সারাদেশে বিডিআর সন্ত্রাস নিয়ে অনেক আলোচনা, জল্পনা কল্পনা, ব্লগে অসংখ্য পোস্ট। কিছু আলাদা করে বলিনি, কারও কারও পোস্টে গিয়ে ২-৪টা মন্তব্য করেছি মাত্র। নিজের কান্না নিজের মাঝেই রেখেছি, এ আমার আরেক সীমাবদ্ধতা, প্রকাশ করতে পারি না নিজের অর্ধেকটাও।
বিডিআর সন্ত্রাস নিয়ে আমার শুধু একটা প্রস্তাবনা আছে
আমরা অনেক ঘটনা স্মরণে স্তম্ভ বানাই। সৌধ হয়। হজ্বের সময় জামারাতে শয়তানের উদ্দেশ্যে যেমন পাথর নিক্ষেপ করা হয়, তেমন একটা স্তম্ভ বানালে কেমন হয়? সেখানে সবাই বিডিআর সন্ত্রাসের সাথে জড়িতদের উদ্দেশ্য থুতু ফেলবে। ধর্মান্ধ উগ্র সন্ত্রাসীদের কে দুয়ো দিবে। রাজাকার জামাত শিবিরকে ঘৃণা করতে শিখবে
ঘৃণার যথাযথ প্রকাশ যেমন মানুষকে নতুন করে আবার সুপথে হাঁটার শক্তি যোগায় (হজ্বযাত্রীরা জামারার পাথর নিক্ষেপকে তেমনভাবেই বর্ণনা করেন) তেমনি আমাদের ঘৃণার এমন আনুষ্ঠানিক প্রকাশ আমাদের কে প্রকৃত মানবতা ও ভালোবাসার পথে হাঁটতে সাহায্য করতে পারে, করতে পারে উদ্বুদ্ধ।
আমি সাধারণ ব্লগার নই। কোন সাধারণ সুশীল ব্লগার একবুক ঘৃণা নিয়ে রাতের ঘুম হারাম করে জামাত শিবির রাজাকারকে গালি দেয় না। কোন সাধারণ ব্লগার অশেষ বৈরীতার মাঝেও তিনের অধিক বছর টিকে থাকে না। আমার একটাই উদ্দেশ্য নব প্রজন্ম জানুক দেশকে কিভাবে ভালোবাসতে হয়।
আমি কান্নার পক্ষে নই, আমি আগুনের পক্ষে। কারণ সম্পূর্ণ ধ্বংস ছাড়া বিনির্মাণ হয় না।
চোখের জল তাই মুছে ফেলেছি। একজন জামাতীর মৃত্যু আমাকে সাময়িক আনন্দ দেয়। তাদের সবার মৃত্যু আমাকে নির্ভেজাল আনন্দ দেবে।
ব্লগ কর্তৃপক্ষ মত প্রকাশের স্বাধীনতার হাত ধরে যেভাবে জামাতীদের জায়গা করে দেয় সেটা দেখলে আমার শরীরের রক্ত টগবগ ফুটে। আমি সাধারণ মানুষ অথবা অসাধারণ ব্লগার তোমাদের বাংলা ভাষায় একটি ব্লগ চালানেরা পথে নিয়ামক হিসেবে কাজ করছি আমার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হও, জামাতের তোষণ পুরো বাংলাদেশের জন্য কোন সুফল বয়ে আনেনি, সামু'র জন্য ও আনবেনা।
জামাত শিবির রাজাকার তথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা যেখানে ততপর আছে তাদের জন্য আমি মেঘ, একজন অসাধারণ ব্লগার সবাইকে ভারচুয়াল ঘৃণা প্রকাশের আহ্বান জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৯:১৯