somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোদে ভরা বৃষ্টি

১৮ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বারবার সে আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছে ফেসবুকে। সেগুলো আমি দেখি মাসখানেক পর পর, ফেসবুকের সাথে আমার সম্পর্কই এতটা হালকা। কিন্তু তাকে এক্সসেপ্ট করছি না। না করার পেছনে কাজ করছে ভয়। আর এদিকে সে আমাকে মেসেজের পর, মেসেজ পাঠাচ্ছে।

আমি জানি, আমার ফ্রেন্ড হলে সে কি করবে। অসংখ্য প্রশ্নের সামনে পড়তে হবে আমাকে। তপু ভাইয়া, এই মেয়েটার সাথে আপনার কি?
বাহ, এত ক্লোজ হল কবে থেকে আপনার সাথে?
একসাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন?
আর সাথে তার বিখ্যাত মিচকি হাসি তো ফ্রি।

ইতিহাস বড় করুন, আমার জন্য কিংবা তার জন্য। আমি যখন জাস্ট কলেজে ভর্তি হয়েছি, তখন সে আমাকে প্রেম পত্র পাঠালো। তাও আমার ছোট বোনকে দিয়ে। হিন্দি একটা গান বাংলায় লেখা ছিল তাতে।
দূঃখের বিষয় হলেও সত্য আমি তখন হিন্দিতে একেবারে বকলম। হিন্দি মুভি দেখতে বসলে, ছোটবোনের কাছ থেকে তার ট্রান্সলেশন করে নিতে হয়।
আমি কাগজটা পড়লাম। গম্ভীর মুখে বললাম, তিয়া এইসব কি?
তিয়া বলল, তুই বুঝিস না? এইটা বৃষ্টি আপু দিছে।
মানে কি?
মানে তুমি বুঝবা। পড় ভালো করে।
আমি বুঝিনা।
বৃষ্টি আপু তোমারে পছন্দ করে।

আমার মাথায় বজ্রাঘাত। এই মেয়ে! আমার কাজিন! কইদিন আগে উপদেশ দিলাম ক্লাস নাইনে উঠার সময়, সায়েন্স নেওয়ার জন্য। বলে কি? পিচ্চির মাথায় কি ভুত চাপলো নাকি?
আমি গম্ভীর মুখে বললাম, তিয়া ওরে গিয়া বল, গাধা পৃথিবীতে একটা দুইটা না। অনেক। ও একটা গাধা।

তিয়া তাকে কি বলেছিল আমার মনে নাই।

ইতিহাসের দুই নম্বর পাতায় হল তার ভার্সিটিতে ভর্তি হতে আসার কাহিনী। আমার ভার্সিটি তে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসছে। মনে মনে দোয়া করছি চান্স যাতে না পায়। পরীক্ষার আগের দিন বলল, আমি অরিন আপুর সাথে দেখা করব।
আমি আকাশ থেকে মাটিতে পড়ার হওয়ার ভান করে বললাম, অরিন আপুটা কে?
ঐ যে আপনাকে প্রায়ই কল দেয়, এসএমএস পাঠায়।
আরে ধুর।
না আমি দেখা করবই। কোন হলে কত নাম্বার রুমে থাকে বলেন।
চাপাচাপির ঠেলায় বলতে হল। এটাও বলে দিলাম, বেশী ফাজলামো করবা না। তার সাথে আমার সম্পর্ক ফর্মাল।
আচ্ছা।

সে হাসি হাসি মুখে অরিনের সাথে দেখা করতে গেল। আর আমি আল্লার কাছে প্রার্থনা করতে লাগলাম।
আল্লাহ মাঝে মাঝে পাপীদের প্রার্থনাও রাখেন। বৃষ্টি চান্স পেলো না। তবে অরিনও হারিয়ে গেল। কাছে থেকেও দূরে। অবশ্য অরিন আমার জীবনে বন্ধু ছাড়া আর কিছু ছিল কি না, সেইটা নিয়ে দ্বিমত থাকতেই পারে।

যাই হোক, বৃষ্টি ভর্তি হল প্রাইভেট ভার্সিটিতে। তার সাথে প্রায়ই পারিবারিক অকেশানে দেখা সাক্ষাত হচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, আমার কেন প্রেম হচ্ছে না এইটা নিয়া তার ব্যাপক কৌতুহল।
বুঝলেন তপু ভাইয়া, প্রেম করতে হলে আপনাকে কয়েকটা টিপস নিতে হবে আমার কাছ থেকে।
কি রকম?
প্রথম কথা হচ্ছে মেয়েদের সাথে ফ্লার্টিং করতে হবে। মেয়েরা বিষয়গুলো যদিও ধরে ফেলে তারপর তারা এইগুলো পছন্দ করে।
আমি হা করে তাকিয়ে থাকলাম কিছুক্ষন। বুঝতে পারলাম পিচ্চি আর পিচ্চি নাই। পুরাই পাকনা হয়ে গেছে। এর কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে।

এর পর শুরু করল আমাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো। আমি উকি মেরে দেখি তার ফ্রেন্ড লিস্টে একগাদা ভার্সিটির ছেলেপেলে। থাক বাবা দরকার নাই।

পুরাতন প্রবাদটা মনে পড়ে, তিনটা ডাব্লিউ (W) কে কখনো বিশ্বাস করতে নাই, wine, weather, আর woman.
কাজেই এক্সসেপ্ট না করাই ভালো, কখন কি কাহিনী ঘটায় কে জানে!




(বৃষ্টির দিনে লিখতে ভালোই লাগে, কিন্তু নেট স্পিডের অবস্থা এত খারাপ যে বলার না। সামুতে ঢুকতেই খবর হয়ে গেল)


২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×