somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিউঃ The Fountain (2006)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




এই মুভি দেখেননি কম মানুষ আছেন। অনেকেই একের অধিকবার দেখেছেন। আমি নিজেও ৩ বার দেখেছি :)

রিভিউ শুরু করার আগে একটা ছোট্ট ইনফো দিতে চাই। ব্লগে এখন অনেকেই রিভিউ লিখছে। আমি নিজে কয়েকবার চেষ্টা করেছি রিভিউ লেখার; এবং আমার মনে হয়েছে এ কাজটা আসলে আমার না। ফেসবুকে একটা গ্রুপ আছেঃ আমরা মুভি পাগল বোইন ব্রাদার । এদের কাজই হলো সারাদিন রিভিউ দেয়া। তো, এরা দুই সপ্তাহ হলো সামুতে চলে এসেছে। তাদের নিক হলো - মুভি পাগল । এরা এমনি পাগল যে দুই সপ্তাহে ৩০টা পোস্ট করে বসেছে। তাও আবার সবগুলো কোন না কোন সিনেমার রিভিউ :| আমি বলিকি, এদের সাবস্ক্রাইব করে রাখুন, আর রিভিউর ঠেলায় পাগল হয়ে যান ;)


এবার আসা যাক সিনেমাটার কথা -


মৃত্যু.................. মানব জাতির সবচেয়ে বড় আক্ষেপের নাম !! আমরা বাঁচতে চাই, মারা যেতে ভয় পাই! যে ব্যক্তির বয়স 100 বছর, সে ও কমপক্ষে আরো 100 বছর বাঁচার সদিচ্ছা পোষণ করে। শুধু নিজের মৃত্যু নয়, আমরা ভয় পাই প্রিয়জনের মৃত্যুর কথা ভেবে........যুগে যুগে মানুষ মেধার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটিয়েছে মৃত্যুকে জয় করার জন্য, কিন্তু বিনিময়ে শুধু ব্যর্থতাই তার প্রাপ্তি। অমরত্বের সোনার হরিণ তাকে বার বার ফাঁকি দিয়ে মৃত্যুকে বানিয়েছে, জগতের সবচেয়ে বড় অমিমাংসিত রহস্য।।।



সময় - অতীতকাল : স্পেন শত্রু রাষ্ট্রের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। রানি যে কোন সময় বন্দী হয়ে যাবেন এবং তাঁকে মেরে ফেলা হবে। এই দুর্যোগের সময় স্পেনকে বাঁচাতে পারে তাঁর সবচেয়ে বড় যোদ্ধা এবং রানির প্রেমিক conquistador। কিন্তু এজন্য তাঁকে খুঁজে বের করতে হবে এক অসম্ভব জিনিষ। "Tree of Life" বা "অমরত্বের গাছ"। এই গাছের ফল খাওয়াতে পারলেই একমাত্র, conquistador তাঁর প্রিয়তমা রানিকে বাঁচাতে পারবে এবং "Together they will live forever"........



সময় - বর্তমানকাল : Tom অনেক বড় মেডিকেল রিসার্চার। সে তার স্ত্রী Izzi কে নিজের জীবনের চেয়ে বেশী ভালোবাসে। Izzi র ব্রেইন টিউমার। সে আর বেশীদিন বাঁচবে না। Tom আপ্রাণ চেষ্টা করছে Izzi কে বাঁচানোর। সে নতুন ধরণের একটা ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা করছে যা Izzi র দুরারোগ্য ব্যধিকে নিরাময় করবে। এমনকি তাকে অমরত্ব দান করবে। এই কাজে Tom দক্ষিণ আমেরিকায় আবিষ্কৃত একটি রহস্যময় গাছের সাহায্য নিচ্ছে। Tom এর হাতে সময় অনেক কম, কিন্তু একবার ওষুধটা আবিষ্কার করতে পারলে "Together they will live forever"...........




সময় - ভবিষ্যতকাল: একজন মহাকাশযাত্রী "Tree of life" বা "অমরত্বের গাছ" নিয়ে Xibalba নক্ষত্রের দিকে যাত্রা করছে। মহাকাশযাত্রী গাছটি আবিষ্কারের পর থেকে এর অবস্থা খারাপ হচ্ছে। এখন গাছটি মৃতপ্রায়। গাছটি বাঁচবে যদি এটাকে সময়মত Xibalba নক্ষত্রে নিয়ে যাওয়া হয়। মহাকাশযাত্রী নিজের এই আবিষ্কারকে স্বীয় জীবনের চেয়ে ও বেশী ভালোবাসে। সে গাছটিকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে কিন্তু তার হাতে সময় অনেক কম। তবে একবার Xibalba নক্ষত্রে পোঁছাতে পারলে "Together they will live forever"..........

তিনটি ভিন্ন সময়ের ভিন্ন ভিন্ন গল্প। গল্পগুলো প্যারালালি দেখানো হয়েছে মুভিতে। তবে প্রতিটি গল্পেরই উদ্দেশ্য এক। নিজের সবচেয়ে প্রিয়জনকে বাঁচানোর জন্য conquistador, tom এবং মহাকাশযাত্রী র যু্দ্ধ............ মৃত্যুর সাথে। কে জয়ী হবে এই যুদ্ধে ???

"The Fountain" মুভিটি নিজের নাম অর্থাৎ 'Fountain' বা 'ঝর্ণর' মতোই প্রবাহমন,গতিময়, সুমধুর, ছন্দময়, দৃষ্টিনন্দন এবং খাঁটি। মুভিটাকে কোনোভবেই মাথা থেকে বের করতে পারছি না। আমি বলছি না যে, আমি মুভিটা বুঝে গিয়েছি। প্রথম কয়েকবার দেখার পর যতটুকু বুঝেছি তাই শুধু শেয়ার করছি বন্ধুদের সাথে। কারণ আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো এই মুভি সম্পূর্ণ রূপে বুঝার জন্য মানুষর আরো এক যুগ সময় লাগবে। Darren Aronofsky, "Requiem for a dream" , "Black Swan" প্রমুখ মুভির জন্য বিখ্যাত হলে ও আমার মতে তাঁর সবচেয়ে বড় "masterpiece" হলো "The Fountain"। এই মুভিতে Aronofsky যে ধাঁধা রেখে দিয়েছেন তা মানুষর বুঝতেই আরো অনকদিন সময় লাগবে, সমাধান যে কতদিনে হয় কে জানে???
মুভিটা অবশ্যই multiple viewing এর প্রয়োজন আছে। যতবার দর্শক মুভিটা দেখবে ততবার এটা তার কাছে আরো পরিষ্কার হবে। এতটকু কথা দিচ্ছি বরবার মুভিটা দেখলে ও আপনি Bore হবেন না। কারণ...........................




এমন অপরূপ সিনেম্যাটোগ্রাফি, স্বর্গীয় ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর , Hugh jackman ও Rachel Weisz এর ক্যারিয়ার সেরা অভিনয়. Aronofsky র অসম্ভব সুন্দর পরিচালনা এবং Ari Handel ও Aronofsky র এরকম ইউনক কনসেপ্ট দর্শক সচরাচর পাবেন না।

মুভিটার এই ডায়ালগ "Death will free your soul" মাথা উলট - পালট করে দিচ্ছে। Aronofsky তোমার উদ্দেশ্য কী ছিলো?


টরেন্ট লিঙ্কঃ BRRip - 1008x560 - 400mb

ইয়ুটিউব লিঙ্ক

মিডিয়াফায়ার লিঙ্কঃ
পার্ট ১ - http://www.mediafire.com/?1ggohhthtb743lb
পার্ট ২ - http://www.mediafire.com/?azueu94rv441do4
পার্ট ৩ - http://www.mediafire.com/?xfehean78p4m1t9
পার্ট ৪ - http://www.mediafire.com/?tmkztcatmiptdim

বিঃদ্রঃ সিনেমাটি অনেক আগে যখন প্রথম দেখি তখন সত্যি করে বলেতো কিছুই বুঝিনি। এরপর আবার দেখি এবং তারপরেই মাথায় যে জিনিসটা প্রথম খেলে সেটা হলো এটা আবার দেখার প্রয়োজন আছে :P আমি এম্নিতে মাল্টি ইউনিভার্স বা স্পেস ও টাইম নিয়ে একটু ইন্টেরেস্টেড। তবে এই সিনেমায় বলতে গেলে সবার আগে প্রেমিকার প্রতি প্রেমিকের ভালোবাসাটাই ফুটে উঠেছে । সিনেমাটা দেখে ফেলেছেন? বুঝে ফেলেছেন? সময় বের করে আবার দেখুন :)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৫০
৩৬টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×