.
ডাকাত পিটিয়ে মেরে ফেলার মধ্যে একটা আনন্দ আছে-
সভ্য এই জনপদের সম্মিলিত আবিস্কৃত সত্য এখন এটা।
অথচ কতগুলো দীর্ঘ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে এর পেছনে;
সেই সব ইতিহাস আজ সভ্যতাকে নাড়া দেয় না এতটুকু।
নিষ্ঠুর জিঘাংসা মানুষের মনে,
বরদেশী গ্রামে হাজারো মানুষ-
হারানোর ভয়ে আজ একাকার
ডাকাতের নাম করে সুস্পষ্ট উচ্ছাস
মধ্যরাতে ঝরে পরা আপদমস্তক ঘৃণা
ডাকাতদের পরে থাকা থেতলানো দেহ –
এবং সভ্যতার নিষ্ঠুর ফলাফল প্রসব।
অত রাতে মসজিদের মাইকে কর্কশ চিৎকার,
ডাকাতের জন্য আজরাইলের পৈশাচিক ডাকাডাকি।
(হত্যার জন্য আয়োজনের এতটা তর সইতে পারে মানুষ)
ওই নিষ্ঠুর রজনীতে অতগুলো মনুষের হায়েনার মত উল্লাস,
ডাকাত অপবাদে নিরীহ ছাত্রগুলোর পিশে ফেলা মরদেহ
বিস্তর শাদা চরে রক্তের উত্তপ্ত শবে বরাত-
অনেকদিন সভ্যতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাবে নিশ্চয়ই।
(বরদেশী গ্রামে ১৭ জুলাই ২০১১ তারিখে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা ছয় ছাত্রের উদ্দেশ্যে।)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩