somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নামের আড়ালের মানুষগুলো

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আজকের এই বিশ্বায়নের যুগে মিডিয়া যা বাজারজাত করে তা নিঃসন্দেহে একধরনের ভোগ্যপণ্য বা commodity। অন্য ভোগ্যপণ্যের সাথে এর তফাৎ হচ্ছে প্রধানত দুটো:

প্রথমত, অত্যাবশ্যকীয় নয় বলে, এসব ভোগ্যপণ্য ভোগ করতে বা ক্রয় করতে আপনি বাধ্য নন – যেমনটা ধরুন ১ কে,জি, লবণ কিনতে আপনি অনেকটা বাধ্য। কিন্তু এক্ষেত্রে, অর্থাৎ মিডিয়া কর্তৃক সরবরাহকৃত ভোগ্যপণ্যের বেলায়, কি ক্রয় করবেন বা করবেন না, সে ব্যাপারে আপনার ব্যাপক স্বাধীনতা রয়েছে। আপনি চাইলেই আলোচ্য ভোগ্যপণ্য একেবারে ক্রয় না করলেও পারেন – কেউ আপনাকে জোর করতে পারবে না। তাই আপনি যখন আপনার জাতি-ধর্মের বিরুদ্ধে বিজাতীয়দের ‘তথ্য-সন্ত্রাসের’ অভিযোগ উত্থাপন করে মায়াকান্না কাঁদেন, তখন আপনার মনে রাখা উচিত যে, ঐ তথ্যের গ্রাহক হয়ে, আসলে তথ্য সরবরাহকারীদের পক্ষে প্রথম পদক্ষেপটি আপনিই নিয়েছেন। আপনি কি খেয়াল করেছেন যে, “বিবিসি বা সি,এন,এন-এর খবর দেখা/শোনা না হলে সেদিন ঠিক মত ঘুম হয় না” বা কোন একটা হিন্দুস্থানী সিরিয়াল না দেখলে ‘গোটা সপ্তাহটাই কেমন মনমরা ভাব থাকে’ – এমন কথা আমাদের বন্ধু বা আত্মীয়দের মুখে সততই শোনা যায় !

দ্বিতীয়ত, আপনি সচেতন ভাবে অনুধাবন না করলেও, মিডিয়ার এসব commodity আপনার জীবনে প্রবেশ করে মূলত আপনার প্রবৃত্তির খিড়কি-পথে। আপনি নিজেই নিজের ভিতরে তাকিয়ে দেখলে বুঝতে পারবেন যে, আপনি কতদিন কতবার ভেবেছেন যে কেবল ২ মিনিটের খবরের শিরোনামটা দেখেই টিভি-টা বন্ধ করে দেবেন – কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুই ঘন্টা টিভির সামনে বসে থেকেছেন এবং অন্যান্য অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন, প্রাথমিক অনিচ্ছা সত্ত্বেও!! কেন? প্রথম উত্তর হচ্ছে আপনার ‘ভালো-লেগেছে-বলে’। ইংরেজীতে lured এবং seduced বলে দুটো শব্দ আছে যার সঠিক ও সুন্দর বাংলা প্রতিশব্দ আমার জানা নেই – ‘প্রলুব্ধ করা’ ও ‘ ভ্রষ্ট করা’ বলতে দুটো অর্থ রয়েছে উল্লেখিত শব্দ দুটির – ‘বিমোহিত’ শব্দটি হয়তো ব্যবহার করা যেতে পারে ঐ দুটো শব্দকে একত্রে একটা অর্থ দিতে। আপনাকে এমন সব দৃশ্য দিয়ে বিমোহিত করা হয়েছে – হোক না আপনার অজান্তেই – যেগুলো আপনার basic instinct বা মৌলিক প্রবৃত্তির কাছে আবেদন রাখতে সক্ষম। প্রথমে আপনার হয়তো এক ধরনের অস্বস্তি হয়েছে – আপনি ভালো মুসলিম হয়ে থাকলে, আপনার হয়তো এক ধরনের লজ্জা লেগেছে বা অপরাধবোধও জেগেছে – কিন্তু তার পর একসময় আপনি ডুবে গেছেন চক্ চকে রঙ্গীন স্বপ্নের জগতে। এটাই স্বাভাবিক – আল্লাহ্ সুবহানাহু তা‘লা আমাদের এভাবেই তৈরী করেছেন – আমাদের সবার ভিতরে ‘গাফালা’ বা ‘ভুলে থাকার’ প্রবণতা রয়েছে – ঠিক যেমন আদি পিতা আদম একটা দুর্বল মুহূর্তে ভুলে গিয়েছিলেন যে, আল্লাহ্ তাঁকে ঐ নিষিদ্ধ ফলের গাছটির কাছে যেতে নিষেধ করেছিলেন। তাই আমরা মূলত ভুলিয়ে রাখার ‘বস্তুসমূহ’ থেকেই দূরে থাকবো – আরো বিশেষত সে সমস্ত বিষয়াদি থেকে – যে গুলোর মাধ্যমে আর্ট, কালচার, সংস্কৃতি, ললিতকলা ইত্যাদির মত নানারকম পরিশীলিত নামের আড়ালে আসলে আপনাকে সেই সনাতন আদিরসের বাণেই বিদ্ধ করা হয় – হিন্দু উপকথার গল্পে, শকুন্তলার পিতা মহাঋষি বিশ্বামিত্রকে যা দিয়ে বিদ্ধ করেছিলেন স্বর্গের অপ্সরী মেনকা এবং তার সকল ধ্যান মুহূর্তেই ব্যার্থতায় পর্যবসিত হয়েছিলো। এভাবে আপনাকে প্রবৃত্তির তাড়নার অদৃশ্য বাণে বিদ্ধ করে, আপনার চোখ-কানকে যখন একবার অধিগ্রহণ করা হয়, তখন আপনাকে যা শোনানো হয় আপনি তা শুনবেন এবং বোধকরি যা বোঝানো হয় তাও বুঝতে এবং বিশ্বাস করতে শুরু করবেন। অথচ, কি দেখবেন, কি শুনবেন বা কোন কোন বক্তব্যকে সত্যি মনে করবেন – সে সব ব্যাপারে একসময় আপনার অবারিত স্বাধীনতা ছিল।

আমি যদিও বুঝি যে, মূলত ইহুদী-নাসারা দ্বারা পরিচালিত রূপ-ব্যবসার মাধ্যমে ও রূপ-ব্যবসার ছত্রছায়ায়, তথ্য-সন্ত্রাসের সাঁড়াশী আক্রমণ চালানো হয় মুসলিম উম্মাহর সেই সব নির্বোধ consumer-এর উপর, যারা সে সব গিলতে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছেন – তবু এসব বাণে ধরাশায়ী হয়ে যখন তাদের কেউ কেউ নিষ্ফল আস্ফালন করেন এবং প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন, তখন করুণার চেয়ে আমার বরং রাগই হয় এক প্রকার। দৈনন্দিন জীবনে ধরুন, আপনি আচার কিনতে গেলেন কোন দোকানে এবং দেখলেন যে, বিভিন্ন প্রকার আচারের বোতলের গায়ে, সে সবে কি কি ভেজাল মেশানো আছে তার তালিকা সহ disclaimer লেখা আছে। তাহলে আপনি যদি এখন পোড়া ‘মবিল’ মেশানো তেল সহকারে বানানো আচার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন, তবে কি ঐ দোকানী বা আচার প্রস্তুতকারককে খুব একটা দোষ দিতে পারেন??

বেশ কয়েক বছর আগে, আমি একদিন ঢাকার একটা বড় মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে বেরিয়ে আসছিলাম – তখন পরিচিত খতিবের সাথে আমাকে সামান্য কুশল বিনিময় করতে দেখে এক মুসল্লি ভাই বললেন যে, আমরা যে হিজরি সন সম্বন্ধে উদাসীন, তার একটা বিহিত করতে আমি (আমার সাথে পরিচিত ঐ) খতিবকে তা মনে করিয়ে দেবার একটা আইডিয়া দিতে পারি – ঐ দিন মসজিদের আশেপাশে বা রাস্তায় কিছু ব্যানারে “শুভ হিজরি নববর্ষ” জাতীয় কিছু লিখে টাঙ্গিয়ে রাখলে, হয়তো সবাই বুঝতে পারতেন যে মুসলিম পঞ্জিকার একটি নতুন বছর শুরু হচ্ছে (প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে ঐ দিন খতিব সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে দিনটি ছিল একটা নতুন হিজরি সালের প্রথম দিন – যা মুসল্লিদের প্রায় কেউই জানতেন না)। আমি কিছুটা বিরস বদনে তাকে জিজ্ঞেস করলাম যে, তিনি আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর নাম -অথবা- CNN-এর Larry King-এর নাম জানেন কি না? তার ইতিবাচক নীরবতার সাথে সাথে আবার জিজ্ঞেস করলাম যে, তিনি কি জানেন সেবারের হজ্জের খুতবা কে দিয়েছেন? – হজ্জ তো সারাবিশ্বের মুসলিমদের একটা একক অনুষ্ঠান – যা চাইলে সারা বিশ্বের টিভি-তে দেখা যায় এবং মুসলিম উম্মাহর কাছে যার গুরুত্বও অপরিসীম হবার কথা। তিনি অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই যখন বলতে পারলেন না, তখন আমি তাকে বললাম যে, আমরা যদি আমাদের কিবলা আমেরিকা থেকে ঘুরিয়ে, কা’বার দিকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারি, তবে আমাদের আর ব্যানার টাঙ্গানোর কথা ভাবতে হবে না – ‘নিউ ইয়ার্স ডে’ বা ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ কবে তা না জানলেও, হিজরি নববর্ষ কবে তা আমরা নিশ্চিত জানবো ইনশা’আল্লাহ্। আমার কথা তিনি পরিষ্কার বুঝতে পেরে খুশিমনে দ্রুত নিষ্ক্রান্ত হলেন। আমরা ‘তাওয়াক্কুল’ বা আমাদের আস্থা জ্ঞাপন করেছি অবিশ্বাসীদের উপর – তাই আমরা কেবল তারা আমাদের যা জানায় তা জানি, তারা আমাদের যা শোনায় তা শুনি – তাদের কথায় বিশ্বাস করি – এবং, তাদের সরবরাহকৃত তথ্যের বাইরে, আমরা কোন তথ্যের খোঁজ করি না। তাই তো আমরা আজ Anderson Cooper-এর নাম জানি, কিন্তু মাসজিদুল হারামের ইমামের নাম জানিনা অথবা Indian Idol-দের নাম জানি, কিন্তু সিরিয়ায় নিহত বেসামরিক লোক সংখ্যা অনুমানও করতে পারি না। মনে রাখবেন, কেউ আমাদের ‘তাওয়াক্কুল’-এর ব্যাপারে জোর-জবরদস্তি করতে পারে না। কিন্তু আমরা যদি আমাদের ‘তাওয়াক্কুল’ আল্লাহর উপর ন্যস্ত করতে পারতাম – বা – কেবল তাঁকেই আমাদের একমাত্র protector বা ‘মৌলা’ বলে মনে করতাম, তবে আমরা ঠিকই আমাদের জ্ঞাতব্য বিষয়াদি জানতাম।

যখনই এমন কোন একটা ঘটনা ঘটে যা আন্তর্জাতিক খবর হয়ে দাঁড়ায় – ABC, BBC বা CNN-এর মত প্রখ্যাত মিডিয়া নির্গমণীগুলো তখনই তার উপর মতামত ব্যাক্ত করার জন্য বিশেষজ্ঞদের ডেকে আনে। আমরা অনেক সময়েই ভুলে যাই যে এই বিশেষজ্ঞরা দেবদূত নন – এরাও আমাদের মতই মানুষ, এদেরও পক্ষ-প্রতিপক্ষ বোধ রয়েছে – পক্ষপাতিত্বও রয়েছে। এছাড়া আরও যে ব্যাপারটা আমরা ভুলে থাকি তা হচ্ছে এই যে, গালভরা সব আপাত ইউরোপীয় উৎসের নামের আড়ালে এদের অধিকাংশই ইহুদী – যাদের পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া THE PROTOCOLS of the Meetings of the LEARNED ELDERS OF ZION অনুযায়ী তারা পৃথিবীর মিডিয়া ব্যবসার প্রায় সবটুকুই নিয়ন্ত্রণ করেন – এবং, আপাতত পরোক্ষ ভাবে যদিও তারাই পৃথিবী শাসন করছেন, তবু অচিরেই প্রত্যক্ষভাবেও পৃথিবীকে শাসন করার স্বপ্নও তারা দেখেন। আমরা যদি সে নামগুলো সম্বন্ধে না জেনে এতদিন মিডিয়ার সরবরাহকৃত ভোগ্যপণ্য গলাধঃকরণ করে থাকি – তবে তা অনেকটা ভাষা না জানার দরুণ, আমার দেয়া উদাহরণের আচারের বোতলের গায়ে ভেজাল উপাদানের নাম পড়তে অক্ষম হবার মত ব্যাপার হবে। অথচ, নামগুলো দেখেই আমাদের জানা উচিত ছিল যে আমরা কাদের উপর আমাদের ‘তাওয়াক্কুল’ ন্যস্ত করেছি এবং কাদের আমাদের protector বা ‘মৌলা’ বলে গণ্য করছি।

আপনি কি কখনো খেয়াল করেছেন যে, পশ্চিমা মিডিয়া বস্তুনিষ্ঠ বা নৈর্ব্যক্তিক মতামতের জন্য যে সব মান্যজনদের কাছে ছুটে যায়, তারা – আইনজীবী বা বিচারক, চিকিৎসক বা মনোবিজ্ঞানী, অভিনেতা বা পরিচালক, সাংবাদিক বা সম্পাদক, রাজনীতিবিদ বা সরকারী আমলা – যাই হোন না কেন – গালভরা কিছূ নামের আড়ালে তাদের অধিকাংশই আসলে ELDERS OF ZION-দের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ব্রতে আত্মনিয়োগ করা ইহুদী? যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকার ওয়েবসাইট, freeamerican.com -এর সূত্র থেকে আমি আপনাদের জন্য, A থেকে Z আদ্য-অক্ষর সম্পন্ন অল্প কিছু ইহুদী নাম তুলে দিচ্ছি, যা মনোযোগ সহকারে পড়ে দেখলে আপনি বুঝবেন যে, যে সব অনুষ্ঠানে এদের নাম যুক্ত থাকে, সে সব অনুষ্ঠান দেখে, তথ্য-সন্ত্রাসের অভিযোগ আনার অর্থ হবে – অনেকটা – আমার দেয়া উদাহরণের ঐ ভেজাল আচার যদি আপনি বোতলের গায়ের ‘উপাদান-তালিকা’ পড়ে তবে পয়সা দিয়ে কিনে এনে খেয়ে অসুস্থ হন এবং তারপর তা নিয়ে অসন্তুষ্ট হন – তার মতই একটা কান্ডজ্ঞানহীন ব্যাপার। আসুন তাহলে আপনার স্মৃতির সাথে নামগুলো মিলিয়ে নিন:

Abramowitz, Ackerman, Actenberg, Adler, Albright, Alter, Asner, Abzug, Asimov, Axelrod, Bader, Baumberger, Berkowitz, Berliner, Berman, Bernstein, Blaustein, Bloom, Blum, Blumberg, Blumenthal, Boschwitz, Boxer, Brandeis, Brenner, Breyer, Broder, Bronfman, Buber, Cantor, Chaffee, Chomsky, Cohen, Danowitz, Dershowitz, Diamond, Edell, Ehrlich, Eickmeyer, Einstein, Eisner, Engel, Epstein, Feder, Feigenbaum, Feiger, Feingold, Feinstein, Feldman, Foxman, Frank, Friedan, Friedman, Freud, Gershwin, Ginsberg, Gladstone, Glasser, Glickman, Goetz, Goldman, Goldbaum, Goldfarb, Goldstein, Goldwyn, Gottlieb, Greenspan, Grossman, Grunwald, Hackney, Halberstam, Hefner, Heller, Hentoff, Hertzberg, Herzog, Himmelfarb, Hirsch, Hiss, Hoffman, Horowitz, Hyatt, Hymowitz, Isaacson, Isenberg, Jacobs, Jacobowitz, Janowsky, Janowitz, Kahn, Kalb, Kaplan, Kassebaum, Katz, Katzenbach, Kauffman, Kessler, King, Kinsley, Klein, Kleinman, Koch, Koestler, Kohl, Kopelwitz, Kramer, Kristol, Kuhn, Kunstler, Kurtz, Landau, Lansky, Lautenberg, Lear, Leavitt, Lehman, Lehrer, Lerner, Levin, Levine, Levy, Lewis, Lieberman, Lipshitz, Loeb, Lowenstein, Magaziner, Mahler, Marx, Metzenbaum, Meyer, Murray, Nader, Nathanson, Neas, Neuman, Nussbaum, Oppenheimer, Ornstein, Pensler, Perlman, Perlstein, Plotkin, Pollard, Posner, Pulitzer, Rabinowitz, Radner, Ratner, Reisch, Rivlin, Rosenberg, Rosenblatt, Rosenfeld, Rosenthal, Roth, Rothenberg, Rothschild, Rothstein, Rockefeller, Rubin, Rudman, Sachs, Safire, Salomon,Salzberg, Salzman, Saperstein, Schiff, Schindler, Schneerson, Schoenberg, Schorr, Schott, Schumer, Schuster, Schwartzenfeld, Seagal, Seinfeld, Seligman, Shapiro, Siegel, Silverman, Simon, Slovo, Solarz, Soros, Specter, Spock, Spielberg, Steinberg, Steinem, Strauss, Streisand, Strossen, Tarnoff, Teller, Totenberg, Trotsky, Ungren, Vogel, Volker, Wasserman, Waxman, Weinberg, Weinblatt, Weinstein, Wellstone, Weiss, Weisskopf, Weissman, Wertheimer, Westheimer, Wiesel, Wolf, Wolpe, Yachim, Youngman, Zimmer, Zinn, Zoellner, Zuckerman…ইত্যাদি।

আগে জেনে না থাকলেও, আজ তো জানলেন – কারা আপনাকে এবং আপনার সন্তানদের পথভ্রষ্ট করতে চেয়ে আপনাকে ও আপনার পরিবারবর্গকে প্রতিনিয়ত, তাদের পরিকল্পিত উপায়ে, বিভিন্ন প্রকার রিপু-উদ্দীপক ’মশলা’ সহকারে তাদের মতামত ও মতবাদ গিলিয়ে খাওয়াচ্ছে। এরপর আপনার প্রভুর সামনা-সামনি আপনি যখন প্রার্থনার জন্য দাঁড়াবেন, তখন কি নির্ভেজাল বিশ্বস্ত একটা চিত্তে আপনি অভিযোগ করতে পারবেন যে, আপনি অন্য কারও তথ্য-সন্ত্রাসের শিকার? আপনি বেশ্যালয়ে গিয়ে যদি এইডস আক্রান্ত হন, তবে কি আপনি ঐ বেশ্যাকে প্রাথমিক ভাবে দায়ী করবেন? না কি আক্রান্ত হবার সম্ভাবনার কথা জেনেও, স্বেচ্ছায় নিজ পায়ে হেঁটে গিয়ে পকেটের পয়সা ও সময় ব্যয় করে আক্রান্ত হবার প্রথম ও প্রধান দায়-দায়িত্ব আপনার ঘাড়েই বর্তাবে??

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৫৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×