের কথা থেকেই বুঝা যাচ্ছে পৃথিবীতে মানুষের মতোই কোন প্রাণী আছে যারা দাঙ্গা-হাঙ্গামা-রক্তপাত ঘটায়, নিয়ান্ডারথাল, হোমো ইরেক্টাস ইত্যাদি যেকোনটাই হতে পারে, যাদের দেখে ওরা বলছে যে মানুষও, হোমো স্যাপিয়েন্স, একই ঘটনা ঘটাবে। ওরাতো ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানার কথা না, অতীত রেফারেন্স ছাড়া এমন কঠিন মন্তব্য করার কথা না। তখন পর্যন্ত ইবলিশও "শয়তান" হয়নাই, তাহলে ঐ প্রাণীগুলি কিভাবে রক্তপাত ঘটাতো?
এইটা হচ্ছে বেসিক কমন সেন্সের কথা। উপরের ঘটনা জানলে এমন প্রশ্নে ধন্দে পড়ে যাওয়ার কথা না।
এখন আসি একটু টেকনিক্যাল বিষয়ে।
"শয়তান" শব্দটা এডজেক্টিভ, এবং "ইবলিস" হচ্ছে "নাউন।" "শয়তান" মানে হচ্ছে যে আল্লাহর রাস্তা থেকে মানুষকে (বা জ্বিনকে) সরিয়ে ফেলে বা বাধা দেয়। শয়তান কেবল ইবলিসই না, সে যেকোন মানুষও হতে পারে। আবু জাহেল যেমন একটা শয়তান, হিটলার যেমন একটা শয়তান, স্টালিন যেমন একটা শয়তান, ভুট্টো, ইয়াহিয়া, আমেরিকার বেশ কিছু প্রেসিডেন্ট, বহু দেশের বহু রাজনীতিবিদ যেমন শয়তান তেমনই আমি আপনিও শয়তান হতে পারি যদি আমরা আল্লাহ বিরোধী কর্মকান্ড করি, এবং অন্যকে দিয়ে করাই। ইবলিস "শয়তান" হয়েছে তখন যখন সে নিজেকে উত্তম বা এলিট শ্রেণীর মনে করে সামান্য কাদা মাটির সৃষ্টি আদমকে (আঃ) শ্রেষ্ঠ মানতে অস্বীকার করে। কুরআনই বলে সেই ঘটনা। নিজের অহংকারই ওকে "শয়তান" বানিয়েছে। আপনি যদি বুয়েট থেকে পাশ করে নিজেকে সমাজের সৈয়দ মনে করা শুরু করেন, আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে আসা কোন ছেলেকে শুধুমাত্র এই কারনে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন যে সে বুয়েট পাশ নয়, তাহলে আপনিও শয়তানি আচরণ করলেন। কারন, হয়তো আপনি বুয়েট থেকে পাশ করে ততটা ভাল ইঞ্জিনিয়ার না যতটা সে ওখানে পড়াশোনা করে হয়েছে। ইবলিস এই কাজটিই করেছে। কুরআন পড়েন, স্পষ্ট লেখা আছে, "সে অহংকার করেছে।"
এখন এক ভাউ আল্লাদিপনা শুরু করলেন। কমেন্ট করলেন, "ইবলিশ হচ্ছে মুক্তচিন্তা আর আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জ্ঞানী সত্ত্বার রূপক চরিত্র। ইবলিশ হলো জি হুজুর বা সহমত ভাই না হয়ে বিবেক, বুদ্ধি খাঁটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারা এক আত্মমর্যাদাশীল বিদ্রোহীর নাম। সবকিছু হারিয়ে চিরকাল বিপদের সম্মুখীন হবে জেনেও নিজের চাইতে নিচু বুদ্ধিবৃত্তিক কারো গোলামিতে অস্বীকার করা এক অসাধারন বিপ্লবী সে।
আর আল্লাহ হলো চাটুকারিতা প্রিয়, নিজের বন্দনাপ্রিয় এবং চরম মাত্রার স্বৈরাচারী একটি চরিত্র। যে শুধু জি হুজুর আর সহমত ভাই ছাড়া অন্যকিছু শুনতে নারাজ। কেউ যদি তার কথার বিন্দুমাত্র যৌক্তিক বিরোধিতাও করে, তাহলে সে তাকে ধ্বংস করে দিতে উদ্যত হয়। যেমনটা সকল স্বৈরাচারী, চাটুকারিতাপ্রিয় শাসকই করে থাকে!"
কতটা বুদ্ধিহীন প্রাণীর মতন কথাবার্তা সেটা নিশ্চই ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই। এই মহাজ্ঞানী ভাইটি একটা বর্ণবাদী অহংকারী বদমাইশকে ডিফেন্ড করছে। এই মানসিকতার লোক যেকোন জায়গার জন্য বিপদজনক। আপনি একে চাকরিতে রাখেন, সে ইচ্ছামতন ঘুষ খাবে, দুর্নীতি করবে। ধরা খেলে বলবে, "আমি হচ্ছি বুদ্ধি খাঁটিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারা এক আত্মমর্যাদাশীল বিদ্রোহী।"
যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবেন, সেই প্রতিষ্ঠানের নিয়ম হচ্ছে ওদের প্রতি লয়াল থাকবেন। ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন। যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে সন্দেহ হয়, তবে প্রশ্ন করতেই পারেন, যেমনটা ফেরেস্তারাই করেছে, ভেটোও দিয়েছে, কিন্তু এন্ড প্রোডাক্ট যখন দেখেছে যে ওরা ভুল ছিল এবং ম্যানেজারই সঠিক, তখন ভুল স্বীকার করে আনুগত্য করেছে। কিন্তু কোম্পানিতে থাকাবস্থায়, কোম্পানির স্বার্থবিরোধী কোন কর্মকান্ড ঘটাবেন, সেটা চলবে না। এই লোকের সেই বোধ শক্তি নেই। এখন বুঝলাম, বাংলাদেশে কেন এত দুর্নীতি চলে। অফিসে, আদালতে, সচিবালয়ে এই সমস্ত লোকেই ঠাসা। সরকারি সব সুবিধা নিবে, ইচ্ছামতন ঘুষ খাবে, ভেজাল মিশাবে, চুরি চামারি করবে, তারপরে আবার বড় গলায় বলবে, "আমি গ্যাজেটেড অফিসার!" - তুইতো একটা চোর, তোর স্থান হওয়া উচিত জেলে!
এই লোক বলেছে, আল্লাহ স্বৈরাচারী, উনার মতের বিরোধীদের উনি ধ্বংস করে দেয়। তাহলে ফেরেস্তাদের তিনি নিস্তার দিলেন কেন? লজিক কি বলে? এই কারণেই বলি, গাধার আওয়াজই সবচেয়ে বিকট। এইটা অবশ্য আমার কথা না, কুরআনে, সূরা লোকমানে আল্লাহ বলেছেন। আয়াতটা ছিল সংজ্ঞা, এই লোকটা উদাহরণ।
আরেকটা টেকনিক্যাল ব্যাপার বলি। কেয়ামতের দিন শয়তানকে সব পাপীরা দোষারোপ করবে। সবাই বলবে, "তোর কারনে আজকে আমাদের জাহান্নামে যেতে হচ্ছে।"
ইবলিস তখন ঘোষণা দিবে, "আল্লাহ তোমাদের নিজের দিকে ডেকেছেন, আমি আমার দিকে ডেকেছি। তিনি বলেই দিয়েছিলেন যে আমি তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু, তারপরেও তোমরা আমার দিকে এসেছো, সেটাও নিজেদেরই ইচ্ছায়। আমি কাউকেই জোর করিনাই, তোমাদের উপর আমার কোন ক্ষমতাই ছিল না। এখন আমাকে দোষ দিচ্ছ কেন?"
প্লেইন এন্ড সিম্পল। শয়তান (শুধু ইবলিসই না, ওর অনুসারী যেকোন শয়তান) মানুষকে নিজের দিকে ডাকে, এর বেশি ওর কোন ক্ষমতা নাই। মানুষ যায় নিজের সিদ্ধান্তে। ইবলিসও নিজের সিদ্ধান্তে "শয়তান" হয়েছিল।
এবং অভিশপ্ত হবার পরে সে বলেছিল ও আদম সন্তানদের বিপথে চালিত করতে থাকবে। এইখানেই আসে এই তথ্য যে মানুষদের বিপথে চালু করতে স্পেসিফিক্যালি ইবলিস ও ওর সাঙ্গপাঙ্গরা দায়ী।
ইবলিসের ঘটনায় অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার বলি। যখন সে ইবাদত করতে করতে আল্লাহর সবচেয়ে কাছাকাছি চলে গেল, সে নিজেকে ভেবে বসলো সেই আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয়, কিন্তু অন্তর্যামী আল্লাহ জানতেন ওর মনের ভিতর কি চলছে। তাই তিনি আদমকে (আঃ) সৃষ্টি করলেন, দিলেন মর্যাদা, এতটাই যে ইবলিসের জন্য সেটাই ছিল পরীক্ষা যে সে কি আসলেই আল্লাহর "বান্দা" নাকি সুসময়ের দাস? আমাদের দেশে অনেক মানুষকে পাবেন "এইটা করা উচিৎ ঐটা করা উচিৎ" বলে বেড়ায়, কিন্তু যেই মুহূর্তে অ্যাকশনের সময় আসবে, তখনই ওদের খুঁজে পাবেন না। যখন পয়সা নাই, তখন বলে বেড়াবে "আমার টাকা থাকলে আমি এতটাকা দিয়ে এইটা করতাম, অত টাকা দিয়ে ওটা করতাম।" যখন ওর হাতে টাকা আসে, তখন নানা বাহানায় এড়ানোর চেষ্টা করে।
ইবলিসও এই কাজটাই করলো।
যেই মুহূর্তে ও দেখলো অন্য কেউ সমমর্যাদা পেয়ে গেছে, সেই মুহূর্তেই ওর ঈমান আমলের মুখোশ খসে গিয়ে আসল চেহারা বেরিয়ে এলো। কে জানে, ও যদি সেদিন এই অহংকার প্রকাশ না করতো, ধৈর্য্য ধরতো, হয়তো ওর স্থান আরও বহুগুন উপরে উঠে যেত।
কিছু মানুষ এখানেও আল্লাদিপনা করে, "ইবলিসকে এমন পরিস্থিতিতে আল্লাহ কেন ফেললেন?" - ওয়েল, উত্তর হচ্ছে, একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সব নবী রাসূলতো বটেই, আমাকে আপনাকেও ফেলেন। আমাদের সৃষ্টিই করা হয়েছে এই উদ্দেশ্যে।
আমাদের নবীর জীবনীই ধরেন, ছিলেন মক্কার সবচেয়ে অভিজাত পরিবারের সদস্য, হবার কথা ছিল কুরাইশদের নেতা, তখনই আল্লাহ বলে দিলেন, সাদা কালো, আরব অনারবে কোন পার্থক্য নাই। এ কেমন অদ্ভুত কথা? জীবনেও কখনও দেখেছেন কোন নেতাকে অন্য সম্প্রদায়ের হক আদায়ে লড়ছেন? আমাদের বঙ্গবন্ধু লড়েছেন বাঙালিদের অধিকার আদায়ে, গান্ধী-জিন্নাহ লড়েছেন ভারতীয়দের অধিকার আদায়ে। মার্টিন লুথার কিং ও নেলসন মেন্ডেলা জুনিয়ার লড়েছেন কালোদের অধিকার আদায়ে। অথচ আমাদের নবী (সঃ) আরব হয়েও লড়েছেন বিলালদের (আঃ) জন্য। বনু হাশেমী কুরাইশী (সর্বোচ্চ সম্মানিত গোত্র) হয়েও বলেছেন "সব মানুষ সমান।" তাঁর আগে বিশ্বের ইতিহাসে এমন "অদ্ভুত" কথা কোন মানুষের মুখ থেকে বেরোয়নি। পুরুষ হয়েও অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন নারীর। সে "সম্পত্তি" নয়, বরং সম্পদের "উত্তরাধিকারিণী" প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনিই। নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন কন্যা সন্তান হত্যার মতন জঘন্য রীতির। এজন্যই দুনিয়ার সব নেতা একদিকে, এবং মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সঃ) একদিকে। কেয়ামত পর্যন্ত উনার সমকক্ষ কেউ জন্মাবে না, জন্মানো সম্ভবও না।
যাই হোক, নব্যুয়াতি লাভের শুরু থেকেই একে একে শুরু হলো নিত্য নতুন যন্ত্রনা। প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচারের শুরুর দিনই উনার দুই মেয়ের ডিভোর্স হয়ে গেল, তাঁর সামাজিক মর্যাদা চলে গেল, লোকে তাঁকে গালাগালি করতো, মুখে থুথু ছিটিয়েছিল একজন, পাথরের আঘাতে অজ্ঞান হয়েছেন, প্রাণের হুমকিতো ছিলই - লড়তে হয়েছে নিজের আত্মীয়দের বিরুদ্ধেও। আর এদিকে প্রাইভেট জীবনে তিনি ছিলেন এতিম, মা মারা গেলেন শৈশবে, দাদাও মারা গেলেন দ্রুত, চাচা মরলেন, স্ত্রী মরলেন, একটি পুত্রও বাঁচলো না, একজন বাদে সব মেয়েরাও মারা গেল তিনি জীবিতাবস্থাতেই। মদিনার সম্রাটের পেটে ভরপেট আহার জুটতো না কখনই। দিনের পর দিন কেটেছে বাড়িতে চুলা জ্বলেনি। ক্ষুধার যন্ত্রনায় পেটে পাথর বেঁধেছেন।
অথচ একজন সাধারণ মানুষ বলতেই পারতো "আপনি এত "দয়ালু" "করুনাময়" হলে, কেন আমাকে এত কষ্ট দিচ্ছেন?"
নবীর (সঃ) পরীক্ষা কি ইবলিসের পরীক্ষার চেয়ে সহজ ছিল? কোন গাধায় "হ্যা" বলবে?
আপনি হঠাৎ দেখলেন আপনার চাকরি চলে গেল, আপনার প্রিয় মানুষের সাথে বিচ্ছেদ ঘটে গেল, আপনার যোগ্যতা থাকার পরেও আপনার প্রমোশন হলো না, চাকরি হলো না অমুক প্রতিষ্ঠানে, আরও অনেক কিছুই ঘটে জীবনে; সবচেয়ে কমন ঘটনা হচ্ছে, আপনি অমুক বংশের ছেলে, দামি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে যা করতে পারেননি, কেউ গ্রাম বা বস্তি থেকে উঠে এসে কিছু একটা করে বিখ্যাত হয়ে গেল, অমনি আপনি হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরলেন - তখন আপনি ইবলিসের মতোই পরীক্ষায় ফেল করলেন। আল্লাহ কাউকেই হুদাই জান্নাত দিবেন না। কাউকে বেহুদাই জাহান্নামী বানাবেন না।
কাউকে সাফল্য পেতে দেখলে হিংসা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস না দিয়ে ওর সাফল্যে পজিটিভ হবার চেষ্টা করুন, দেখবেন একদিন আপনিও সফল হবেন। যেই মুহূর্তে আপনি হিংসায় ঠাসা কোন স্ট্যাটাস দিবেন, উপরওয়ালার চোখেতো অবশ্যই, সাধারণ মানুষের চোখেও আপনি নেমে যাবেন। কিছু কাছের মানুষ হয়তো ঐ পোস্টে সহমত জানাবে, কিন্তু আড়ালে ওরাই আপনার নামে বদনাম করবে। নেগেটিভ মেন্টালিটির কারনে আম ছালা সবই হারাবেন।
শেষ করি ইবলিস টপিক দিয়ে।
অনেককে দেখছি খিল খিল করে হাসতে যে এই প্রশ্নের মাধ্যমে মুসলিমদের তথা ইসলামকে দারুন বিপদে ফেলা হয়েছে ভেবে পুলকিত হতে। কতটা বিপদে ফেলা হয়েছে, সেটাতো কমন সেন্স দিয়েই উপরে বুঝায়ে দিলাম। ইসলামের ব্যাপারে খুব জ্ঞানের প্রয়োজন নেই।
আমার মূল কনসার্ন এই পুলকিত হওয়া নিয়ে। এই এদের কারণেই ইসলাম বলে যে ইসলাম মোটেই জোর জবরদস্তির ধর্ম না। কুরআনে আল্লাহ নিষেধ করেছেন জোর করতে, নবীর (সঃ) জীবনীতেও আমরা উদাহরণ পাই। মক্কায় কারোর উপরই কোন জোর জবরদস্তি করা হয়নাই, যে কারনে যারা মুসলিম ছিলেন, সবাই ছিলেন হীরকখন্ড। শত অত্যাচারেও তাঁরা ধর্মত্যাগ করেননি।
আর মদিনায় যখন ক্ষমতাবান মুসলিমদের পাশে থাকতে, ওদের থেকে সুবিধা নিতে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যারা মুসলিম হয়েছিল, ওরাই জন্ম দিয়েছিল মুনাফেক সম্প্রদায়ের। জোর করে আসলেই আল্লাহর প্রতি আনুগত্য, ভালবাসা তথা ঈমান আদায় করা যায় না। ওটা আপনাতেই আসবে।
আর যার নাই, সেটাও প্রকাশ হয় এইসব ঘটনাতেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৫:৩৬