এমন আচরণ কারো কাছ থেকে প্রকাশ পেলে সাথে সাথে তাওবা করা বাঞ্চনীয়। আল্লাহ মাফ করুন তওবা করার তাওফিক না হলে বেইমান হয়ে মরার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই।
কেন প্রকাশ পায় ইসলাম বিদ্বেষী কথাবার্তা মুসলমানের সন্তানের কাজেকর্মে ? :
আধুনিকতার দোহাই দিয়ে আজকাল বিনোদন নামক ঈমান বিধ্বংসি কর্মকান্ড মুসলমানের ঘরে ঘরে। অতি সম্প্রতী দ্রুততার সাথে এই ফেতনা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বগ্রাসী রুপ নিয়ে। এক সময় ছিল কোন মুসলমান এক মাসে এক খতম কুরআন তেলাওয়াত করলে অপরজন চেষ্টা করে দেখতো পনের দিনে খতম করতে পারে কিনা, কেউ একজন দশ টাকা দান করলে অপরজন চেষ্টা করতো তার চেয়ে বেশি দিতে পারে কিনা। অর্থাৎ মুসলমানেরা নেক কাজে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতো। কিন্তু এখন মুসলমানের মধ্যেই এই চেতনার পরিবর্তন ঘটে গেছে বিজাতীয় অনুকরণে। কেউ নরমাল মোবাইল সেট কিনলে অপরজন এন্ডুয়েট কিনে, থ্রিজি গিয়ে এখন ফোর জি ব্যবহার হচ্ছে। টিএন্ডটি টেলিফোন সেট যেখানে এক পরিবারের সকল চাহিদা মিটিয়ে দিতো সেখানে পরিবারের সকল সদস্যদের কাছে হাতে হাতে মোবাইল সেট-একটি নয় একাধিক। মোমোরি কার্ড, পেনড্রাইভে ঈমান বিধ্বংসী নগ্নতা উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের হাতে হাতে। মুসলমানের ঘরে পূজা না হলেও আজকাল টিভি সিরিয়ালে আসক্ত নারীপুরুষ মনের অজান্তেই ঢাক-ঢোলের আওয়াজ তার ঘরে ঘরে শুনছে। কোন অপরাধই যেন অপরাধ নয়। এর ফলে দুর্বল ঈমানের মুসলমান এই সমস্ত অনুকরণে অভ্যস্ত হয়ে এমন আচরণ করে যেটা শরিয়তে নিষিদ্ধ হলেও তার কাছে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে।
কারণ :
এক. বিজাতীয় অনুকরণ ও অনুসরণ;
দুই. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লিলতার ছড়াছড়ি;
তিন. ইসলামী সংস্কৃতি সম্পর্কে অজ্ঞতা ও তার চর্চা না থাকা;
চার. মুসলমান সংস্কৃতিমনা লোকদের দ্বারা শালিন ও রুচিকর বিনোদন তৈরী না করা;
পাঁচ. শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিক্ষার প্রচার ও প্রসার না থাকা।
ব্লগারদের কি করনীয়:
ব্লগাররা সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দেশ ও জাতির যে কোন ক্লান্তি লগ্নে তারা এগিয়ে আসে। সীমাবদ্ধতা থাকায় যদিও রাজপথে কাজ করা সকলের সম্ভব হয়না তথাপিও তাদের মনিটর ও কীবোর্ডে তারা প্রতিবাদ জানায়। মনের আকুতি-মিনতি, করণীয় সম্পর্কে সম্যক তুলে ধরে তাদের ব্লগে। মতামত যাচাই ও মতামত প্রদানে ব্লগাররা সামনের সারিতে থেকেই কাজ করে। তাই সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, ব্লগারদেরও জানতে হবে তাদের সীমাবদ্ধতা কতটুকু। মতামত প্রকাশ করতে গিয়ে যেন কারো বিশ্বাসে আঘাত না আসে সেটা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে। যে যার বিশ্বাস নিয়ে থাকুক-সমস্যা নয়-সমাধান, ঝগড়া নয়-আলোচনা এই বিশ্বাসের ভিত্তিতে কথা বলতে হবে। খোঁচা দিয়ে বা কটুক্তি করে নয় বরং সুন্দর ভাষা ব্যবহার করে। যারা মুসলমান, ঈমানদার তাদের কথাবার্তা হতে হবে আক্বীদা-বিশ্বাসের অনকূলে। কেননা আমল কবুলিয়্যাতের পূর্বশর্ত হলো আক্বীদা সহিহ-শুদ্ধ থাকা।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১১