ফোনটা প্রায়দিনই সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যায়, ব্যাটারির চার্জ থাকেনা। চলতি পথে অনেক কথা মনে হতে থাকে, অনেক কথা, অনেকের কথা।
মধ্য ৯০ এ ক্লাস ৬ থেকে ৭ এ বিশেষ বিবেচনায় উত্তীর্ণ হই। দুর্ভাগ্যবশত আগেই ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল বলে ফেল্টু ছেলে সহই শীতকালীন অবকাশযাপন করতে বিদেশে বেড়াতে যেতে হয় পিতৃ-মাতৃদেব’কে। সেখানে “আটারি” কেনার পরিকল্পনা থাকলেও “সেগা” কিনে ফেরত আসি, যা সম্ভবত বাংলাদেশের প্রথমদিককার সেগা ভিডিও গেম ডিভাইস।
সম্ভবত প্রতি শীতেই মনে পড়ত, আমার আশেপাশের সবাইই মেধাবী, আর ভালো ছাত্র-ছাত্রী। পারিবারিক আবহে ব্যাপারটা আরো প্রকট হয়ে ধরা দিত রাতে খাবার টেবিলে। তখন মনে হতো দেশের সকল বৃত্তি আর মেধাস্থান আমার বাবার পরিচিতদের ছেলেমেয়েরা নিয়ে চলে গেছে!
শীত মানেই ডলফিন বা ফেদার এর কর্ক, ইয়োনেক্স র্যাকেট, জি.এম কিংবা লারসন ব্যাট, ১০০ পাওয়ারের ৮ টা বাতি!
এই শীতেই তো…সকালে ফোন “ভাই বাজিয়ে দেন, পেমেন্ট একটু কম, সামনের সপ্তাহেই সোনারগাঁ /শেরাটনের শো তে ভালো পেমেন্ট”।
পিকনিক পার্টির “ক্ষ্যাপ” শেষে কয়েকবার যাও সাউন্ড কোম্পানির ট্রাকে করে ঢাকা ফিরেছি, কিন্ত সেই শেরাটন আর আসেনি!
স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা এরপর একের পর এক কর্পোরেট ভৃত্যগীরি….
শীতকালের সময়টাই নস্টালজিয়ার, প্রযুক্তি আছে, গল্প আছে, কিন্ত এখানে কোথাও মোবাইল এর স্মৃতি নেই।
সৌন্দর্যের পূজারীকে দেবীরা মন্দিরে পূজা দিতে ডাকবেই, সবদিন বান্ধবীদের ধরা দিয়ে লাভ নেই!
সবাই ভাল থাকুন!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪